আমাকে একটু আদর করবে, কি আদর করবে না নুর? নিরব তাই এতসুখ,হঠাৎ দু’ফোটা তপ্ত অশ্রু ঝরে পড়ে।তুমি কাঁদছ অনামিকা …… কেন? অব্যক্ত বেদনায় হারিয়ে……।অনামিকা তুমি আমার জীবন ছন্দময়।তুমি স্বপ্নের মাঝে বেঁচে থাকার প্রেরণা অন্বেষন।তুমি গানের সুরের মত প্রতিষ্ঠা পাওয়ার দিশারী।আর বারিয়ে বলা ঠিক,হবে কি?অনামিকা বলল।তোমার মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন।ঠিক আছে পরে নিও।এখন তো হাতে সময় নেই।তড়িঘড়ি করে চলে যেতে চাচ্ছে নুর।অলকার অলিন্দে বিরহীনি বধুর মত দেখা যাচ্ছে অনামিকাকে।অনামিকা মায়ায় মায়ায় ভাবে তাকিয়ে নুরকে বিদায় দিল।
এই বিদায় কি ক্ষনিকের নাকি চির বিদায় নির্লিপ্ততা তার মধ্যে কষ্টময় আলেয়ার আলো।নুরের বাবা হার্ট এ্যাটাক্ট করে মারা যায়,এতে তার ফুফু মুর্ছিতা হয়ে পরেছে।ঘরে বাহিরে আনাচে কানাচে আত্মীয় স্বজনদের ক্রন্দন ধ্বনিত হচ্ছে।প্রতিবেশি এক বয়স্ক লোক এসে বলল,নুরের নিকট খবর পাঠাও,অন্য একজন বলল,তার আজই পরীক্ষা শেষ।নুরের পরীক্ষা শেষ করে হোস্টেলেই ফিরবে।এমন সময় গেটের সামনে বাড়ি হতে দু’জন লোক এসেছে তার সাথে দেখা হয়।এই মুহুর্তে তাকে বাড়ি চলে যেতে হয়।অনাকাঙ্খিত ভাবে যদি সে হোস্টেলেই আসতে পারত,আসার মত পরিবেশ ছিল প্রতিকুল অবস্থা এর জন্য তার আসা হয়নি।যখন আসার সময় হয় তখন ভাগ্য তাকে কাঁদাবে।
Leave a Reply