(চাঁদপুরে ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে
লঞ্চঘাটে বসে লেখা কবিতা)।
——————
নদীর পাড়ে কিছু সময় বসেছিলাম
হয়তো কোনো একদিন এখানটায় খেয়াঘাট ছিল
এখন বড় বড় লঞ্চ ভিড়ে, ব্যস্ততম জায়গা এটি।
জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে কংক্রিটের ব্লকগুলো
পেঙ্গুইনের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে,
কোথাও কোনো কাঁদা নেই।
মাথার ওপর বটগাছের ছায়া
এক রূপসী বালিকা আনমনা হয়ে
মোবাইলে কী যেন লিখে যাচ্ছে।
বড় জানতে ইচ্ছে করে-
এতো মনোযোগ নিয়ে মেয়েটি কী লিখছে?
জানার এ কৌতূহলের মধ্যে-
না পাওয়ার যে আনন্দ
তার মূল্যও কিন্তু কম নয়।
আসলে ছোটবেলার সেই চঞ্চল প্রকৃতির
আজকের ‘আমি’র সাথে কোনো মিল নেই।
কিন্তু কথা তো ছিল-
কাক ডাকা ভোরে উঠতে হবে,
দেখতে হবে সূর্য তার লাল আভা ছড়িয়ে
কেমন করে একটু একটু করে
পূর্বাকাশে দীপ্তি ছড়ায়?
কথা ছিল- খালের কিনারা বেয়ে
কেমন করে জোয়ারের পানি ছুটে চলে?
বড় জানতে ইচ্ছে করে-
কেন সকালবেলার জল এতো বিশুদ্ধ মনে হয়?
কেন এতো সস্তা দামে মেয়েটা নিজেকে
বিলিয়ে দিচ্ছে খেয়াঘাটের পাড়ে?
বালিকা এতো আনমনা হয়ে
কার জন্যে অপেক্ষা করছে?
কেন এতো সহজে খুলে যাবে নারীর সভ্যতা?
হাজার বছর পরেও কী
এ অপেক্ষা চলতে থাকবে?
বড় জানতে ইচ্ছে করে—-
Leave a Reply