নিজের হাতে ফল কেটে চমৎকার প্লেটে পরিবেশন করে আপনি পরিবারের সদস্যদের যত্ন করে খাইয়ে এসেছেন এতদিন!
এবার নিজে খান। মরশুমি ফল খান। পারলে প্রতিদিন কয়েকটুকরো পাকা পেঁপে খান। একটুকরো মুখে মাখুন। পাকা পেঁপে একমাস মুখে মাখলে আপনি নিজেই ম্যাজিকটা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
স্বামী এবং সন্তানদের খাবারের থালায় ছেড়ে যাওয়া খাদ্যের অবশিষ্টাংশ খাওয়ার কু-অভ্যাস ত্যাগ করুন। ‘ভাত-ডরকারি ফেলতে বড্ড মায়া লাগে’ এই অজুহাতে আপনি ভরা পেটে আরো অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করে নিজের ওজন বাড়াবেন না।
মনে রাখবেন সংসারে লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট রাখার দায় আপনার একার নয়। বাদ দেওয়া ভাত,রুটি,তরকারি, হাড়,চর্বি,কাঁটা পাড়ার নেড়ি,মেনি, হুলোর জন্য তুলে রাখুন।
বাড়িতে অল্প একটুখানি জায়গা থাকলে দু’চারটে গাছ লাগান। গাছ মন ভালো রাখে। গাছ থাকলে ফুল, পাখি,মৌমাছি আসবে আপনাকে সঙ্গ দিতে।
বাড়ির বা বাইরের লোকের সাথে অযথা তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। সময় নষ্ট হয়।মেজাজও।
রান্না করতে করতে গান শুনুন। মাঝে একবার ব্যালকনিতে দাঁড়ান। চৌধুরি বাড়ির মেজছেলে মাথা ঝিমঝিম করা পারফিউমের গন্ধ ছড়িয়ে স্কোডাতে করে অফিস যাচ্ছে….. রাজপুত্রের মতো দেখতে।
দেখেও শান্তি। দেখুন|
এইসময় বাড়ির লোকরা তেমন পাত্তা দেয় না। স্বামী নিজের কাজে, ফেসবুকে,ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায়, হোয়াটস অ্যাপে ব্যস্ত থাকে।
বাসন মাজার সাবান এনে দেওয়ার কেউ নেই। দশটাকার কাঠি-আইসক্রিম খাওয়ার ইচ্ছে হলেও কারো সময় নেই আপনার সামান্য সাধটুকু পূরণ করে আপনাকে খুশি করে দেবে! আপনি অনন্তকাল ধরে যে শাড়িগুলো জমিয়ে রেখেছেন পরে পরবেন বলে সেগুলো বের করুন।
ডিজাইনার ব্লাউজের সাথে পরুন….টুকটুক করে বেরিয়ে পড়ুন সুন্দর হাতব্যাগ নিয়ে। একটা জলের বোতল নিন ব্যাগের ভেতর। কাছের গাছপালা ভরা পার্কটার মধ্যে দু-তিন চক্কর কাটুন।
ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে… আপনাকে ধরতে হবে এমন মানসিকতা বজায় রেখে হাঁটুন। হাঁটার আগে কয়েকটা সেল্ফি তুলুন। হাঁটার পরে আইসক্রিম খান।
মাঝেসাঝে ফুচকা বা আলুর চপ খেলে আপনি মরে যাবেন না। কিন্তু অন্যের ওপর আপনার আনন্দ নির্ভর করলে আপনি বেশিদিন বাঁচবেন না এটা শিওর।
কারো ক্ষতি না করে নিজেকে ভাল রাখুন। আশেপাশে ঘটে যাওয়া সমস্ত আনন্দের মুহূর্তগুলোকে ব্লটিংপেপারের মতো শুষে নিন।
মনের বয়স থমকে থাকবে পঁচিশে। গ্যারান্টি।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply