দিন,মাস,বছর প্রদক্ষিণ হয়ে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হয়।ঋতু তার মেয়ের ছবি নিয়ে হিমু বাসস্থান রাজশাহীতে বেড়ানোর জন্য আসেন।দু’বন্ধুর দীর্ঘ বিচ্ছেদেই হঠাৎ দর্শনীয় তাদের অন্তরতম মিলন মধুর হয়ে উঠে।ঋতু মনুকে আদর করে প্রীতির অর্ঘে বরণ করে নেয় মর্মস্থলে মনু মাতা মোছলেমা ছবি মনুকে দিয়ে বলে ও তোমার সবচেয়ে আপনজন আর জীবনা লেখ্য হবে জীবন সঙ্গীনি।লেখাপড়া শিখে বড় হলে ওকে তুমি স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের প্রয়াস পূর্ণ করতে হবে।ঋতু মনু মাতাকে উদ্দেশ্য করে বলে,ভাবি সে ছোট তাকে এইসব বলা অনাকাঙ্ক্ষিত এতে তার অনিষ্ট হবে।মনু মাতা স্মিত হেসে বলে,সত্য বিষয় সময় মত উপস্থাপন করার প্রয়োজন।তা না হলে এর ফলে আমাদের এই প্রতিজ্ঞা প্রতিবন্ধ হয়ে তার জীবন হয়তো ম্রীয় মান রচনা,হবে কি?তাই না?হাস্যর্দৃঢ় কন্ঠে ঋতু উত্তর করে হ্যা।সত্যি তাই।শোনেন ভাইজান আমার মা মনীকে এই সত্যটি সঠিক সময়ে প্রকাশ করবেন অসময় প্রকাশ হলে আমার মনুর ভবিষ্যত জীবন প্রভা অন্তরায় হবে।অবশ্যই,চাকুষ জ্ঞানে সতর্ক উদ্বেগ হবেন না।
মোছলেমাকে বঞ্চিত মনুর যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলব আমারই কাম্য।ঋতু সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের সময় হিমু আর মিসেস হিমুর নিকট হতে বিদাইয়ে আন্তরিক ভরা মায়াময় তিনজনের হৃদয়কে আকুলতা সৃষ্টি সেই মুহূর্তে।সময়ের পরিক্রমায় দশ বৎসর অতিবাহিত পরিসরে তাদের যোগাযোগ ম্রীয়মান মনু হতে হতে এক সময় আসাদৃশ্য হয়ে যায় …… মনু ছাত্র অবস্থায় থেকে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে যথা সময় সুনাম কুড়িয়েছেন ছদ্ম নামে।ছদ্ম নামের উপন্যাসিক এর কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ ও উপন্যাসের ভক্ত ছিলেন মোছলেমা।মোছলেমা নিজের অজানায় সৃষ্টিকর্তার রহস্য ইশারায় উপন্যাসিকের প্রতি প্রেমের উন্মত্ত হয় মর্মস্পর্শীতে।স্বপ্নে উন্মোচন হয় প্রেমীয় স্রোতে।উপন্যাসিকের কোন বইয়ে নকশা লিখনে কোথায়ও পরিচয় লেখকের ঠিকানায় আর ছবি নেই।মোছলেমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা মনে মনে আশাতীত তার দেহ মন প্রিয় লেখক ছাড়া কাউকে দান করবে না,যদি উপন্যাসিক বিবাহিত হয়।সে আমৃত্যু চিরকুমারী থাকতে হয় থাকবে।যথা সময় প্রকাশকদের সাথে যোগাযোগ করেও উপন্যাসিকের পরিচয় দর্শনের সুযোগ পায়না মোছলেমা।অন্তরের আকর্ষনীয় চাবুক তাকে আহিত করছে
প্রতিনিয়ত।হঠাৎ এক সময় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে অবহিত হয়ে হিমু মৃত্যুর সংবাদ এতে ঋতু অন্তর্বেদনায় অবসন্ন হয়।সময়ের পরিক্রমায় বিচ্যুতের ছলনায় ঋতু ভূলে যায় অন্তরতম হিমু আত্মগোপন স্মৃতির কথা।ঋতু ব্যবসা করে ক্রমশ শিল্পপতি হতে হতে নরসিংদী জেলার সমাজ সেবকে পরিনত হয়।মিসেস হিমু সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সরকারী দায়িত্ব পালনসহ জাতির কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করেন।স্বামীর প্রতিজ্ঞার স্মৃতি ভূলতে পারে না কোনো মতে।গভীর অনুরাগ অনুভবে থাকে তাঁর প্রিয়তম।তাঁর সন্তানকে সবসময় অবগত করেন তাঁর অন্তরতম স্বামীর প্রতিজ্ঞার কথা,তাকে ব্যারিস্টার অধ্যয়নের জন্য লন্ডন প্রেরণ করেন।সে যথাসময় ব্যারিস্টার হয়ে তার মায়ের অঞ্চলে ফিরে আসেন।মনু সক্রিয়ভাবে ছাত্র থাকাকালীন সময় হতে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন,একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলে।এ দলের সবার প্রত্যাশা মনু আলোকময় জ্যোতি তার ছোঁয়ায় আলো প্রজ্বলিত হবে।তার মেধা মননশীল প্রশংসায় যে সর্বত্র মিসেস হিমু তার সন্তানকে আদেশ করেন,আব্বা-মনু তুমি নরসিংদীতে যাও তোমার অন্তরঙ্গকে অন্বেষন করতে সেই সময় ঠিকানা বের করে দিলেন।মনু আর তার মা দু’জনই বন্ধুর মতো।মনু তার মাকে সবিনয় ভাবে অনুরোধ করে,মা আমার কথা রাখবেন হ্যাঁ অবশ্যই ভনিতা রেখে বলো।তোমাদের নির্বাচিত মোছলেমা আমাকে ব্যাকুলভাবে ভালওবাসে কিনা তা যাচাই করতে চাই।তাদেরকে আমার সম্বন্ধে তা জ্ঞাত হতে দিবে না।আমিও সর্বান্ত করনে তা চাই বাবা।নরসিংদী পৌছে আমাকে ফোন করবে,কেমন?অফকোর্স, তার মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সে যথা সময়ে নরসিংদী ঋতু সাহেবের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।মোছলেমা নরসিংদীতে বাসায় পৌছে তার মাকে অবগত করেন।ঋতু সাহেবের বাসায় পৌছার পর একজন চাকর তাকে নিচের একটি রুমে বসতে দেন।অপরিচিত যুবকটির সাথে সাক্ষাত করার জন্য বয়স্ক ঋতু সাহেব নিচে নেমে আসেন।আমার কাছে কি চাও বাবা প্রশ্ন বোধক ভাবে মিঃ ঋতু তাকালেন।মনু সবিনয় ভাবে ঋতু সাহেবকে কদমবুসি করেন নম্রভাবে বললেন,আমি নাটোর থেকে এসেছি আমার নাম মনু।ঋতু সাহেব বিস্মিত হয়ে স্নেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,কেমন আছ বাবা।তোমার মা ভালো আছেন তো,ঋতুর ক্রমস স্মৃতিময় দিনগুলির কথা মনে পরে গেল এবং চোখ দুটো জলে পরিপূর্ণ হয়ে ছলছল করছে।হাস্যদৃঢ় কন্ঠে ঋতু সাহেব তার স্ত্রীকে বললেন,এ দিকে আস দেখ কে এসেছে?মমতাময়ী মিসেস ঋতু মনুর দিকে স্নেহের দৃষ্টিতে তাকালেন মনু সঙ্গে সঙ্গেই তাকে কদমবুসি করলেন।স্নেহময়ী মা আশীর্বাদ করে বললেন বেঁচে থাক বাবা,দেশের রতন হয়ে বেঁচে থাকো,বাবা।মমতাময়ী মায়ের কাছে মনে হল কত চেনা এই ছেলেটি।মিঃ ঋতু বললেন,ও তোমার ছেলে মনু।সে অনেক দুর থেকে এসেছে তাকে তাড়া-তাড়ি খাবার দাও।স্নেহ বুভুক্ষ জৌতিময়ী জননী মূর্তি সুভাষ ছড়ায় তাই মনুকে সাথে সাথেই প্রীতির অর্ঘে বরন করে নেয়।স্নেহময়ী জননী তাকে বিরহিনী মায়ের মত খাওয়ায়।ঋতু সাহেব তার স্ত্রীর সাথে গোপনে পরামর্শ করে হঠাৎ বিয়ের ব্যবস্থা করেন।মোছলেমা এ বিয়েতে অমত এবং বিদ্রোহী।হাজার হলেও মেয়ের মনতো সে তার বাবাকে খুব ভালোবাসে।তার বাবার হার্ড প্রবলেম্ব সমস্যার জন্য এ বিয়েতে রাজি হয় সে।
সেই রাতে অসামান্য সোসাইটি গার্ল মোছলেমার সাথে মনুর বিবাহ হয়।মোছলেমা আপত্তি করেন।তার রজঃ স্রাব তাই সিদ্ধান্ত তিনদিন অতিবাহিত হলে তাদের বাসর ঘর প্রীতি অর্ঘে সেঁজুতি সাজানো হবে।বিয়ের পরেরদিন এক আত্মীয় মোছলেমার বরকে শুধায় বাবাজি কতটুকু লেখা পড়া করেছো?মনু উত্তর দেয় যতটুকু ইচ্ছা ছিল তা সম্ভব হয়নি,তাই অতি সামান্য।এর ফলে বাড়ীর সবাইর মন ম্লান হয়ে গেল।তারা সবাই অনুমান করল সম্ভবত ম্যাট্রিক উত্তীর্ণ হতে পারেনি।কানাঘুষা সবার মাঝে হায় মোছলেমার মতো সুন্দরী শিক্ষিতা এম এ(সন্মান)পড়া মেয়ের কি উপযুক্ত বর?সবাই সান্তনা স্বরে বললেন,যা হবার হয়ে গেছে তাকে তো চাকুরী করতে হবে না।তার স্বাক্ষর করার মত যোগ্যতা হলেই চলবে।কিন্তু মোছলেমা ভবিষ্যতে অনুকুল না প্রতিকুল আচরনে প্রকাশ পেল না বরং সে আনন্দিত হল।সে মনুকে গ্রহন না করে স্ত্রীর অধিকার দিবে না এতে আপন জনদের নিকট হতে তিরস্কার শুনতে হবে না।যথা সময়ে তাকে ত্যাগ করবে সে।
যথা সময় বাসর ঘর সাজানো হল।বাসর রাতে মোছলেমা মনুকে অপমানের মতো আচরন করে বললেন আমাকে স্পর্শ করবেন না।মনু বিষ্মিত ভাবে একটু ভেবে সুধায় কেন?তুমি তো আমার বিবাহিতা স্ত্রী।তা আমি জানি।তুমি কি কাউকে ভালোবাস?আমার আচরন বুঝে নাও তুমি তো মুর্খ,মোছলেমা বিদ্রুপ করে বললো।আমি তোমাকে ভালোবাসি।সব প্রেমের মিলন হয় না।ওগো মুর্খ তুমি আমার যোগ্য নও।তোমার আমার মিলন ………… আমার পক্ষে অপ্রাসঙ্গিক আর অসম্ভব।এ বিয়ে করতে রাজি হলে কেন?আমার পিতাকে খুব ভালোবাসি তাই আমি নিরুপায় ছিনিমির জন্য মার্জনা করুন।