আসা যাওয়ার মধ্যিখানে পথ..
দুলছে কেমন কিষানবধূর নথ..
হয়তো বসে বটতলাতে কেউ..
হয়তো তীরে লাগছে নদীর ঢেউ..
হয়তো ডানে বরজভরা পান.
হয়তো ভেসে আসছে মাঝির গান..
পুবাল হাওয়ায় মন করে ফুরফুর..
হয়তো রাখাল তুলছে বাঁশির সুর;
#
হাতের বাঁয়ে নিবিড় সবুজ বন..
বনের আঁধার কাড়ছে তোমার মন..
পাখির ডাকে থমকে গেল পা..
এবার তুমি আস্তে ফেলো পা।
#
বনের ভেতর ধীরপায়ে যাও খুব..
ডাকছে বুঝি ডাহুকী গুবগুব..
আসলে ভেসে মউল ফুলের বাস..
দুচোখ বুঁজে নাও ধীরে নিঃশ্বাস..
দৃষ্টি মেলে ঘুরিয়ে দেখো ঘাড়..
জাওয়া ঝাড়ে হাওয়াতে তোলপাড়.
বকের পালক ছড়িয়ে চারিদিক.
ঝিঁঝির গানে মন হারাবে ঠিক..
তোমার মোটে হবে না বিশ্বাস–
মর্ত্যে তুমি করছ বসবাস!–
ভাববে বুঝি স্বর্গে আছো তুমি;
এইতো এমন আমার জন্মভূমি।
#
তোমার আমার জন্মমাটি এই..
দুখের মাঝে সুখেরও শেষ নেই..
কষ্ট আছে, আছে চোখের জল..
শোক মুছে দেয় নিসর্গ নির্মল..
ইমলিছায়া মায়ের মায়া ঠিক..
স্বপ্ন ছড়ায় জোছনা চারিদিক..
স্বর্গ সমান সুখের সমাবেশ..
এইতো আমার সোনার বাংলাদেশ।
Leave a Reply