বাইরে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বাতাস বইছে। ক্ষণিক পরপর মেঘেরডাক শোনা যাচ্ছে। দমকা হাওয়ায় রুমের পর্দাগুলো উড়ে চলছে অবিরাম। শীতল বাতাস কক্ষকে হিমশীতল করে দিয়েছে। প্রকৃতির রূপ সঙ্গ দিচ্ছে শয়নকক্ষে অসহায় মেয়েটিকে। বাজ পড়ার তীব্র শব্দে চিৎকারের আওয়াজ বাইরের কারো কান অব্দি পৌঁছাচ্ছে না। পাশ থেকে সুন্দর সুগন্ধি নাকে ধাক্কা দিচ্ছে। ফুলে সজ্জিত রুমে এদিক সেদিক ছবিতে একাকার। দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম মেয়েটি স্থির চোখে একটি ছবি খুঁটিয়ে দেখছে। দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে। ঝড়োমেঘ যেভাবে তোলপাড় করছে প্রকৃতির সৌন্দর্য তেমনি অতল সমুদ্রে জীবনের রূপ হারিয়েছে। সুরেলা ধ্বনিতে পুরো শয়নকক্ষ মেতেছে।
~~তুমি যাকে ভালোবাসো,,
স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো,,
তার জীবনে ঝড়..!!
তোমার কথার শব্দদূষণ
তোমার গলার স্বর..!!
আমার দরজায় খিল দিয়েছি,,
আমার দারুন জ্বর..!
তুমি অন্যকারোর সঙ্গে……!
বেঁধো ঘর….!
এত বিষাদ, এত বেদনা প্রিয় মানুষটিকে হারানোর। অপেক্ষার অবসান ঘটলো। তীব্র যন্ত্রণায় ভাসিয়ে দিয়ে সে সুখের খোঁজ পেলো। নিজেকে অভিযোগ দিয়ে আজ খুব মনে হচ্ছে,
‘বেহায়া মন কেন তাকে ভালোবাসলো? কেন তার আশায় অনুভূতিতে মাতলো? কেন তাকে কাছে পেতে এত উতলা হলো? অসমাপ্ত গল্পে সে যে অন্য কারো সাথে ঘর বাঁধলো আর আমায় দিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে যন্ত্রণা, একতরফা ভালোবাসার যন্ত্রণা।’
Leave a Reply