হঠাতই নিজের মধ্যে ভীষণ কুকড়ে যাওয়া এই আমাকে কখনো কি চিনতে পেরেছো,
পেরেছো যে কখনো ঠিকঠাকভাবে বুঝে উঠতে যে কতোটা নিদারুণ সময়ের যূপকাষ্ঠে, কতোটা সকরুণ অসহায়ত্বে, কী ভীষণ অপারগতায়
আমি হয়ে থাকি আজ
এমন মধ্যসাগরীয় জলরাশির মতো শীতল, হারিয়ে যাওয়া সময়ের মতো এমন স্থবির,
অগোচরে লুকিয়ে রাখি নিজেরে
অপরিস্ফুট পত্রপুষ্পের মতো সঙ্গোপনে?
কতোটা যাতনা দু’কাধে চেপে বসলে থামিয়ে রাখি ভালোবাসা বিনিময়ের পঙক্তিমালাকে, কথোপকথনের মধুরতর দিনলিপিতে?
সে কথা কি কখনো একটিবার ভেবেছো প্রসন্ন চিত্তে?
নাকি কখনো ছুঁয়ে দেখেছো তারে আলতো করে একটিবার উপলব্ধির আঙুল দিয়ে?
দেখোনি প্রিয়তম, দেখোনি, দেখতেই যদি একবার তবে তুমিও বুঝে নিতে সবটা,
কতোটা জীবনের জঞ্জাল বইতে বইতে আমি আজ এমন ভাষাহীন নির্বাক, কতোটা বাস্তবতার কষাঘাতে লুকিয়ে রাখি আজ ভীষণ গোপনে নিজ অস্তিত্ব!
কিংবা কতোটা অমানিশার আঁধার ছুঁলে নিঃশ্বাস যোগাযোগ ঢেকে যায় এমন মলিনতায়,
কথারা থমকে থাকে,
ঝরে পড়ে না অঝরে ভোরে টুপটাপ ধরে পড়া শিউলির মতো সহাস্যে।
তার কিঞ্চিতও যদি তুমি কখনো বুঝতে প্রিয়তম তবে আর এমন নির্বাক দিনের মতো অভিমানের দহনে পোড়াতে না নিজেকে,
ছুঁড়ে দিতে না এমন করে ভুল বোঝাবুঝির নীরব অভিসম্পাত।
বরং দূর হতেই করে যেতে কেবল দিন বদলের নীরব প্রার্থনা, সঞ্চয় করতে ক্রমশ তোমার তুমিকে আগের মতো করে ফিরে পাবার সকরুণ তীব্র বাসনা।
আগতে রাখতে অহর্নিশ তারে তোমার সকল অদৃশ্য অনুভবে, নীরব ভালোবাসায়।
Leave a Reply