অধিকাংশ পুরুষেরই এই এক স্বভাব!
একটু কাছে ভিড়লেই তারা
শরীরের দিকে ঝুঁকে যায়।
অথচ শরীর পেতে হলে যে মনটাকেই
আগে ছুঁয়ে দিতে হয়
তা তারা বোঝেই না ;
কিংবা বুঝলেও শরীরের প্রতি তীব্র চাহিদার আকর্ষণবোধে একেবারে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে
যাচ্ছেতাই অবস্থার সৃষ্টি করে ফেলে।
যে পুরুষের মাঝেই আমি বিশ্বস্ততা খুঁজি
সেই সম্পর্কের কোনো না কোনো
এক পর্যায়ে আত্মিক সম্পর্কটাকে
গৌণ করে শরীরটাকেই
সর্বোচ্চ গুরুত্বের
পর্যায়ে নিয়ে যায়।
এই যেমন সেদিন মৃণালকে বললাম কলেজের হলরুমে একটু দেখা করতে-
ও আসলো বটে তবে আশেপাশে কেউ নেই
দেখতেই কী বিচ্ছিরি রকমের
কামুক দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো,
হাতদুটোকে সজোরে
টানতে লাগলো নিজের দিকে।
অথচ ভার্সিটি জীবনের কয়েকটা বছর
একসাথে পার করবার পরও ওর
এমন বিভৎস কুৎসিত রুপ
আমি ইতিপূর্বে কখনোই দেখিনি।
আহা বন্ধুত্ব, আহা বন্ধুত্ব,
এত বছরের সুন্দর সুশোভন সম্পর্কটা,
বন্ধুত্বটা সেদিন এক নিমিষেই ক্যামন শেষ হয়ে গেছিল!
পুরুষ কী তবে নেকড়ের মতোই ভয়ানক
একটু সুযোগ পেলেই টেনে ছিঁড়ে খেতে চায়?
এবার বলছি আমার এক প্রাক্তন প্রেমিকের কথা।
ফেসবুকে যার সাথে আলাপ হয়েছিল।
সম্পর্কের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই
সে আমার কাছে নগ্ন অর্ধ-উলঙ্গ
স্থিরচিত্র চেয়ে বসেছিল
কিন্তু আমি তা দিতে অমত করাতে
মুহুর্তেই সে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
অথচ আমার চোখে ও প্রথম দিন
থেকেই ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম প্রেমিক পুরুষ।
সেদিনের ঘটনার পর অবশ্য রাতারাতিই
ও আমার চোখে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক পুরুষ থেকে
ধর্ষকের মতোই জঘন্য হয়ে উঠেছিল।
আহা পুরুষ, আহা পুরুষ,
এমন কেন তুমি, কেন তুমি এমন?
কবে দেওয়া শিখবে বুকের জমিনে
অতি যতনে আগলে রাখা ভালোবাসার কাঙ্ক্ষিত, সঠিক মূল্যটা ?
কবে থেকে আর বিশ্বস্ততায় গড়া ভালোবাসার পবিত্র সম্পর্কটাকে
কেবল শরীর ভোগের তাড়নায়
হারিয়ে যেতে দেবে না?
কবে তুমি বুঝবে যে শরীর ছুঁতে
মনটাকেই আগে ছুঁয়ে দিতে হয়?
মন ছাড়া যে শরীর ছোঁয়া যায় না, ছুঁতে নেই।
সে ছোঁয়া যে পাওয়া নয়, পাওয়া নয়!
কবে তুমি বুঝবে পুরুষ, কবে তুমি বুঝবে?
কবে দিতে শিখবে বিশ্বাসের যথোপযুক্ত মর্যাদা,
সম্পর্কের ঠিকঠাক, যথার্থ মূল্যায়ন?
কবে দিতে শিখবে? কবে?
কবে, কবে, কবে?
কবে…………..
Leave a Reply