বাঙালীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের মাস শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৯ তম বার্ষিকী উদযাপনের আহবান জানাই সবার প্রতি।
গেরিলা ১৯৭১ এর সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে উদাত্ত আহবান করছি, চলমান করোনার দুঃস্বপ্নের মাঝেও, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যার যার অবস্থান থেকে বিজয়ের মাস, বিশেষ করে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করুন। একক অথবা সম্মিলিত উদ্যোগ নিন পাড়া মহল্লায়, বিজয় দিবসের নান্দনিক সব আয়োজনের।
কৃতজ্ঞতা জানান শহীদ ও বেঁচে থাকা সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দেখা করুন, তাঁকে বলুন আপনি তাঁকে ভালবাসেন, শ্রদ্ধা করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
আগামীতে খুব বেশীদিন এই সুযোগ আমরা পাবোনা।
অন্তত একটি দিনের জন্য পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যকে বলুন আমাদের গৌরবগাঁথা, আমাদের ওপর নেমে আসা ঘাতকের কালো ছায়ার কথা, তাদের জানান এই দেশের বেঈমান’দের কথা। এখনই সময়…
বিগত সময়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরা তথ্য, ছবি ও ফুটেজ, এ পেজেই আছে। তাঁদের দেখতে দিন। তাঁদের বলুন একাত্তরের ইতিহাস।
বলুন, একাত্তর রূপকথা নয়, একাত্তর এক জলজ্যান্ত বাস্তবতার নাম। একাত্তর আমাদের গৌরব ও বেদনার অনিবার্য ইতিহাস।
গণ ইতিহাসের বিকল্প নেই, প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখে ফিরে যাওয়া সম্ভব আমাদের গৌরব ও বেদনার কালে। আমরা বহুবার আহবান করেছি আপনাদের কাছে, নিজ পরিবারের ঘটনাগুলোও ধারণ করুন। একাত্তরের দহনকালের ইতিহাস তাঁরাই বিবৃত করুক।
আমরা করজোড়ে সবার কাছে অনুরোধ করছি, যার যার অবস্থান থেকেই সময়টুকুর সর্বোচ্চ ব্যবহারের। লিখে ফেলুন, সেলফোনে ধারণ করুন আপনার পরিচিত মুক্তিযোদ্ধার ভিডিও অথবা ছবি। পাঠিয়ে দিন আমাদের অথবা নিজের কাছেই রাখুন। তবুও, তাঁদের ধরে রাখুন আগামীর জন্য।
তাঁরা একে একে চলে যাবেন নীরবে। একাত্তরে তাঁরা জন্মভূমির ঋণ চুকিয়েছেন, এবার তাঁদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা জ্ঞাপনের পালা।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply