এই যে শোনো…
বুকের বাঁ পাশে বিশাল একটি আকাশ রাখি পেতে,
আমার প্রহর কাটে বিবশ হয়ে ঐ আকাশ পানে চেয়ে।
শোনো, অভিমানী মেয়ে!
তুমি খাঁচায় পোষা পাখী,
পাঁজর চিরে উড়তে পারো যেথায় যেমন খুশি।
চাইলে ছেড়েও যেতে পারো,
দূরত্ব বাড়াতে পারো
তুমি বুকের অবুঝ পাখী,
আজো বুঝনি?
গোটা আকাশটাই যে আমি!!
তোমার ডানার ঝাঁপটায় খসে পড়ে যে দীর্ঘশ্বাসের পালক!
চাইলেই তাকে জড়িয়ে ধরে বুকের মাঝে রাখতে পারি,
রাত্রি ভর যত্ন করে অঝোরে কাঁদতে পারি।
মেঘে মেঘে ঘর্ষণে পুড়ে যায় যে আকাশ,
ফ্যাকাশে বিকেলে আমার আঙ্গুলের ছোঁয়ায় ‘তা’ হয়ে যায় রঙিন মেঘের রংতুলি!
বিনা নোটিশে চুরি হয়ে যায় মধ্য রাতের ঘুম,
থেকে থেকে হিম হয়ে যায় বুকের অলিগলি।
আর ঠিক তখনই,
আমার শুন্য আঙিনায় চলে আসে তোমার পায়ের নূপুর, খোঁপার বেলি ফুল…..
বেহালায় বেজে উঠে রাগ ভৈরবী।
আর আমি তপ্ত মরুভূমি, হাহাকার ভরা বালুচরে এক নিমিষে তোমার হাতে হাত রেখে হয়ে যাই ঘরছাড়া বৈরাগী।
তুমি আমায় আগলে রাখ,
তুমি আমায় জড়িয়ে থাক,
ধ্যানে মগ্ন শরীরে অঙ্কুরিত দুবলা ঘাসের মত।
হৃদয়ের তারে তারে আঁধারের ঘনত্ব বাড়ে
বাঁকা চাঁদে উকি দেয় অচল পুরনো স্মৃতি,
নোনাজলে ডুবে যায় ঘড়ির কাঁটা,
মধ্যরাতের বাশরী।
ঝিঝি ডাকা সন্ধ্যায় এ মন কেঁদে উঠে তুমি হীনতায়,
ঝর্নার সাথে হয়ে যায় নদীর নিরব আড়ি।
বুকের ব্যথা কেউ বুঝে না,
ক্ষণে ক্ষণে মনের সাথে হৃদয়ের অযথা বাড়াবাড়ি।
আমিও ঠান নিয়েছি….
পৃথিবীকে পর করেছি…..
তোমার আমার স্মৃতির মাঝে করছি ভীষণ সিনাজুরি!!
কোথায় যাবে এই হৃদয় ছেড়ে?
পুরো হৃদয়টাই যে তুমি!!
শোনো হরিণ চোখের মেয়ে,
তোমার চঞ্চল পায়ের নুপুর আর ডজন
ডজন চুড়ি, ঐ নীল গগনে পুলক জাগায়
উড়ায় ভালোবাসার ঘুড়ি,
যদি হঠাৎ ঝড়ে কেটে যায় নাটাই,
ভেসে যায় চোখের সুরমা নদী…
তো যাক না…!
ফাল্গুনী জোছনায় তোমার আকাশ
ভেসে যাক ঐ… দূর… সুদূরে….
লাল নীল পরীরা পাখা মেলুক
আঁখির কিনারে,
জোনাকিরা বাসা বাঁধুক বুকের গভীরে!
আমি আছি এখানে, ওখানে, আমি আছি তোমাকে ঘিরে সবখানে….
যে আকাশে উড়াও তুমি ভালোবাসার তরী?
দিব্যি কেটে বলছি,
সেই আকাশটাই যে আমি!
মেয়ে, তোমার আকাশ আমি।।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply