সবকিছু এলোমেলো মনে হয়
কোনো ভাবেই হিসাব মিলাতে পারি না,
যেখানেই যাই অপরিচিত, ভীষণ অপরিচিত।
টিএসসি থেকে অপরাজেয় বাংলা,
আমার সেই দীর্ঘদিনের পরিচিত ক্যাম্পাস
আজ বড় অচেনা, ভীষণ অচেনা।
বড় মূল্যহীন মনে হয় নিজেকে,
ক্যাম্পাস ভর্তি মানুষ,
অথচ কাউকেই আমি দেখি না!
ঐ-তো চোখের সামনেই আমার ডিপার্টমেন্ট
ক্লাসভর্তি বন্ধু বান্ধব, কত কথা কত গান,
সবার মুখে যেন ফুলকি ঝরছে।
কলাভবন ঠিক আগের মতোই,
এখনও ঠিকই আছে, একটুও বদলায়নি।
সবকিছুই ঠিকঠাক, কেবল তুমি নেই,
গাঢ় খয়েরী রঙের শালোয়ার কামিজের
সেই শ্যামলা মেয়েটিকে আজ আর কোথাও দেখিনা। সুচিত্রা সেনের মতো মুখ টিপে হাসতে তুমি,
ভারি সুন্দর লাগতো তোমাকে।
থাকবেই না যদি তবে কথা দিয়েছিলে কেন?
বলেছিলে কেন? নদীর ওপারে যাবো আমরা,
বালু দিয়ে গড়বো ইমারত।
কথা দিয়েছিলে কেন?
বলেছিলে কেন?
অঝোর বৃষ্টিতে জ্যোৎস্না ধুয়ে যাবে,
সকালের মিষ্টি রোদ এসে পড়বে মুখের ওপর,
কবিতা আবৃত্তি দিয়ে শুরু হবে নতুন জীবন।
ইদানিং আমার কোনকিছু ভালো লাগে না,
কতদিন হয় আমার আব্বা মাকে দেখিনা,
কত বছর আমি আমার মামার সাথে গল্প করিনা।
ব্যবসা-চাকুরী, কত ব্যস্ততা,
এরপরেও তুমি ছিলে কেবল তুমি
আর বাগানভর্তি ফুল ছিলো।।
Leave a Reply