বিয়ের দিন থেকে আমার বাবা কেন আমাকে ঘর ভর্তি ফার্নিচার দেয়নি এই কথা শুনেছি অন্তত কয়েকশবার।সেই সময় আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষের কাছে এই একটা বিষয়ই ছিল তখকার হট টপিক!
গোটা আত্মীয়-স্বজন আমাকে দেখতে আসতো না তারা দেখতে আসতো মেয়ের বাড়ি থেকে কি কি দিল এইসব দেখতে।তারাও মেয়ে বিয়ে দিয়েছে এইসব ঘড় ভর্তি ফার্নিচার দিয়ে।এবং ছেলেকেও বিয়ে দিয়েছে এইসব ঘর ভর্তি ফার্নিচার নিয়ে।
সেখানে বাহারের বউ এর বাপের বাড়ি থেকে বাহারকে কিছুই দেয় নাই?ওহ আমার স্বামীর নাম বাহার। আমার শ্বাশুড়ি তো লজ্জায় মুখ লুকাবে কই এটা ভাবতো সবসময়।তার বোনরা এসে তাকে শুনাইতো তার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে কি কি দিছে আর উনি তখন তুলনা করে দেখে উনার ছেলে তো কিছুই পাইলো না। কি দুর্ভাগ্য উনার ছেলের!
বিয়েতে বাবা কিছুই করেননি এমন ও না।এইযে লাইন ধরে আসা বরযাত্রী, এদের আপ্যায়নের কোন ত্রুটি আমার বাবা রাখেন নি।ছেলেকে যা যা দেয়ার সেসব দেয়া থেকে শুরু করে ছেলের ফ্যামিলিকে কাপড় চোপড় কিংবা আরো যেসব সামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠানোর রেওয়াজ নামক ব্যাপার আমরা পালন করে থাকি তার সবই করেছিলেন আমার বাবা। কিন্তু তাও বিয়ের পর একটা লাইন কম শুনতে হয়নি আমাকে।
কেউ কেউ ঠাট্টাচ্ছলে বলেছেন, কেউ কেউ বলেছেন ব্যঙ্গ করে আবার কেউ বা মুখ বাঁকা করে।কিন্তু বলেছেন সবাই। বলেনি শুধু আমার স্বামী বাহার।সে কিছুই বলে নি। না আমাকে বলেছে, না তার আত্মীয়দের বলেছে কিছু! সে ছিল নিরব। যেন এই জগতে তার স্ত্রীকে কটু কথা শোনার জবাব দেয়া তার দায়িত্বের আওতায়ই পরে না।যেন সেও আশা করেই বসে ছিল শ্বশুরের টাকায় কেনা খাট ড্রেসিং টেবিলে কেটে যাবে কয়েক বছর।
এতকিছুর পরেও আমি কোনদিন আমার বাবাকে বলিনি- বাবা আমাকে অনেক কথা শোনায় তুমি কিছু কিনে পাঠাও। কারণ, আমার বাবা আমাকে সব কিছু দিয়ে বড় করেছে।এবার দায়িত্ব আমার স্বামীর। সে আমাকে কেমন রাখবে এবার এটা দেখার পালা।বাবা হয়তো কিছু না কিছু শুনেছেন ও যে, আমাকে এসবের জন্য কথা শোনাচ্ছে।হয়তো কষ্ট হলেও এসব কিনে দিতেন।সরকারী চাকুরীজিবী একজন ছা-পোষা লোক।কেন একটা মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য তার মাথায় আকাশ ভাঙ্গা চিন্তা নেমে আসবে? কেন??
আমি ছিলাম একদম অনড়! বাবার বাড়ি থেকে কিচ্ছু আসবে না। যে ছেলের আমাকে এত ফার্নিচার দিয়ে রাখার সামর্থ্য নাই তার সাথে আমি ওইভাবেই থাকবো। কিন্তু আমার বাবা সব করবে আর বাধ্যবাধতার নিয়ম মানাবে সে এটা তো হবে না।
আমাকে যত আশে-পাশের মানুষ কথা শোনাতো আমি তত জেদী হয়ে উঠতাম।
আমি জানতাম আমি কোন অন্যায় করিনি।আমার বাবা ও কোন অন্যায় করেনি।তাই আমি কারো কথায় কষ্ট না পেয়ে আস্তে আস্তে প্রচন্ড জেদী হয়ে ওঠা শুরু করলাম।
সমাজের এই সমস্যাগুলা এমনি এমনি তৈরী হয় নাই। উপহার উপহার করে মানুষ যা দেয় এটা একসময় মানুষ বাধ্যতামূলক নিয়ম বানায় ফেলে।কিন্তু আমি এই নিয়মের ধার ধারবো না।
বিয়ের সময় আমার কাবিন নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল। কিন্তু আমি সেদিন বলেছিলাম আমার স্বামীর সামর্থ্য আনুযায়ী কাবিনের টাকা নির্ধারণ হবে। আমি যেমন আমার বাবার টাকা নিয়েও চিন্তা করেছি তেমনি আমার স্বামীর টাকা নিয়েও চিন্তা করেছি।আমি একমুখী চিন্তা কোনদিন করি নাই। কিন্তু তবুও বিয়ের পর থেকে আমার বাবার সামর্থ্য নিয়ে শুনে গেছি অসংখ্য কথা।
আমি কাউকে তেমন উত্তর দেয়ার সাহস পাইনি তা না।কাউকে কোন উত্তর দেয়ার রুচি আমার হয়নি।
১২ বছর ধরে আমার সংসার এভাবেই চলেছে।আমার একটা দশ বছর বয়সের ছেলে আছে।নাহ আহনাফ।
বাহারের মা কিংবা অন্যকেউ আমাকে কিছু বললে বাহার কখনো সেটার উত্তর দিত না।যদি কখনো মা কিংবা কেউ বলে ফেলে- “ছেলে বিয়ের পর বউ এর কথা শুনে” তাই। আমাকেও কিছু বলতো না।শুধু বলতো, মা তো বয়স্ক মানুষ। কি আর এমন বলে। মেনে নাও না!
আমি চেষ্টা করতাম যত কম কথা গায়ে লাগানো যায়।
আমার শ্বাশুড়ির আমার কোনকিছুই তেমন ভালো লাগতো না। মোটকথা আমাকে উনার পছন্দ ছিল না কখনোই। কারণ বিয়েটা উনার ছেলের পছন্দে হয়। উনার পছন্দে না। বাহারের সাথে আমার ৭ বছরের সম্পর্ক ছিল। তাই একপ্রকার ইচ্ছা না থাকলেও উনি এই বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন। তাই আমাকে কখনোই অত ভালোভাবে, ভালোবেসে তিনি রাখেননি নিজের কাছে।
আমার অনেক কাজ তার পছন্দ না।কখনো বাবার বাসায় যেতে চাইলে অনেক বাহানায় আমাকে যেতে দিতেন না।শুনতে হত- “বিয়ের পর এত বাবার বাড়ি কিসের”
বাহারের ও ওই একই কথা, আম্মা যা বলে তাই। আমার স্বামীর নিজের কোন কথা কোনদিন ছিল না।অথচ প্রেম করার সময় বলেছিল, চারু, বিয়ের পর তোমার জন্য আলাদা একটা রেওয়াজ ঘর করে দিব।যেখানে রোজ সকালে গানের রেওয়াজ করবে। অথচ বিয়ের ঠিক আগে আগে একদিন বললো, গান ছেড়ে দিতে হবে। আম্মা এইসব পছন্দ করে না।
শুধুমাত্র আমার শ্বাশুড়ি পছন্দ করে না বলে আমি এই ১২ বছরে কত কিছু ছেড়ে দিয়েছি তার হিসেব রাখিনি কোনদিন।তবুও উনার চোখে একজন ভালো ছেলের বউ হয়ে উঠতে পারিনি।
আমার শ্বশুর মারা যায় আজ ২৫ বছর হবে।অনেক লম্বা একটা সময় আমার শ্বাশুড়ি তার দুই ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছেন।আমার ননদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাহার আর ওর মায়ের একটা ছোট্ট সংসার। ছোট বোনের বিয়ে দেয়ার একটা বিশাল দায়িত্ব ছিল বাহারের মাথায়। কিন্তু সে সব বাবার মতই পালন করে।
বিয়ের পর আমার শ্বাশুড়ি মনে করা শুরু করেন, বিয়ে দিয়ে ছেলে এখন বউ এর হয়ে গেছে। আমার স্বামী আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুড়তে যাওয়া, বাইরে খেতে যাওয়া এসব কিছুই করতো না। কখনো জিজ্ঞেস করলে বলতো- “আম্মা ভাববে আমি আম্মার জন্য করিনি তাই বউ এর জন্য এইসব করলে আম্মা ভাববে আমি তাকে কষ্ট দিচ্ছি।আমার কাছে আমার মা সবার আগে।আর আমার উপর তোমার চেয়ে আমার মায়ের অধিকার এখনো বেশি। তাই এইসব নিয়ে কোন কথা বলবা না।আম্মা কষ্ট পাবে।আমি সবার আগে আমার মায়ের ভালো লাগাই দেখবো। তোমাকে ভালো রাখতে গিয়ে মাকে কষ্ট দিতে পারবো না।তাতে তুমি কষ্ট পেলে আমার কিছু যায় আসে না চারু। যাও ঘরের যা যা কাজ আছে সেসব করো। আম্মার কি লাগবে দেখো।এত ঘোরাঘুরি, বাইরে যাওয়াযাওয়ি এইসব বলবা না তো!“
এই সংসারটায় আমার দম বন্ধ লাগতো।তবুও আমি সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে গেছি। শুধু আমি না। আমি জানি অসংখ্য মেয়ে এইসব মুখ বুঝেই সহ্য করে।
সন্ধে হওয়ার আগে কখনো ঘরে গেলেই আমাকে শুনতে হত কথা, বউ সন্ধ্যার সময় ঘরে গিয়ে ঘুমাচ্ছে!বসে থাকতাম ডাইনিং রুমে কিংবা রান্নাঘরে। আমার শ্বাশুড়ি না খাওয়া পর্যন্ত আমি খেতে পারতাম না, উনি না ঘুমানো পর্যন্ত আমি ঘুমাতে যেতে পারতাম না। এমনকি প্রচন্ড পিরিয়ডের পেইন নিয়েও কোন কোনদিন আমি করে গেছি ঘন্টার পর ঘন্টা তার মন রক্ষা করার কাজ।
রাঁধতাম আমি কিন্তু খাবার বেড়ে দিতেন উনি। চাইলেই আমি কোন মাংসের টুকরা পছন্দ করি সেটা কখনো খেতে পারতাম না।কখনো একটু আইস্ক্রিম কিংবা চিপ্স খেতে ইচ্ছা করলে বাহারকে বলতে পারতাম না।কখনো কাচ্চি কিংবা হালিম খেতে ইচ্ছা করলেও সেসব ইচ্ছা গলা টিপে মেরে ফেলতাম।এরপরেও আমার শ্বাশুড়ি তার বোনদের কাছে ফোন দিয়ে বলতেন- আমি কতটুকু খাবার খাই কি দিয়ে খাই! আমার বাবা তো কিছুই দেয় নাই।এখানে এসে আমার যত ফুটানি।
আমি কখনো কোন ভুল না করেও আমার শ্বাশুড়ি আমাকে কথা শুনাইলে সেটা নিয়েও বাহারের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না।ওর একটাই কথা, আমার মা কি ভুল? তুমি ঠিক? নিজেকে কি মনে করো?
আহনাফ বড় হচ্ছে। আমার ছেলে এমন কিছু দেখে দেখে না ওর বাবার মতই হয় সেই চিন্তায় ইদানীং আমার রাত কাটতেই চায় না। এতকিছুর মধ্যে ছেলেটাকে ঠিকঠাক মানুষ করতে পারবো তো?
একদিন, বিকাল থেকে আমার শ্বাশুড়ির প্রচন্ড জ্বর।আমি আমার শ্বাশুড়িকে কিছু খেয়ে একটা ওষুধ খেয়ে নিতে বললাম।কিন্তু মুখে রুচি না থাকায় উনি কিছু খেতে চাইলেন না। আমি খালি পেটে ওষুধ দেয়া ঠিক হবে না দেখে কোন ওষুধ ও দিতে পারছি না। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।তাও অনেকবার চেষ্টা করলাম কিছু খাওয়ানোর। কিন্তু উনি শুনলেন না।
সেদিন রাত ৮টায় বাসায় ফিরলো বাহার। এসেই দেখলো মা শুয়ে জ্বরে কাঁপছে!
রুম থেকে বের হয়েই হম্বিতম্বি হয়ে আমার উপর চড়াও হয়ে উঠলো। তুমি সারাদিন বাসায় কি করো? করোটা কি? মায়ের খেয়াল রাখতে পারো না? সামান্য জ্বর আসছে ওষুধ দিতে পারলা না? ইচ্ছা করে এইসব শুরু করছস তুই?
মুহূর্তেই তুমি থেকে বাহারের সম্বোধন তুই তে চলে আসায় আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো! এই মানুষটাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম? সত্যিই এই মানুষটাই ছিল তো? বাহার আবার শুরু করলো,
“আমার মা তোরে মাঝে মাঝে এইটা ওইটা বলে দেখে তুই মায়ের অযত্ন করবি? অবহেলা করবি?তোর এত এখানে ওখানে যাওয়ার শখ, ঘুড়া খাওয়ার শখ এইসব আমার মায়ের জন্য পূরণ করি না দেখে এত বাড় বাড়ছে তোর?
তোর আর এই সংসারে থাকা লাগবে না। তোরে নিয়া আমি খাবো না। তুই বাপের বাড়ি চলে যাহ। তোর এই বাসায় কোন জায়গা নাই”
কিছুক্ষনের মধ্যেই বাহারের মাথায় আমার ছেলের পেন্সিল বক্স উড়ে এসে মাথায় লাগলো! কি হলো এইটা?
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি আমার দশ বছরের ছেলে বিছানার উপর উঠে দুই হাত কোমরে দিয়ে দাঁড়ায় রাগে ফোঁস ফোঁস করতেছে!
বাহার প্রচন্ড অপ্রস্তুত হয়ে গেলো আহনাফের এই কান্ড দেখে।গলা নামিয়ে নিজের ছেলেকে প্রশ্ন করলো, “বাবা তুমি এইটা কি করলা?”
আহনাফের চোখ ছলছল করতেছে! ও চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ওর বাবাকে বললো- “আমার মায়ের সাথে তুমি একদম চিল্লায় কথা বলবা না।একদম না।তোমার কাছে যেমন তোমার মায়ের দাম সবচেয়ে বেশি তেমন আমার কাছেও আমার মায়ের দাম সবচেয়ে বেশি।আমি স্কুলের ধর্ম বইতে পড়েছি ;‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত’।আমি আমার মাকে নিয়ে চলে যাব এখান থেকে।আমি খাওয়াবো আমার মাকে। আমিও তোমার মত চাকরি করবো এরপর আমার মাকেও আমি আর কারো কথা শুনতে দিব না”
আমার শ্বাশুড়ির জ্বর মনে হয় আমার ছেলের কথা শুনে অর্ধেক ভালো হয়ে গেলো! উনি বিছানা থেকে উঠে আমাদের ঘরের সামনে এসে হা করে তাকিয়ে আছেন। বাহারের মুখ ও বন্ধ হয়ে গেছে।
আর আমার চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ে আমার চিবুক ভিজে যাচ্ছে।আমি এতদিন যে কথা বলতে পারতাম না আজ আমার হয়ে আমার ছেলে সেই কথার উত্তর দিয়ে দিল।আমি এতদিন ভাবতাম আমার জন্য কথা বলার কেউ নেই।কে বলেছে নেই! আছে! আমার সন্তান আছে।
১২ বছরে আমার সহ্য করা সব কষ্ট যেন মুহূর্তেই আমার ছেলে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল ওর আজকের কথায়। আহনাফ ওর বাবার থেকে মাকে ভালোবাসা ঠিকিই রপ্ত করেছে। কিন্তু আমার ছেলেকে আমি বউকেও সম্মান দিতে শেখাবো যেটা আমার শ্বাশুড়ি তার ছেলেকে শিখাইতে পারে নাই।
সেই রাতেই আমি আহনাফকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসি।আর কোনদিন আমি ফিরে যাইনি সেই সংসারে! সেই সংসারের জন্য আমার কোন মায়া নেই।
আহনাফকে আমি বড় করেছি একা।বাহার আর কোনদিন আমাদের খোঁজ ও নেয়নি।আমি চাই ও নি আমার সন্তানের উপর কোন খারাপ মানুষের প্রভাব পড়ুক।
আজ আহনাফের ২৭ তম জন্মদিন।তার নিজের জন্মদিনে সে আমার জন্য একটা খামে করে উপহার আর একটা পদ্ম ফুলের বুকেট নিয়ে এসেছে।
আমি চশমা ঠিক করতে করতে খাম খুলে দেখি- সেখানে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার দুটো এয়ার টিকিট আর একটা খাম। সেখানে লিখা- “মমতাময়ী মা,আমি জানি তোমার এই পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর শখ ছিল।কিন্তু বাবা কোনদিন সেটা পূরণ করেনি। আজ থেকে সেই দায়িত্ব আমি নিলাম।আমার মাকে আমি পৃথিবী ঘুরে দেখাবো।“
১৭ বছর আগে আমার যেমন আনন্দে কান্নায় চোখ আর চিবুক ভিজে যাচ্ছিল আজ ও তেমন করেই কান্না পাচ্ছে। আনন্দে!
আমি হয়তো ঠিকঠাক সংসার করতে পারিনি,একটা ভালো ঘর পাইনি, জীবনে সঠিক মানুষ পাইনি কিন্তু আমি আমার সন্তানকে নিয়ে একটা নিজের পৃথিবী গড়ে তুলেছি!তাকে একজন ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে হয়ে উঠতে শিখিয়েছি! ওকে আমি পুরুষ না মানুষ হিসেবে তৈরী করেছি।ওর এমন ভালোবাসার যেন শুধু মায়ের জন্য না ওর স্ত্রীর জন্য ও থাকে আজীবন। যেটা ওর বাবার ছিল না।
আজ আমার মহা আনন্দের দিন।আমি আজ পুরোনো কিছুই ভাববো না। আমি আজ আমার ছেলের সাথে পৃথিবী ঘুড়ে দেখার জন্য ব্যাগ প্যাক গোছাবো।আজ আমি অন্যকিচ্ছু ভাববো না।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply