-‘দিনটা ছিল সোমবার।প্রতিদিনের মতো কলেজের জন্য বের হয়েছি।তখন মনে হয় সকাল সাড়ে সাতটা বাজে।প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছি এখন।সেখান থেকে সোজা কলেজে যাবো।
অনেকক্ষণ ধরে হাঁটছি!উফ অসহ্য!একটা রিকশা যদি পাইতাম।হেঁটে হেঁটেই যাওয়া লাগবে মনে হয়।এখন আবার কে কল দিছে?হ্যালো আম্মু? হুম বলো কিছু হয়েছে?
-‘আসার সময় ডিম আনবি মনে করে’
-‘আমার মা সব সময় আমি বাসা থেকে বের হলেই আমকে কিছু না কিছু আনতে বলে।অবশ্য বলারই কথা।আমার কোনো ভাইবোন নেই।আব্বু থাকে বিদেশ তাই আমাকেই আনতে হবে সব,,,,,,,দুম!!!!
আল্লাহ আবার পড়ছি মনে হয়।চোখ খুলে দেখি নাহ পড়ি নাই আমাকে কে যেন ধরে ফেলছে.তাকাই দেখলাম একটা ছেলে।সুন্দর দেখতে লম্বা চওড়া একটা ছেলে।সান গ্লাস পরা।
একি!!কারের মধ্যে হেলান দিয়ে এক হাত দিয়ে আমাকে ধরে রেখেছে?এখন হুশ আসলো আমার??
সাথে সাথে সিধা হয়ে দাঁড়ালাম।উনি আবার ফোন টিপা শুরু করলেন।এমন ভাব ধরছেন যেন কিছুই হয়নি।ফাইন!একটা ধন্যবাদ দিলাম রীতি অনুসারে।
কোনো জবাব না পেয়ে ওখান থেকে সরে আবার হাঁটা ধরলাম।হঠাৎ একটা রিকশাচালক আসলো।অথচ এতক্ষণ একটা রিকশাও ছিলো না।তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়লাম।এত সব ভাবার সময় নেই।
—–
ক্লাসে বসে আছি বোর হয়ে।আজকে নাকি আমাদের কলেজ দেখার জন্য কে জানি আসবে।পুরা কলেজ ফিটফাট।যাই হোক ইন্টারেস্ট নিয়ে তাকাই আছি কই কেউ তো আসলো না।হুর!! আমি যাই চটপটি খাইয়া আসি।গেটের সাথেই চটপটির দোকান।খাইতেছি হাপুস হুপুস করে।হঠাৎ দেখলাম স্যাররা সবাই দাঁড়িয়ে কারে যেন সালাম দিচ্ছে।
মনে হয় ঐ লোকটা এসে গেসে।চটপটি রেখে দৌড় মারলাম কোনোদিকে না তাকিয়ে।
এরপর ক্লাসে এসে উঁকি মারতেই লোকটাকে চেনা চেনা লাগলো।কই দেখছি??ও হ্যাঁ উনি তো সকালের সেই সুদর্শন ছেলেটা!!
খেয়াল করলাম উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমাকে দেখে মুচকি হাসলেন তিনি।আমি তো মূর্তিমান হয়ে লুকিয়ে পড়লাম।
এরপরে পিছনে তাকিয়ে দেখি আমার পেছনে অনেক মেয়ে আছে।
মনেহয় ওদের দিকে তাকিয়ে হাসছিল।
উনি স্যারের সাথে অনেক কথা বললেন।তারপর আমাদের ক্লাসে এসে সব দেখে কারে করে চলে গেলেন আবার।এত বড় ছেলে সাথে করে ২টা বডিগার্ড নিয়ে হাঁটেন।
কিছুক্ষন পর স্যার ক্লাসে আসলো।আমি বই নিলাম পড়ার জন্য।
স্যার জিজ্ঞেস করলেন,’তাহা তাবাসসুম কে?’
আমি তাই উঠে দাঁড়িয়ে বললাম,’আমি’
-‘তুমি পিছনে বসছো কেন?সামনে চলে আসো।’
-‘কি বিপদ!সামনে বসলে তো ফ্রেন্ডদের সাথে কথাও বলতে পারবো না’
-‘এখন থেকে সামনের সিটে বসবা।এই সিটটা তোমার জন্য বুকড্’
ছুটি হলো তিনটার সময়।আমি সেই আবার দাঁড়িয়ে আছি রিকশার জন্য।প্রতিদিন ৩০টাকা দিয়েই যাই।একটা রিকশাচালক এসে বললেন, ‘যাবেন আপু’
আমি বললাম, ‘যাবো…..এই যায়গাতে,কত?’
-‘আপনি সিউর ৫টাকা?’
চলবে””
Leave a Reply