1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

গল্পঃ খুনী ### লেখাঃ ফারজানা ববি

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৪৮ বার
‘ভাইজান কী খাচ্ছেন?’
জামাল চমকে তাকায়। এই সম্ভোধনে তাকে শুধু রাহেলাই ডাকত। আদুরে ডাক নয়, ক্ষেপানোর জন্যই এই সম্ভোধন। রাহেলাটাই ছিল এমন, কার কী অপছন্দ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বের করে অপছন্দের কাজগুলোই করত যাতে অন্যকে বিরক্ত করা যায়। জামাল রাহেলার বিনুনি করা চুলের মুঠি ধরে হ্যাচকা টানে বিছানায় ফেলে দিয়ে কিল-চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে বলত, ‘হারামি তোরে কতবার কইছি ভাইজান ডাকবি না। কথা কানে যায় না?’
-আর কমু না ভাইজান। ছাইড়া দেন, ছাইড়া দেন।
-আবার কইলি!
রাহেলা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এক দৌঁড়ে রান্নাঘরে গিয়ে মায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে পড়ত। আহা! সেই দিন!
আগন্তুকের দিকে তাকিয়ে বিরক্তিভরা চোখে জামাল বলে, ‘কেন দেখতে পাচ্ছেন না পানি খাচ্ছি।’ লোকটা দাঁত বের করে হাসে। ‘ভাইজান দেহি মজাও করেন। পানি কী লাল হয়?’
-কেন লাল পানির নাম হুনেন নাই?
-ভাইজান কী দিনে দুপুরে মদ খান?
‘ধুরো’ বলে উঠে যায় জামাল। এই লোক তাকে চূড়ান্ত রকমের বিরক্ত করছে। সে এভাবে বিরক্ত হচ্ছে কিন্তু আশে-পাশের কেউ লোকটাকে কিছু বলছে না। যেন বিরক্ত করা ব্যাপারটাই স্বাভাবিক। এখানে থাকলে শান্তিতে থাকতে দেবে না। চায়ের বিল মিটিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করে জামাল। জামালের পেছনে পেছনে লোকটাও হাঁটতে থাকে। জামাল এবার মাথা ঠান্ডা করে।
-আপনি আমার কাছে কী চান বলেন তো। পেছনে পেছনে হাঁটছেন কেন?
-তাইলে ভাইজান পাশাপাশি হাঁটি?
-খবরদার! ভাইজান ডাকবেন না।
-আচ্ছা ডাকতাম না। আপনে কী সবসময় এমন চেইতা থাকেন?
-ভাই যান তো বিরক্ত কইরেন না। কাম-কাইজ না থাকা মানুষরাই আকামের ধান্ধায় থাকে। আপনে আকাইম্মা মানুষ।
লোকটা আবার দাঁত বের করে বিশ্রীভাবে হাসে। জামালের রাগ হলেও আত্মসংবরণ করে নেয়। দুজনই নিঃশব্দে হাঁটে। লোকটা এবার জামালের আরো কাছাকাছি চলে আসে। তার ঘাড়ে যেন সে নিঃশ্বাস ফেলছে। কড়া ভাষায় কিছু বলার জন্য পেছনে তাকায় জামাল। কী আশ্চর্য! লোকটা কোথাও নেই। এরমধ্যে কোথায় হাওয়া হয়ে গেল! জামাল থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মোড়ের মুদি দোকান থেকে একমুখী রাস্তা একেবারে তার বাড়িতে গিয়ে মিশেছে। রাস্তার দুই পাশে দুটো পুকুর। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো রাস্তা বা পথের অস্তিত্ব নেই। দিনের বেলায়ও গায়ে কাঁটা দেয় জামালের। দ্রুত হাঁটতে থাকে। প্রতি কদমের সাথে যেন পথ লম্বা হয়ে যায়।
সে রাতে আবার স্বপ্নে লোকটাকে দেখে জামাল। তেমনভাবে দাঁত বের করে হাসছে। জানালার রেলিং ধরে ঝুলতে ঝুলতে জামালকে বলছে, ‘ভাইজান কী খাচ্ছেন?’
চলবে…

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..