চৈত্রের দুপুরে পলাশের ঝুরঝুরে রঙ ভেঙে যায়।
গোপন কথার রাজপথ পেরোনোর ছটফট বেড়ে যায়।
ফেরারী ল্যাম্প পোস্টের
ঝাঁঝালো রোদে আত্মগোপন থেমে যায়।
এখানে সেখানে জড়ো করা খড়ের গাদায় সুরের আগুন ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়।
ধূ ধূ গড়ের মাঠে
কত আশার সাক্ষরতা লেখা রয়।
ক্লান্ত পায়ে টেনে চলা ঠ্যালা,
গামছায় মোছা ঘামের ফোঁটা।
জনহীনতার গন্ধে যুদ্ধ বিহীন গার্ড ওয়াল একলা হয়ে যায়।
লালদিঘি জনশূণ্য
রঙ করা বেঞ্চ গুলো বেরঙ বিরহী যক্ষ।
অলস মধ্যাহ্নে দীঘির নিবন্ধে নিবিড় প্রেমহীন কথা ভেসে যায়।
চিনাবাদামের ভাঙা খোলায় ক্লান্ত ভীমসেন যোশী।
এসি ঘরে ল্যাপটপে
সিদ্ধান্ত-মিটিং।
মিলিটারি ক্যাম্পের ঘরে চৈত্রের বিস্মিত বাতাস বয়ে আনে
কোন চিতল হরিণীর ডাক।
ডাগর চোখে তার সব হারানোর সর্বনাশ ভয়ে মরে যায়।
আঘ্রাণে আস্বাদনে
ক্লান্ত মিলাপ।
ক্যাম্পের বাগানে সবুজ পাতায় তখন গুন গুন
চৈত্র- বিলাপ মন ভার করে দেয়।
25/3/2022. 2:20.পি এম
Leave a Reply