‘বাবা হয়ে মেয়ে আর জামাই এর শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে শুনতে তোমার নিশ্চয় ভালো লাগবে না, তাই চুপ ছিলাম এতদিন, কিন্তু তুমি যেভাবে জোর করছ মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাবার জন্য, তাতে এখন আর এসব না বলে উপায় নেই’ , এটুকু বলে রাহেলা মাথাটা নিচু করে চুপ করে রইল।
মাহাতাবউদ্দিন ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল স্ত্রীর দিকে। এরপর আবার মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল, ‘সেটা যদি আসলেই সমস্যা হয়, তাহলে বলো, আজাইরা প্যাঁচাল হলে বলবার দরকার নেই।’
‘অবশ্যই সেটা সমস্যা আর এ সমস্যার কারণেই এশা ফিরে যেতে চায় না মুহিবের কাছে।’
‘তাহলে ভনিতা না করে সমস্যা বলে ফেলো।’
‘মুহিব প্রায় রাতেই চার থেকে পাঁচ বার শারীরিক সম্পর্ক চায়। এশার পক্ষে সবসময় তা সম্ভব না হলে মুহিব জোর করে ওর ওপর। কোনো সহানুভূতি নেই। শুধু তাই নয়, মুহিব একজন বিকৃত রুচির মানুষ। শারীরিক মিলনের সময় সে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে এশাকে নানারকম বিকৃত কাজ করতে এবং নোংরা ভাষায় কথা বলতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এত দিন ধরে এসব নীরবে মেনে নিয়েছে এশা, কিন্তু এখন আর এসব নোংরামি নিতে পারছে না। তাই পড়ে রয়েছে এখানে। শখ করে থাকছে না তোমার বাড়িতে।’
‘তুমি এখানে নোংরামি শব্দটা ব্যবহার করছ কেন? নোংরামির কী আছে? এই তোমাদের মতো মহিলারা হচ্ছ কুয়ার ব্যাঙ। ছোট গন্ডী থেকে বের হয়ে কখনও দুনিয়া দেখো না। তাই গৎবাঁধা চিন্তাভাবনার বাইরেও যেতে পারো না। এখনকার পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই হয়, যা তোমার আমার সময়ে হতো না। আর তাছাড়া স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক সম্পর্ক বিভিন্ন কায়দায় হতে পারে। এটা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেসব অন্য কেউ জানবে কেন? তুমি তো নির্বোধ আছোই, মেয়েটাকেও বানিয়েছ একটা গাধা।নিজের একান্ত ব্যাপার গাধামো করে উনি মাকে বলতে গেছে, আর মাও তাকে বোঝানো বাদ দিয়ে সংসার ভাঙার উস্কানি দিচ্ছে। আরে বাবা, পুরুষের দৈহিক চাহিদার মাত্রাটা নারীর তুলনায় বেশি তো হবেই, এটা সৃষ্টির নিয়ম। আর সে চাহিদা পূরণ করাটা স্ত্রীর কর্তব্য। স্ত্রীর কাছে স্বামীর ন্যায্য পাওনা সেটা। আর তাছাড়া নতুন বিয়ে হয়েছে ওদের। এসময় এমন তীব্র শারীরিক চাহিদা স্বাভাবিক ব্যাপার। তোমার মেয়ে তার স্বামীর সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না, এটা তো স্বামীর প্রতি তারই অন্যায় আচরণ হচ্ছে। সুতরাং এসব প্যানপ্যানানি আর একবারও প্রশ্রয় দেবে না। আমার তো বরং মনে হচ্ছে, মেয়ের অন্য কোনো সমস্যা আছে। নতুন বিয়ে হয়েছে অথচ স্বামীর কাছে থাকতে চায় না, ওর অন্য কারো প্রতি ইন্টারেস্ট আছে কিনা, সেটা খোঁজ নাও, এসব অর্থহীন কথাবার্তা বাদ দিয়ে।’
‘অদ্ভুত! তোমাকে এশার বাবা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমার!’
‘কষ্ট হলে ভাবার দরকার নেই। তবে একটা কথা আমি স্পষ্ট জানিয়ে রাখছি, আমি সামান্য এক ব্যবসায়ী, আমার আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল নয় যে মেয়ের ডিভোর্স করিয়ে তাকে বসিয়ে খাওয়াব আজীবন। তাকে বিয়ে দিয়েছি স্বামীর বাড়িতে থাকার জন্য, এখানে পড়ে থাকবার জন্য নয়।’
‘হতবাক হচ্ছি আমি! নিজের সন্তানকে খাওয়ার খোঁটা দিতে পারলে তুমি! তোমার তো একটাই সন্তান! আর তোমার আয় এতটা ও কম নয় যে, নিজের মেয়েকে খাওয়াতে পারবে না!’
‘খোঁটা নয়, এটাই বাস্তবতা। আর তাছাড়া সমাজে একটু আধটু সম্মান আমার রয়েছে, মেয়ে তার বিয়ের পর এভাবে এখানে থাকলে আমার সে সম্মানটুকু ধুলোয় মিশে যাবে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।’
‘কারা কথা বলেছে এ বিষয়ে? আমাদের মেয়েকে আমরা খাওয়াব, এখানে অন্যের কথা বলার কী আছে!’
‘এসব তোমাকে বলার প্রয়োজন মনে করছি না। শুধু এটুকু বলে রাখি, আগামীকালের মধ্যেই মেয়েকে ও বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে, এটা আমার শেষ কথা’, মাহাতাবউদ্দিন এটুকু বলে চোয়াল কঠিন করে খবরের কাগজ টেনে নিল পড়ার জন্য। রাহেলা হতবিহ্বল হয়ে এক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল স্বামীর দিকে। এরপর উদ্ভ্রান্তের মতো পা বাড়াল ঘর থেকে বের হবার জন্য। কিন্তু দরজার বাইরে বের হবার আগেই রাহেলা টের পেল, ছায়ার মতো কেউ একজন দ্রুত সরে গেল দরজা থেকে। আঁতকে উঠল রাহেলা।
অনুমান করল, কেউ একজন আড়ি পেতে তাদের সব কথা শুনেছে। ঘরের দরজাটি খোলা রেখে এসব আলোচনা করার জন্য নিজের ওপর ভীষণ রাগ হলো রাহেলার।
বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর, ননদ সবাইকে নিয়ে একান্নবর্তী পরিবারে রাহেলার সংসার। এত বছরের সংসারে নিজের কোনোরকম অসুবিধা সে কখনও কাউকে বলে নি। নিজের স্বামীকেও নয়। আসলে বলার মতো সুযোগই সে পায়নি কখনও। কিন্তু আজ সন্তানের অসুবিধাটুকু সে না বলে থাকতে পারে নি। কারণ এশার কষ্টগুলো রাহেলা স্পষ্টভাবে অনুভব করতে পারছে। বিবাহিত জীবনের এতগুলো বছর সেও তো একই ধরনের নির্যাতনই সয়ে যাচ্ছে। স্বামী মাহতাবউদ্দিনও কখনও কোনোদিন তার মনের সাথে সম্পর্ক গড়েনি, শুধু শরীরটাকেই একতরফাভাবে ভোগ করে গেছে প্রতিনিয়ত।
রাহেলা এসব ভাবতে ভাবতে মলিন মুখে রান্নাঘরে যায়। দুপুরের রান্নার আয়োজন শুরু করে। কিন্তু রাহেলার আজ কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। বার বার তার মনে হচ্ছে, রান্নার কাজটা যদি অন্য কেউ করে দিত আজ, তাহলে সে নিরালায় গিয়ে একটু একা বসে থাকত! কিন্তু নিজের কাজ অন্য কারো ওপর চাপানোর জন্য কাউকে অনুরোধ করতে পারবে না রাহেলা।
রান্না চুলায় চাপিয়ে রাহেলা এশার ঘরের দিকে গেল। মেয়েটিকে আগামীকাল তার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাবার কথা বলাটা রাহেলার জন্য কতটা কঠিন কাজ, তা অন্য কেউ বুঝবে না। কিন্তু তবুও তাকে এ কঠিন কাজটি করতে হবে। মেয়েকে খাওয়ানো-পরানোর সামর্থ্য তার নেই।
এশার ঘরে পা রাখার আগেই থমকে দাঁড়ালো রাহেলা। মাহতাবউদ্দিনের মেজ ভাইয়ের স্ত্রী সেজুতির গলা কানে এলো। সে এশার উদ্দেশ্যে বলছে, ‘স্বামী যখন যে অবস্থায় শারীরিক মিলন চাইবে, তখনই স্ত্রীকে হাসিমুখে তা পূরণ করতে হবে। আর তোর বয়স এত কম, তোর তো এসব নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তোর শারীরিক সমস্যা থাকলে বল, আমরা তোকে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করি। শারীরিক চাহিদা পূরণ না হওয়াটা অনেক কষ্টের ব্যাপার পুরুষের জন্য। তোর সমস্যার কারণে জামাই বেচারা কেন এত কষ্ট ভোগ করবে বল!’
রাহেলা বুঝে নিল তার ও মাহতাবউদ্দিনের কথোপকথন তাহলে সেজুতিই শুনেছে দরজার বাইরে থেকে। দ্রুত এশার ঘরে ঢুকল রাহেলা। ছলছল চোখে মায়ের দিকে তাকাল এশা। এই ভয়টাই পাচ্ছিল রাহেলা। সেজুতির দিকে ফিরে রাহেলা বলল, ‘এসব ওকে কেন বলছ?’
মাহতাবউদ্দিনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নীলা সেজুতির পাশে বসে রয়েছে। সে কর্কশ গলায় বলে উঠল, ‘কেন, আমরা কি ওকে খারাপ কিছু বলেছি? আমরা কি ওর ভালো চাই না?’
রাহেলা চুপ করে থাকে। কারণ নিজের অনুধাবনটুকু এদের কাউকে বোঝানোর মতো ভাষা তার জানা নেই।
সেজুতি ও নীলা গম্ভীর মুখে বেরিয়ে গেল এশার ঘর থেকে। মুখ নিচু করে থাকে এশা। এই এতটুকুন বয়সে মেয়েটিকে এসব শুনতে হচ্ছে বলে মনে মনে নিজেকেই ধিক্কার জানালো রাহেলা। এইচ,এস,সি পেরোবার পরই জোর করে মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দিল মাহাতাবউদ্দিন, মা হয়ে সে বাধা দিতে পারল না! অথচ পড়াশোনায় কত ভালো ছিল মেয়েটি তার। বিয়ের পর বি,এস,সি তে ভর্তি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আগের মতো আর পড়ছে না ও। রাহেলা বোঝে, এমন মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ার ইচ্ছে না হওয়াটাই ওর জন্য স্বাভাবিক। তাই ওকে কিছু বলতে পারে না পড়াশোনা নিয়ে।
কয়েক মুহূর্ত নীরবে দাঁড়িয়ে রইল রাহেলা। এরপর এশার মাথায় হাত রেখে বলল, ‘আজ কাপড়চোপড় গুছিয়ে রাখিস মা। তোর বাবা…..’
মাকে থামিয়ে দিয়ে কাঁপা গলায় এশা বলল, ‘শুনেছি মা। ঠিক আছে আমি চলে যাব।’
কান্না জড়ানো গলায় রাহেলা বলল, ‘এবারের মতো যা মা। বেশি সমস্যা হলে আমাকে ফোন করিস। দরকার হলে আমি নিজে জামাইয়ের সাথে কথা বলব।’
এশার টলমল চোখ থেকে এবার পানি গড়িয়ে ওর হাঁটুর ওপরে পড়ল। এই দৃশ্য রাহেলাকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। মাইগ্রেনের ব্যথায় রাহেলা যখন কুঁকড়ে যায়, তখনও এত কষ্ট তার হয় না!
সারাটা দুপুর ঠায় বসে কাটিয়ে দিল রাহেলা। এরপর আছরের আজান দিলে নামাজ পড়ে নিজের সবজির বাগানে ঢুকল। গাছগুলোতে পানি দেওয়ার সময় পাশের বাড়ির মমতা এলো। সে প্রায় রাহেলারই বয়সী। তার ঘরে সয়াবিন তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় এক কাপ তেল নিতে এসেছে। রাহেলা বেরিয়ে এলো বাগান থেকে।
কাপে তেল তুলে দেবার সময় মমতা একটু ইতস্তত করতে করতে রাহেলার উদ্দেশ্যে বলে উঠল, ‘ভাবী, এশার নাকি বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে! ওর নাকি শারীরিক সমস্যা আছে?’
রাহেলার মাথার মধ্যে যেন কেউ জোরে একটা আঘাত করল। বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইল সে মমতার দিকে। তার মেয়ের জীবনের একান্ত গোপন বিষয়টি এভাবে কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেশীর কানে পৌঁছে দেবার মতো নীচ তারই পরিবারের কেউ হতে পারে এই ভাবনাতে রাহেলার গা গুলিয়ে উঠল।
মমতার হাতে তেলের কাপ দিয়ে রাহেলা তৎক্ষনাৎ এশার ঘরে ঢুকল। এশা জানালার দিকে তাকিয়ে বসেছিল। রাহেলা চারদিকে চোখ বুলিয়ে কঠিন গলায় বলল, ‘কী ব্যাপার, কাপড়চোপড় গোছাতে বলেছিলাম না তোকে!’
এশা অবাক হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকাল। এরপর বলল, ‘যাব তো কাল! পরে গুছিয়ে নিব মা!’
‘না, আজই যাবি তুই। সব গুছিয়ে নে, আমি তোকে পৌঁছে দিয়ে আসছি।’
‘মা, কী হয়েছে তোমার? এমন করছ কেন?’
‘কিছুই হয়নি। তুই রেডি হয়ে নে। আমিও রেডি হয়ে আসছি।’
অত্যন্ত কাতর সুরে এশা বলল, ‘রাতটা পার হোক মা, ও বাড়িতে রাতটা আমার কাছে…’
এশা কথা শেষ না করে থেমে গেল। কিন্তু ওর এই অসম্পূর্ণ কথাটুকু শুনে রাহেলার বুকটা ব্যথায় টনটন করে উঠল। চোখের জ্বল লুকিয়ে সে বেরিয়ে গেল।
সুনসান গভীর রাত। রাহেলার পাশে মাহাতাবউদ্দিন নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছে। নাক ডাকার শব্দ হচ্ছে তার। রাহেলার দুচোখে ঘুম নেই। বিগত কয়েক ঘন্টা ধরে সে পরিকল্পনা করছে মাহতাবউদ্দিনকে জাগিয়ে আর একবার এশার ব্যাপারে অনুরোধ করতে, কিন্তু ভয়ে তাকে জাগাতেই পারছে না। অবশেষে শেষ রাতের দিকে সাহস সঞ্চয় করে মৃদু ঝাঁকুনি দিল সে স্বামীর পিঠে, কিন্তু তার ঘুম ভাঙল না। এভাবে কয়েকবার চেষ্টার পর থেমে গেল রাহেলা।
বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে করতে ফজরের আজানের শব্দ হলে বিছানা থেকে উঠে পড়ল রাহেলা। ওজু করে নামাজ পড়ে জায়নামাজে বসে অনেক দোয়া করল এশার জন্য। এরপর উঠে রান্নাঘরে গিয়ে দুকাপ চা বানিয়ে এশার দরজায় নক করল। কিন্তু দরজায় হাত দিতেই দরজা খুলে গেল। আবছা আলোতে সামনে তাকিয়ে দেখল, এশা বিছানায় নেই। ওয়াশরুমে আছে নিশ্চয়। রাহেলা ঘরের লাইটটা জ্বালল। মুহূর্তেই রাহেলার হৃদপিন্ডটা যেন কেউ ছিড়েখুঁড়ে শরীর থেকে আলাদা করে ফেলল। তার সমস্ত পৃথিবী তার চোখের সামনে নিমেষেই লণ্ডভণ্ড হয়ে ধ্বংস হয়ে গেল। ঘরের এক কোণে মেঝেতে পড়ে রয়েছে তার একমাত্র আদরের সন্তানের রক্তাক্ত নিথর শরীর। রাহেলা তার ভারী পা দুটোকে অনেক চেষ্টায় টেনেহিঁচড়ে নিজের সন্তানের লাশের কাছে নিয়ে গেল। অবশ শরীর নিয়ে বসে পড়ল মেঝেতে। কোলের মধ্যে টেনে নিল এশার মাথাটাকে। বাম হাতের শিরা কেটে ফেলেছে মেয়েটি তার। আর ডান হাত মুঠো করে কিছু ধরে রয়েছে। মুঠো আলগা করে একটি কাগজ বের করল রাহেলা, যেখানে এশা লিখেছে, ‘কারো অনিচ্ছায় জোর করে তার শরীর ভোগ করলে সেটা ধর্ষণ হয় আর ধর্ষক সর্বাবস্থায়ই ধর্ষক। বিয়ে নামক সম্পর্কের কারণে ধর্ষকের সংজ্ঞা বদলায় না।’
কাগজটিকে পরম মমতায় ভাঁজ করল রাহেলা। নীরবে নিস্তব্ধে তাকিয়ে রইল মেয়ের মুখের দিকে। ধীরে ধীরে ভোরের আলো ফুটল চারিদিকে। প্রতিদিনই এমন এক নতুন সূর্য উঠবে, কিন্তু রাহেলার জীবন আর কখনও এতটুকুও আলোকিত হবে না।
এশার মাথাটা আবার নিচে নামিয়ে রেখে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল রাহেলা। ঢোক গিলে বুকের জলোচ্ছ্বাস আটকে নিল। অনেক দায়িত্ব তার এখন। মেয়েটা জীবিত থাকতে তার জন্য কিছুই করতে পারেনি কিন্তু এখন অন্ততঃ কিছুটা করবে সে। রাষ্ট্রের আইনের কাছে সে জানাবে, মেয়েটি তার অগণিত বার ধর্ষিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে আর এ ধর্ষণে ইন্ধন জুগিয়েছে নিজের বাবা, স্বজনেরা আর যুগ যুগ ধরে প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা! (সমাপ্ত)
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply