1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

আমার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা ### সাদিয়া তাবাসসুম সোহাগি

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৯৫৪ বার
সব গল্পের ই একটা শেষ পরিনিতি থাকে। তা না হলে এই ভূতুরে বাসায়, এই ভুতের সাথে তো আর থাকতে পারতাম না, তাই না? তাই এই ভূত থেকে কিভাবে রেহাই পেলাম, এই সব নিয়ে আমার এই “অবিশ্বাস্য” গল্পের পার্ট 3,4,5 নিয়ে আসলাম। প্লিজ সবাই গল্পটা শেষ অব্দি পড়বেন একটু কষ্ট করে।
অনেক ভাবীরা messenger এ অনেক tension করছে আমাকে নিয়ে। তাই উনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, tension করার কিছু নাই। শেষ অব্দি পড়লে সব কিছু বুঝতে পারবেন।
সত্যি! সত্যি! সত্যি! ভূতের গল্প।🎃🎃
ভূত বলে কিছু আছে নাকি আবার? আমাদের অনেকেই এরকম কথা বলে থাকে। কিন্তু ভূতের পাল্লায় পড়লে, আর এই ধরনের কথা মনে থাকেনা। তাই বলে, সত্যিই কি ভূত আছে!!👻
আজকের এই জগতে এই আজগুবি ভূতের গল্প কেউ আর বিশ্বাস করে না। আর ভূতুড়ে গল্প গুলো খুব ভয়ংকর ও থাকে। ভূতুড়ে গল্প গুলো যদি ভয়ংকরই না হয়ে থাকে, তাহলে ভূতের গল্পের মানে কি??🤔
ভূতের গল্প গুলো যদি কেউ পড়ে, তাহলে, ভূতের গল্প গুলা শেষ অব্দি না পড়া পর্যন্ত কিছু ভালো লাগেনা।
আসলে আমরা যারা বলি ভূত আছে, আমরা কি কখনো সরাসরি তাকে দেখতে পেয়েছি?একটা কৌতুহল ছোটবেলা থেকেই, ভূত আসলে দেখতে কেমন হয়? জীবনে যদি একবার ভুতের সাক্ষাৎ পেতাম!! তাই গভীর রাতে মাঝেমধ্যে জানালা দিয়ে তাকাই কোন ভূত-টুত দেখা যায় কিনা। কিন্তু আজ অব্দি কিছুই চোখে পড়েনি।💀💀
কিন্তু আমার বাসার ঘটনাটা আমার কাছে একটু অদ্ভুত লাগে। হতে পারে সবই আমার মনের ভুল।যাক, শুরু হচ্ছে গল্প অবিশ্বাস্য পার্ট ৩,৪,৫।
Part -3
সালটা ছিল 2012। আমার হাজবেন্ডের একটা ছোট অপারেশন হবে। তাই আমি, আর আমার বাচ্চা ওর সাথে চলে যাব hospital এ। ওইখানে দুই-তিন দিন থাকতে হতে পারে। তাই আমি দু-তিন দিনের কাপড় গোছগাছ করে লাগেজ এ ভরে ফেললাম। হসপিটালের খাবার তো দুই তিন দিন রোগীকে খাওয়ানো যাবে না।
তাই ভাবলাম যদি বাসায় কাউকে রেখে যাই,তাহলে রান্না-বান্না করে হসপিটালে পাঠাতে পারবে। আমার একটি ছোট বোন হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। আমার বোনটিকে সব বুঝিয়ে বলার পর ও রাজি হলো আমার বাসায় এসে থাকবে। ও চলে আসলো বাসায়। আমরা ওকে বাসায় রেখে চলে গেলাম হসপিটালে।
ভেবেছিলাম ওর অপারেশন হওয়ার পর আমি বাসায় চলে আসব যেহেতু, বাসায় আমার বোনটি একা। কিন্তু অপারেশনের পর, ওর অবস্থা একটু critical ছিল। তাই, একা রেখে আসতে পারি নাই। ডাক্তার বলছিল যেন সাথে কেউ আপন জন থাকে। তাই, আমি আমার ছোট বোনটিকে ফোন দিলাম, যে,” আমাকে তো আজকে হসপিটালে থাকতে হবে। তুমি কি আজকে বাসায় একা থাকতে পারবে”?
তখন ও বলল, “হ্যাঁ, পারব। অসুবিধা নেই”।
রাত বারোটা। সেদিন ছিল 31st night। 🎉 প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে ছিল সেদিন। আমার বোন drawing room এ বসে TV দেখছিল। তখন অনেক রাত। হঠাৎ সে আমাকে ফোন দিল। বলল,” রান্না ঘরের দরজাটা বন্ধ করে আমি ড্রইংরুমে টিভি দেখছিলাম। ভাবছিলাম, একটু পরে বেড রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু হঠাৎ, শুনতে পেলাম, রান্নাঘর থেকে হাড়ি পাতিল মাজার শব্দ আসতেছে। অনেক শব্দ করে কে জানি হাড়ি পাতিল ধুচ্ছে!!”
আমার তো ভয় হাত-পা কাঁপছিল তখন। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। হসপিটাল থাকবো, নাকি বাসায় চলে আসব?😞 আমাদের driver কে অামি বিদায় করে দিয়েছিলাম কারন, ভাবছিলাম যে আমি তো হসপিটালেই থাকব। কিন্তু এত রাতে যে এই বড় সমস্যা হবে, এটা আমি কখনোই ভাবিনি’। একদিকে বোন- আরেকদিকে হাসবেন্ড। আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।😰 আমার আশেপাশেও help করার মত কোন লোকজন ছিল না, যে help চাইবো!!
তখন আমি ওকে সাহস দেওয়ার জন্য বললাম,” ভয় পেয়ো না। এগুলা কিছু না। আমাদের রান্নাঘরের পানির কল টা একটু loose। তাই পানি টিপটপ শব্দ করে পড়তে থাকে। এটার ই শব্দ তুমি শুনতে পাচ্ছ। তোমার একা বাসায় থাকার দরকার নেই। তুমি পাশের বাসার ভাবির কাছে চলে যাও।”
তারপর ও বলল,” আমি কিছুতেই সোফা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারবো না। আমার খুব ভয় লাগছে!!”
তখন কি করব বুঝতে পারছিলাম না। আমাদের পাশের বিল্ডিং এ আমার এক পরিচিত ভাবি ছিল। তখন ওনার ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম যেন কাউকে আমাদের বাসায় পাঠায়। কিন্তু, এত রাতে কেউ কারো বাসায় কেন আসবে? এটা তো একটু অড লাগে। কিন্তু আমার কোনো উপায় ছিল না। এসব চিন্তা করতে করতে পর ভাবলাম,ওকে সাহস দেই, আর ফোনে সারারাত ওর সাথে কথা বলি। যেন ও আর ভয় না পায়। সেটাই করলাম।
সেদিন তো 31st night ছিল, তাই টিভিতে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম দেখাচ্ছিলো। তখন ওকে বললাম, “টিভিটা ছেড়ে রাখ, আর আমি সারারাত তোমার সাথে লাইনে আছি। একদম ভয় পেয়ো না।”
এতটা ভয় পেয়েছিল যে, ওয়াসরুমে ও পর্যন্ত যেতে পারছিল না। ওর সাথে সারারাত কথা বলতে বলতে ভোর হয়ে গেল। আর ফজরের আযানের পর রান্নাঘরের শব্দটা ও বন্ধ হয়ে যায়।
এ পর্যন্ত যত ভূতের গল্প শুনেছি, ভূতরা কিন্তু কাউকে মারে না। শুধু ভয়ই দেখায়।( ভুতরা সেই দিক দিয়ে আবার অনেক ভালো🤣) যখন বাহিরে একটু ফর্সা হলো, ও এক দৌড়ে গিয়ে রিক্সায় উঠে ওর হোস্টেলে চলে গেল।
এ পুরা রাত যে ওর উপর দিয়ে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি গিয়েছে!! সেটা আমি চিন্তা করলে, এখন মনে হয় আল্লাহর রহমত ছিল বলে বেঁচে গেছে।
সেই থেকে আমার বোনটি যতবার আমার বাসায় এসেছে, একা কোন রুমে সে কোনদিন থাকেনি। আমার বাসায় এসে এখনো অব্দি অনেক ভয় পায়। আর আমাকে বলে, “তোমরা যে কিভাবে এই ভূতুরে বাসায় থাকো আল্লাহই জানে!”
Part -4
এই ঘটনাটা অন্যদের কখনো হয় কিনা জানিনা, তবে আমার হয়। যদি কোথাও বেড়াতে যাওয়ার নাম নেই, আর ঘুম আসেনা চোখে। আর কোথাও গেলে তো আরো আগে আসেনা।
আমার বিছানা, আমি যেই পাশে শুই, এই পাশ ছাড়া আমার কোনদিনও ঘুম আসেনা। আরেকটা অভ্যাস হচ্ছে কোথাও যাওয়ার আগে আমি সব গুছিয়ে তারপর যাই। যেন বাসায় এসে একটু relax এ থাকা যায়।
সেদিন আমি আমার বাবার বাড়ি চলে যাব। তাই আগের দিন আমি সব গোছগাছ করে ফেললাম। ঘরের সব খেলনাগুলো একটা basket এ ভরে corner এ রেখে দিই। সব কাজ শেষ করতে করতে রাত তখন বারোটা।আমার বাসায় একটা কাজের মেয়ে ছিলো।তাকে বললাম,ঘুমিয়ে পর,আমিও ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে ঘুম থেকে আমি আগে উঠে দেখলাম,যে খেলনাগুলো, আমি গুছিয়ে রেখেছিলাম সেগুলো সব ডাইনিং রুমে এসে দেখি ছড়ানো ছিটানো!! কাজের মেয়েটাকে গিয়ে ডাক দিলাম। এগুলা কে এলোমেলো করেছে? কাজের মেয়ে বলল,” আপনার ডাকেই এখন আমার ঘুম ভাঙলো। আমি কি করে বলব?” তখন তো আমি অবাক হয়ে গেলাম।এই রহস্য আজও আমার কাছে রহস্যই রয়ে গেল।
পার্ট ৫
( অবিশ্বাস্য শেষ পর্ব)
