ফেরিয়ালা, ও ফেরিয়ালা,
মনে কি পরে সেই ছোট্ট বেলায়,
হাক ডাক ছেড়ে, এসে আংগিনায়,
বেচাকেনা লোভে,
শুধুই ছল করে, ডেকে নিয়ে দেখাতে,
ছোট্ট বেলার, কল্পনার এ্যালবামে রাখা,
আমাদের জীবনের বিচিত্র ছবি,
হৃদয়ের দেয়ালে আঁকা।
মনের গভীর থেকে,
ছোট ছোট ভাষা,কথা আর কথা হতো,
কবির মত করে, আনন্দ জলে।
সে সবেই ভরে যেত,
আমার হৃদয়টা কানায় কানায়।
ভুলিনি তা আজও, শুধু মনে হয়।
হে কবি, ফেরিয়ালা,
কোথা তুমি? চলে আস!
খুঁজে কি পাবে তুমি, আমাকে?
আমি কি তোমায়?
তা হলে না হয়, চলে আস,
ছোট্ট বেলার সেই খোলা মাঠে,
পুকুরের হিজল তলায়।
আজও সে হিজল শাখে,
ফুল ঝোলে থোকায় থোকায়।
মৌরা ঝাঁকে ঝাঁকে,
ফুলে ফুলে গুন গুন গায়,
কানে কানে শত কথা কয়,
চুমে চুমে চলে যায়,
ফিরে আসে বার বার, কিসের আশায়,
তোমার মতোই,
সেই ছোট্ট বেলার ফেরিয়ালা।
মনে যদি হয়, তবে চলে আস,
এসোনা!আগের মতোই, দোল খাই,
পুকুরে ঝুলন্ত হিজলের ডালে,
আনন্দে দোল খেতে খেতে দুজনেই,
ঝাঁপ দেব পুকুরের জলে,
স্মৃতির খেলা ঘরে জুরাবে পরান;
অকারণেই জীবনের স্মৃতিগুলি,
মিশে যাবে আনন্দে, উল্লাসে।
ভালবাসা গুলি ভাগ করে নেব দুজনে,
যদি দেখা হয়,এই অবেলায়!
ছোট্ট বেলার সেই পুকুরের, হিজল তলায়।
Leave a Reply