কবিতার মোহনায় বিন্দু বিন্দু বুদবুদে ঢেউ ভাঙা শব্দেরা
অনর্গল ছট পাকায় খেলা কবির মাথায়
আমি না পারি কবিতা লিখতে যেটুকু বা লিখি
তাও অখাদ্য উচ্ছিষ্ট ভূক্তাবিশেষ
দিতে পারিনা অন্য কারো হাতে
মনের গভীরে জমানো ভাবনা গুলো শব্দের পর শব্দমঞ্জরীতে
ফুলঝুরি ফোটাই লাইনের পর লাইনে
নিতান্তই বাস্তবের দাঁড়ি কমা পূর্ণচ্ছেদে
বসন্তের কাঙ্খিত কুহু কুহু সুরে
ঝর্ণার মতো ঝরে পড়ে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ফোঁটা হয়ে।
সাদা কাগজের পাতায় নৌকা ভাসিয়ে পাড়ি দিই দূর দেশে
কিংবা ফাল্গুনী পূর্ণিমার চাঁদে চেপে আনন্দে আত্মহারা হয়ে
উড়ে যাই দূর বহুদূরে শতাব্দীর প্রথম আলো সারাদেহে মেখে
ক্লান্ত বিহঙ্গের ডানায় সমস্ত ভাবনা চাপিয়ে কবি হওয়ার উচ্ছ্বাসের ভাবাবেগে
দিনে দিনে কাগজের পাতা ভরাট হয়না কিছুতেই
শুধু সাদা কাগজের নৌকা ভেসে যায় প্রাণহীন স্রোতহীন সময় স্রোতে।
কখনো বা আনমনে জানালায় দাঁড়িয়ে
স্মৃতির সমুদ্র রোমন্থন করে খুঁজে ফিরি শব্দ সম্ভার
সেখানেও শুধু শব্দহীন অস্তিত্বহীনতার আক্ষেপ,
আবার দাঁড়াই বাস্তবের আঙিনায় কিছু শব্দ সংগ্রহের আশায়
উন্মাদগ্রস্ত শব্দের উইপোকার দল সবকিছু কবেই খেয়েছে চুপিসারে
আসলে সবটাই ছিল ফাঁকি কবি আর কবিতায় !
Leave a Reply