আমার আব্বা যেন বুঝতে না পারে আপনার প্রতি বিরাগ হয়ে তাই গ্রহন করেনি,এ অবস্থা অনুচিত তবু পরিস্থিতির স্বীকার আমি।তবে আপনার সাথে স্ত্রীর অভিনয় করবো।মনু অন্তর চোখ জলে পরিপূর্ণ হলেও নিজেকে সামলিয়ে সবিনয় ভাবে অনুরোধে বলেন,আমার কথা রাখবেন।জী বলুন ছয়মাস আপনাদের বাড়িতে অবস্থান করে,সুন্দর চির সবুজ মনকে ভেবে দেখার সুযোগ সাময়িক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করবো আমি আপনার জন্য।অর্পিত আশা অর্বাচীন এ সময়ে বীতশ্রদ্ধ।আমার ঘুম পাচ্ছে।পাশের রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি বলে মোছলেমা চলে যায়।মোছলেমার বান্ধবী সেতারা ছোট সময় থেকে চিরায়ত নিয়মে তার সংগে ক্রমবিকাশে মানুষ হয়েছে।বর্তমানেও ওরা দুই জনই এম এ (সন্মান)অধ্যায়নরত।সেতারা মোছলেমাকে বললো,তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা তোর অন্যায় হয়েছে।ঐটা অনুচিত।হ্যাঁ আমার চিত্ত তার জন্য অস্থিরতা আর কষ্ট অনুভব করে।তুই তো জানিস,আমি এক লেখককে ভালোবাসি,কি ভাবে তাকে বরণ করি?মোছলেমা অনুতপ্ত ভাবে কতো কথকতা বললো।জানি না তোর ভাগ্যে কি,আছে?যাকে কখনও দর্শন পাবার সুযোগ হয়নি অথচ তার জন্য ……।আমি দৃর প্রতিজ্ঞ আপাতত এই কথা বন্ধ।এই সব কথা মাঝে মোছলেমা বললো,সে এই দিকে আসছে।মনু আসার সাথে সাথেই সেতারাকে মনুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল।সে হাসি মুখে সেতারাকে সালাম দিল।সেতারা স্মিত মুখে বললো,কেমন আছেন মিঃ মনু।মনু মাথা নাড়িয়ে বললো,হ্যাঁ ভালো আপনি কেমন আছেন?সেতারা কৌতুহল ভুমিকায় উত্তর দেয় আর সুধায় আমি আপনার ছোট।আপনি আমাকে নাম নিয়ে আহবান করবেন কেমন?সেই অধিকার কি আমার আছে?অবশ্যই আমার অভিপ্রায়।যদি অনধিকার চর্চা হয় মনে হয়সবার চেয়ে আপনি একজন অভিপ্রেত মন দিয়ে বোঝা যায়……।অনাদৃত কিসের বাড়িয়ে বলা ঠিক-আমি একজন নগন্য শিক্ষাহীন অন্ধ মানুষ আর অন্তর্দৃষ্টি নেই ……।
মোছলেমা এসে সুধায়-কি সেতারা প্রথম সাক্ষাতে এত গভীর ভাবে।তোর বর দর্শনীয় ছিমছাম প্রভাতি ছোট সম থেকে মনে মনে এরূপ ছেলে স্বপ্ন দেখি তাই তোর কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে যাব।তাই নাকি?মোছলেমার চোখের উপর মনুর চোখ পড়ে সেই সময় মনু চোখের ভাষা মায়াভরা কান্না সে বুঝেও না বুঝার কৌতুহলে স্মিথ হাসি দিয়ে বলে পারবি সেতারা জানি তুই তো বোকা না উলুবনে মুক্তা ছড়াবি।যদি পারিস আমার সবচেয়ে উপকার হয়।জানি দুঃস্বপ্ন হয়তো দীপ্র তবু সেই চেষ্টা করবো সেতারা হাসি মুখে বললো।
মনু বললো,আমি তো খেলনা নই …… ইচ্ছে করলেই?মনুর চোখের উপর মোছলেমার চোখ পড়তেই সে হাসতে হাসতে বলে,আমি যাকে ভালোবাসি সে হলো অনন্ত নক্ষত্রের পবিত্র শিখা,সেই শিখা আলোতে অন্বেষন হবে আমার ভালোবাসা।প্রেমের অপর নাম সাধনা।আমি ব্রতচারী মনে রাখবেন।
মোসলেমা আর সেতারা বিস্মিত ভাবে তাকায় মনুর দিকে!সেই সময় মনুর শরীর অসুস্থ অনুভব হয়।আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন।তাই সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসে মনু অসুস্থ অজুহাতে।সেতারা বললো,মোসলেমাকে আমার মনে হয় তোর বর মোটেই মুর্খ নয় বরং অনেকের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং তীক্ষ্ণ মেধাবী ক্ষনজন্মা পুরুষ।তোকে পরীক্ষার জন্য হয়তো প্রতারনা করছে।তুই তো আমার সবচেয়ে আপন বান্ধবী আমার সব কিছু তোর জানা আছে আমি এই পর্যন্ত নিজেকে অনাঘ্রাত রেখেছি একজনকে ভালোবাসি।ক্লেশ আচরন ক্ষমার অযোগ্য তা অনুচিত তবু তার প্রতি নির্দয় কৌশলে নিজেকে রক্ষা করে আমার প্রেমকে পবিত্র রেখেছি।
আগামীকাল মোছলেমার জন্মদিন।আত্মীয় স্বজন,উচ্চ বৃত্ত ও মর্যাদাবান ব্যক্তিদেরকে নিমন্ত্রিত করা হয় সেই উপলক্ষে।তার জননী বলে সকালে প্রথম দর্শনেই মনুকে সালাম করবি।না,আমার বয়ে গেছে-তোমাদের কে আগে সালাম করবো।মেয়েদের সবচেয়ে আপনজন তার স্বামী বুঝলি মা ধমক স্বরে সুধায়।তার জন্মদিন উৎসব আরম্ভ হলো।আমন্ত্রিত অতিথি আসলো।অথচ নিম্নবৃত্ত অতিথি নেই।বাতির নিচে অন্ধকার।মনু এ বিষয় লক্ষ্য করে নবারুন হিসেবে তাই কৌতুহল বুঝতে দেয়নি।।তার কাছে মনে হয় ধনীরা বরাবরই গরীবের উপর নাজেহাল করেন-আল্লাহ সর্ব শক্তিমান ও সর্বত্র।ধনী হলে এ সত্যটি ভুলে গিয়ে গরীবের বিবেচিত অধিকার বঞ্চিত করেন।স্বাধীন জাতি হিসেবে দাবী করলেও নজরুলের আন্দোলন আজও প্রতিফলন হয়নি। …… এর মধ্যে গান পরিবেশন হলো।সেই সময় হঠাৎ এক বান্ধবী অনুরোধ করলো-মোছলেমার স্বামীকে একটি গান গাওয়ার জন্য মোছলেমা মনে মনে ভয় পেল …… মনু যদি অভাবনীয় হয়।মনু …… “গীতিকার মঈনুর আহম্মদ এর কথা সেই গানটি গায় ………।
আমার ই জীবনে তোমারই আলপনা।কেন বুঝে বুঝনা?
বুঝে যদি থাক তুমি চলে যেওনা।”
মনুর এই গান সকলকে মুগ্ধ করে দিল এবং খুব প্রশংসা পেল।মোছলেমা নিজের অজান্তে মনুর প্রতি খুব খুশি হলো।তৎক্ষনাৎ মনে হলো সে অন্যকে ভালোবাসে হায় মনু কি আমাকে পাবার জন্য সাধনা করে অথচ তার কোন দোষ নেই আমি তো তার বিবাহিত স্ত্রী।আমি আমার প্রেমকে ধ্বংস করতে পারি না পারবো না যতই ……
Leave a Reply