বাড়বাড় ই, কিছু না কিছুর ইঙ্গিতএ আমি আর আমার হাসবেন্ড একটু tension এ পড়ে গেলাম। তখন আমরা decide করলাম, হয় বাসা ছেড়ে দিব, নয় এটার একটা বিহিত করব। সব ঘটনায় একজন হুজুরের কাছে বলা হলো। হুজুর বললো,” আসবে আমাদের বাসায়”। ওর বাবা বলল,” যেন 10 জন মাওলানা কে সাথে নিয়ে, আমাদের বাসায় দুপুরবেলা lunch করে যায়।”
দুদিন পর রোজা ছিল। তাই হুজুর বললো,” আমাদের হাতে তো সময় নেই। তাই আমরা কাল সকালে ফজরের নামাজ পড়ে, কুরআন খতম দিয়ে আপনাদের বাসায় খাওয়া-দাওয়া করব ইনশাআল্লাহ”। আমি আমার সাধ্যমত হুজুর দের জন্য রাত তিনটা থেকে রান্নাবান্না শুরু করে দিলাম। কারণ, হুজুর বলেছিল ফজরের নামাজ পড়েই আমাদের বাসায় চলে আসবে।
10 জন হুজুর মিলে 20 মিনিটেই কুরআন খতম করে ফেলেছিল। হুজুররা সবাই খাওয়া-দাওয়া করলো, দোয়া-দুরুদ করল, এবং আমাদের বাসাটা ঘুরে ফিরে দেখল।
তখন হুজুর আমাদের কে কিছু উপদেশ দিলেন। হুজুর বললেন,” দেখেন, ভয় কে যদি আমরা মনের ভিতরে প্রশ্রয় দেই, তাহলে সেটা এখানে বাসা বেঁধে ফেলে। উদ্বিগ্ন না হয়ে চেষ্টা করবেন, এবং মনকে বুঝাবেন। এটা সম্পূর্ণ আপনার মনের ভুল ধারণা। বেশি বেশি ভূতকে নিয়ে আলোচনা করা, ভূতের বই পড়া, কিংবা ছবি দেখা- এসব থেকে দূরে থাকবেন। কয়েক দিন পর ব্যাপারটা এমনি ই মিলিয়ে যাবে। যদি সবাই বেশি বেশি ভয় পান, তাহলে একা একরুমে থাকবেন না। রাতে লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন। আর নামাজ পড়বেন বেশি বেশি। এমনি ই ঠিক হয়ে যাবে। আর আপনার বাসায় কিছু নাই,আমি দেখেছি। আর রাতে ঠিকঠাক মতো ঘুমান। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”
হুজুররা দোয়া করে চলে গেলেন। আজ ও হুজুরের কথাগুলো আমার মনে পড়ে। এরপর থেকে ইনশাল্লাহ আর কোন সমস্যা হয়নি।
এর কিছুদিন পরের ঘটনা……………..
আমরা ডিনার করবো সবাই মিলে বসে আছি ডাইনিং টেবিলে। হঠাৎ Electricity চলে গেলো। বাসার IPS টা ও নষ্ট ছিল। 5 মিনিটেই আবার কারেন্ট চলে আসবে বলে আমি আর ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে লাইট জ্বালাই নাই। অন্ধকারে সবাই বসে আছি, কারেন্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি কবে আসবে। 5 মিনিটের মধ্যে কারেন্ট চলে আসলো।
সবাইকে খাবার serve করব এই মুহূর্তে দেখি- আমার হাতে লেখা বড় বড় অক্ষরে,” আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, আমি চলে যাচ্ছি”!!!!!
লেখাগুলো ছিল উল্টো, তাই আয়নার সামনে নিয়ে হাতটা ধরলাম। দেখলাম, লেখা,” আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, আমি চলে যাচ্ছি”!!! আমি এক চিৎকার দিয়ে আমার হাসবেন্ড কে লেখাটা দেখালাম। ও সাথে সাথে আমার হাত থেকে লেখাটা মুছে ফেলল।
বলল, এটা কিছু না। তুমি তো একটু আগেই ঘুমিয়ে ছিলে, ঘুমের ঘোরে হয়তো তোমার হাতে তুমিই লিখেছ”।
ও যে এটা একটা সান্ত্বনা দিচ্ছে আমাকে আমি এটা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম।যাক-
এই রহস্যটা আমার কাছে আজও রহস্যই রয়ে গেল।
এরপর থেকে আর তেমন কিছু ঘটেনি আমাদের সাথে।
অবিশ্বাস্য, বাস্তব গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই।
এরপর আমি আপনাদের জন্য কিছু ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে আসব। এগুলো আমার বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া।এতক্ষণ যাবত, আমার গল্পটি ধৈর্য ধরে পরার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Image may contain: one or more people and people standing, text that says "বাচ্ছি, দিবেন চলে করে আমি কষমা আমাকে"

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..