-আমি আর তোমার সাথে সংসার করতে পারবো না।
ডিনার করতে বসে কথাটা বললো রাফাত। রূপন্তি মাত্রই পানির গ্লাসে চুমুক দিয়েছিলো। কথাটা শোনামাত্র পানি চলে গেলো রূপন্তির শ্বাসনালিতে। কাশতে কাশতে তার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। কাশি থামার পর ওকে জিজ্ঞেস করলো,
-আমার অপরাধ কি? আমি কি কোনো ভুল করেছি? আজ হঠাৎ এই কথা বলছো। নিজের খাবারটুকু শেষ করে রাফাত বলল,মেইনডোরের বাইরে এতোগুলা জুতো দেখে ভ্রূদ্বয় কুঁচকে এলো। কোনো কিছু না ভেবেই কলিংবেল চাপ দিলাম। প্রায় পাঁচ মিনিট পরে ছোটভাই রূপক দরজা খুলল। জুতো খুলতে খুলতে ওকে জিজ্ঞেস করলাম কে আসছে রে বাসায়?? ও বললো,
-আগে বলো আজকে তোমার এতো দেরি হলো কেন?
বাসায় ঢুকতে ঢুকতে বললাম, আর বলিস না আজকে লাইব্রেরিতে বসে নোট করতে গিয়ে এতো দেরি হয়ে গেলো।এখন বল কে আসছে?
-তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে আপু। হয়তো এবার আর তোমাকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না। এখন থেকে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।
– তোমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসছে আপু।
– আমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসার সাথে ঘুমের সম্পর্ক কি?? আর আমাকে দেখতে আসছে আমিই জানি না ব্যপার টা ইন্টারেস্টিং তো। দেখতে আসলে তো মেয়ে বাড়িতে বসে সাজুগুজু করে আর আমি তো বাইরে থেকে আসলাম। আমি যে বাইরে ছিলাম ওনারা কিছু বলে নাই?? ও বললো,
– না বলে নাই। কারণ ওরা তোমার পরিচিত।
মানে বলে যেই সামনের দিকে নজর গেলো ওমনি আমার দৃষ্টি স্থির হয়ে গেছে। বিচ্ছেদের প্রায় দুই বছর পরে প্রাক্তনকে দেখলাম। ওর দৃষ্টিও আমাতে সীমাবদ্ধ ছিলো। কোনো রকম নিজের চোখের পানি আড়াল করে ভাইকে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলাম ও এখানে কি করছে?? ওর চাচা নাকি মামার জন্য দেখতে আসছে?? ও আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে,
– কি যে বলো আপু রাফাত ভাইয়ার চাচা মামা সবাই বিয়ে করে ফেলছে । সে তার নিজের জন্য আসছে।
ওমনি আম্মু আমাকে দেখে বললো ওই তো রূপন্তি চলে আসছে। ওহ আপনাদের তো বলা হয় নাই আমার নাম রূপন্তি রাহমান। অনার্স ৩য় বর্ষে সমাজকর্ম নিয়ে পড়ছি।মা বাবা আর ছোট ভাই নিয়ে পরিবার। আর আমার সামনে মা আর ছোটবোনকে নিয়ে যে বসে আছে সে আমার প্রাক্তন রাফাত আহমেদ। এসএসসির পরে যখন কলেজে ভর্তি হই তখন তার সাথে পরিচয়। পরে যা আস্তে আস্তে ভালোবাসায় রূপ নিয়ে ছিলো। তখন সে ছিলো অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। ভাগ্যক্রমে সে ভার্সিটির ছাত্র ছিলো আমিও সেই ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছিলাম। আমি যখন ১ম বর্ষে সে তখন ৪র্থ বর্ষে। আমার ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় আমার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে। সেই সময় শুধু তার পায়ে ধরা বাকি ছিলো। আমি তখন পুরোপুরি তার মাঝে আসক্ত ছিলাম। সে ফিরে তাকায়নি। কিন্তু আজ কি মনে করে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছে?? এর মাঝে রাফাতের মা মানে শাহিনূর আন্টি বললো,
– রূপন্তি তো মাত্র ভার্সিটি থেকে আসলো। ও আগে ফ্রেশ হয়ে নিক। যাও মা রুমে যাও।
আম্মুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আব্বু কোথায়??
– তোর আব্বু আসর নামাজ পড়তে গেছে এখনো আসে নাই।
একবার রাফাতের দিকে তাকিয়ে আমার রুমের দিকে অগ্রসর হলাম। দেখলাম ও আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে অনেক দিনের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে।
রুমে এসে মোবাইল বিছানায় রেখে কাবার্ড থেকে থ্রি-পিস নিয়ে ওয়াশরুমে গেলাম। একটা লম্বা শাওয়ার নেওয়া দরকার। রাফাত কে দেখে মাথা কাজ করছে না। শাওয়ার শেষে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে রুমে এসে দেখি রাফাত বিছানায় বসে আমার মোবাইলের লক খোলার চেষ্টা করতেছে। তোয়ালে ফেলে ওর হাত থেকে ছু মেরে মোবাইল নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
– আপনি আমার রুমে কি করেন?? আমার মোবাইলে হাত দিছেন কেন?? আর আব্বু আম্মু আমার রুমে আপনাকে আসতে দিলো?? আপ,,,,,,,,
– রিলাক্স কলিজা রিলাক্স। একসাথে কেউ এতো প্রশ্ন করে। আগের স্বভাব এখনো আছে। হবু বউয়ের মোবাইল ধরলে সমস্যা কি?? আর তোমার বাবাই তোমার রুমে আসতে বললো। প্রথমে আসতে চাইনি। এখন মনে হচ্ছে এসে ভালোই হলো। তোমার স্নিগ্ধ মুখটা দেখতে পেলাম। তাকে রেগে বললাম,
– এই আপনার কলিজা কে?? ফারদার এসব নামে আমাকে ডাকবেন না। আর আপনাকে বিয়ে করে কে?? এসেছেন খেয়ে দেয়ে বিদায় হন। আমি আপনাকে কখনো বিয়ে করবো না।
– খুন করে ফেলবো। আমি ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করলে। আমার
#অপেক্ষার_অবসান হলো এতোদিনে। তাই তো দেরি করিনি। চাকরি পাওয়ার সাথে সাথে তোমার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। খুব ভালোবাসি তোমাকে।
– ও আচ্ছা ভালোবাসেন আমাকে?? তাই নাকি। আমাকে ওভাবে অপমান করার দুই মাস পরে যখন আপনার ডিপার্টমেন্টের জেসির সাথে হাত ধরাধরি করে হাঁটতেন ওটা কি?? নাকি জেসি এখন আর পাত্তা দেয় না। কোনটা?? একবার চিন্তা করেছেন আমার কেমন লাগবে। এসব দেখলে আমি কেমনে সহ্য করবো। কেউ জানুক আর না জানুক আপনি তো জানতেন ঠিক কতটা ভালোবাসতাম।
– ভালোবাসতে?? এখন আর বাসো না??
– তাহলে ওইদিকে তাকিয়ে কান্না করছো কেন?? তুমি চাইলে আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে পারো। আমি মাইন্ড করবো না। আফটার অল এই জায়গা টা তো তোমারই।
– নো নিড। আমি যার তার বুকে মাথা রাখি না৷ আপনি এখন আসতে পারেন। আর নিচে গিয়ে বলবেন যে আপনি এই বিয়ে করতে পারবেন না।
এর মাঝে রাফাত হুট করে বললো, রূপক আমি জানি তুমি বাইরে আছো। তুমি প্লিজ নিচে যাও। তোমার বোনের সাথে আমার গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। এটা বলেই দরজা আটকে আমাকে তার বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। আর বললো,
– আ’ম সরি কলিজা আমি বুঝি নাই তোমার এতো কষ্ট হবে। আমিও নিজেও যে
– এই সংসার জীবন আমার আর ভালো লাগছে না। আমি একাকী জীবন পাড় করতে চাই। রোজ রোজ তোমার প্যানপ্যানানি ভালো লাগে না। এটা নেই ওটা নেই। এটা আনো ওটা আনো। রাত করে বাসায় আসা যাবে না। আমি সিগারেট খেতে পারবো না। সপ্তাহে দুইদিন বাজার করে আনো। বাহিরের খাবার খেতে পারবো না। আমি এসব আর নিতে পারছি না জাস্ট নিতে পারছি না। শুক্রবারের দিনটাও তোমার জন্য শান্তিতে থাকতে পারি না। আমাকে আমার মতো ছেড়ে দাও। প্যারাময় হয়ে গেছে জীবন।
স্তব্ধ হয়ে ওর কথাগুলো শুনলো রূপন্তি । কান্নাগুলো গলায় কেমন দলাপাকিয়ে যাচ্ছে। কোনোরকম নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রূপন্তি বললো,
-মানে বলতে চাইছো আমি তোমার লাইফে প্যারা? আমি তোমাকে প্যারা দেই?
রাফাত রুমে যেতে যেতে বললো, অনেকটা সেরকমই।
-আচ্ছা ঠিক আছে। তোমার এই সবগুলো কথার উত্তর সময় দিবে।
খাবারগুলো আর রূপন্তির গলা দিয়ে নামবে না। টেবিল গোছগাছ করে প্লেট বাটি কিচেনে নিয়ে গেলো পরিষ্কার করতে।
রাফাতের সাথে রূপন্তির পারিবারিকভাবে বিয়ে আড়াই বছরের সংসার। চাকরি সূত্রে রাফাত আর রূপন্তির শহরে থাকা। শ্বশুর শ্বাশুড়ি আর একমাত্র ননদ গ্রামে থাকে। তার পরিবারে আছে মা বাবা আর একমাত্র ভাই। সে ক্লাস টেনে পড়ে। তাদের বিয়েটা পারিবারিক হলেও আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিলো। কিন্তু আজ হঠাৎ ওর কি হলো?? এসব ভাবতে ভাবতেই মনে মনে ফন্দি আঁটল সে। তারপর চলে গেলো তাদের বেডরুমে। নিজের ব্যাগপত্তর গোছানো শুরু করলো।রাফাত ল্যাপটপ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বললো,
– এতোরাতে কাপড় কেন গুছাচ্ছো?
গোছগাছ করতে করতে রূপন্তি বললো,
– তোমার তো একাকী জীবন ভালো লাগে তাই তোমাকে সেটাই দিচ্ছি। আমি কালকে আমি বাবার কাছে চলে যাবো। সকালে আমাকে আর দেখবে না। কালকে থেকে তোমার একাকী জীবন শুরু। বলেই রুম থেকে বের হতে নিবো তখনই রাফাত বললো,
– পাশের রুমে কেন?আমার মাথা ব্যথা করছে। তুমি জানো না মাথা ব্যথা করলে তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে না দিলে আমার ঘুম আসে না।
– তুমি একা একা থাকবে আবার আমাকেও চাইবে? আজ থেকেই আমাকে ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করো।
বলেই চলে গেলো। এইদিকে রাফাত অসহায়ের মতো রূপন্তির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
ঘড়িতে সময় দেখে রাফাতের চোখ ছানাবড়া। হাক ছেড়ে রূপন্তিকে ডাকলো,
-রূপন্তি! রূপন্তি! ৯ টা বেজে গেছে আমাকে ডাকলে না। আমার চা কোথায়? রেডি হবো কখন আর অফিস যাবো কখন? রূপন্তি তুমি কি শুনতে পাচ্ছোনা? বিছানা ছেড়ে আয়নার দিকে তাকাইতে দেখলো সেখানে চিরকুট আটকানো। চিরকুট হাতে নিয়ে দেখলো তাতে লেখা,
” হ্যাপি একাকিত্ব জীবন রাফাত সাহেব ” পারলে পেপারর্স পাঠিয়ে দিবেন আমি সাইন করে দিবো। কারো জীবনে প্যারা হয়ে থাকতে চাই না। ভালো থাকবেন।
রাফাতের খুশি হওয়ার কথা ছিলো অথচ সে খুশি হতে পারছে না। কেমন শূন্যতা অনুভব করছে। কোনোরকম রেডি হয়ে না খেয়ে অফিস চলে গেলো।
বাসায় কলিংবেল চাপতেই রূপন্তির ভাই দরজা খুললো। সে রূপন্তিকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। চোখ কচলে রূপন্তি কে বললো,
-আপু তোমাকে দুলাভাই আসতে দিলো? সে তো তোমাকে আসতেই দেয় না। তার তো তোমাকে ছাড়া নাকি ভালো লাগে না। তা ভাইয়াও কি আসছে? কোথায় সে?
-সব কথা কি বাহিরে দাঁড়িয়ে বলবো? ভেতরে যেতে দিবি না?
সব শোনার পর রূপন্তির বাবা বললো,
– সুখে থাকতে ভূতে কিলায়।যার নিশ্বাস নিতেও বউয়ের দরকার পড়ে সে থাকবে একা একা।
তার মা বললো, জামাই এলো বলে।
নিস্তব্ধ রজনী বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রাফাত। দৃষ্টি তার বাইরের দিকে। দু আঙ্গুলের ফাঁকে থাকা সিগারেটের অংশ পুড়তে পুড়তে আঙ্গুলে ছ্যাঁকা লাগলো। ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো সে। তাচ্ছিল্য হেঁসে বললো, একাকী থাকতে চেয়েছিলাম অথচ তাহার জন্য শূন্যতা। আমি বড্ড তৃষ্ণার্ত। তাকে এক নজর দেখার তৃষ্ণা। একটু জড়িয়ে ধরার তৃষ্ণা। অসংখ্য কল মেসেজ করেছে সে রূপন্তিকে। কিন্তু রূপন্তি রেসপন্স করে নাই।
শ্বশুড়ের সামনে সোফায় বসে আছে রাফাত। রূপন্তির মা রান্নাঘরে মেয়ে জামাইয়ের জন্য নাস্তার আয়োজন করছে।
-তা শুনলাম তুমি নাকি একাকিত্ব গ্রহণ করেছো? আমার মেয়ে তো আর একা একা থাকবে না। তার চিন্তা আমাকেই করতে হবে। ডিবোর্সের বন্দোবস্ত করেছে তো?কাগজপত্রের কাজ কতটুকু কি করলে?
কথাটা শোনামাত্র আঁতকে উঠল রাফাত। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল তার। রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আসলেন রূপন্তির মা আর বলতে লাগলেন,
-কি শুরু করছো ছেলেটার সাথে। ভয় কেন দেখাচ্ছো। রাফাত বাবা তুমি রূপন্তির রুমে যাও। তোমাকে দেখে বাইরে আসছে না ও। রাফাত যাওয়ার পরে রূপন্তির বাবা বিরবির করে বললেন, বউ ছাড়া থাকতে পারে না সে থাকবে একা একা।
রাফাত দরজা ধাক্কা দিতেই রূপন্তির রুমের দরজা খুলে গেলো। খাটে বসে আছে রূপন্তি। হাঁটু গেড়ে বসল রূপন্তির সামনে কানে ধরে বলতে লাগলো, আর বলবোনা এমন কথা। এবারের মতো মাফ করে দাও। ওর কোলে মাথা রেখে আবার বললো, এতো কষ্ট এতো শূন্যতা কখনো অনুভব হয় নাই। পুরো বাসাটা খাঁ খাঁ করছে।এই ৭ দিন আমার কাছে দূর্বিষহ ছিলো। জানো অফিসে লাঞ্চ আওয়ারে রেস্টুরেন্টে খেতে পারিনি। তুমি খাবার দিলে যেই তৃপ্তি পাই সেটা পাইনি। অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিলো। ভুল হয়ে গেছে রূপু। ফিরে চলো। বাসায় গিয়ে যত শাস্তি দিও তারপরও আমার চোখের সামনে থেকো। আমার আর একাকীত্ব লাগবে না।
রূপন্তি রাফাতের মাথাটা তুলে তার দু’কাঁধে হাত রেখে বললো, ওটা আমার সংসার রাফাত সাহেব। ওই সংসার কেন আমি ছাড়বো? আপনি কিভাবে ছিলেন কি খেতেন কি করতেন সবই খবরই আমার কাছে আছে। বাসার খবর পাশের ফ্ল্যাটের ভাবি দিতো আর অফিসের খবর দিতো আপনার কলিগ সাহিল ভাই। আপনার ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্ট ঘেঁটে সাহিল ভাই কে বের করেছি। যার একটা একটা আন্ডারওয়্যার খুঁজতেও রূপন্তিকে ডাকা লাগে সে থাকবে একা।
চোখ মুছে রাফাত আবারও বললো, সব জানতে তারপর এলে না কেন? তাহলে তো আমার এতো কষ্ট করতে হতো না। আর তুমি আমাকে আপনি করে কথা বলছো কেন??আর ডিবোর্সের কথা কেন বললে? জানো কতো ভয় পাইছি আমি ভাবছি সত্যি সত্যি আমাকে ছেড়ে দিবা।
– যাবো কেন? আমি গেলে নিজের ভুল বুঝতে পারতে তুমি? ভাব দেখাইতে। কোনোদিন যেন আর এই ভুল না করো সেজন্য যাইনি। ডিবোর্সের কথা আমি ভয় দেখানোর জন্য বলেছিলাম। দেখলাম তুমি কি করো। আমি জানতাম তুমি আসবে আর এভাবেই কানে ধরবে। আমার দল ভারী হচ্ছে আমি এখন মোটামুটি ভাবে আছি।
রূপন্তি রাফাতের হাত তার পেটে রেখে বললো, কিছু ফিল হয় রাফাত সাহেব?
রাফাত অবাক হয়ে বললো, সত্যি! সত্যি বলছো? আমি বাবা হবো?
রূপন্তি মুচকি হেসে মাথা নাড়ল।
রাফাতের চোখে সুখের অশ্রু। রূপন্তির কপালে চুমু দিয়ে সে বললো একাকীত্ব চেয়েছিলাম অথচ আরেকটা প্রানের আগমন আমাকে পূর্ণ করলো।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply