উল্টো পথে হাঁটতে হাঁটতে এসেছি চলে
যুবতি বাতাসে দোল খাওয়া অতীতে।
রহিম-রূপবানের মতো অসম প্রেমের মোহনায়
বয়সের পার্থক্যে কি-বা আসে যায়
বুকে তৃষ্ণার ঘেউঘেউ, উথাল-পাথাল ঢেউ
কত গভীরে শেকড়, জানে কি তা কেউ।
রোদের ঝিকিমিকি সাপলুডু খেলে জানালায়
ডালে বসা দাঁড়কাক তাই দেখে, ঠোঁটে দেয় ধার
কা কা করে বলে তুমি কার?
আমি ছোট এতটুকুই কি আমার অপরাধ!
তুমিই তো দিয়েছ আঁজল ভরে পূর্ণতার স্বাদ।
দিও না ফিরায়ে, কস্তুরি সৌরভ হতে
কাকচক্ষু দিঘি, তৃষ্ণার্ত উনুন, মুগ্ধতার সৈকতে
টইটম্বুর পাতকুয়ো, নারকেল পাতার আঁচড়ে
অস্থির তিতাসের উল্লাস! ছলাৎছলাৎ!
সূর্যের ছলাকলায় আসবে নেমে মধুময় রাত।
তুমি যদি আমায় ফেলে, না বলে, যাও চলে
কি হবে আমার…
শার্টের আস্তিনের ভাঁজে নিষ্ঠুর হাহাকার
চোখের বৃষ্টি, ফেরাবে না আর দৃষ্টি
তবে কি রেখে যাবে মধ্যযুগীয় অন্ধকার।
Leave a Reply