গান গেয়ে তিনি দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। প্রায় একমাস আগে সাবিনা ইয়াসমিন আমেরিকা ট্যুরে এসেছেন। নিউইয়র্কের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। দর্শকের মনে প্রশান্তি দিয়েছেন। কিন্তু যারা তাঁকে আমন্ত্রণ করে আমেরিকা নিয়ে এসেছেন, তারা আমাদের বরেণ্য এই শিল্পীকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছেন। যা হয়ত শিল্পী নিজেও উপলব্ধি করতে পারছেন না। ব্যাপারটা ক্লিয়ার করি–সাবিনা ইয়াসমিনের ভিসা ক্যাটাগরি হচ্ছে B1 অথবা B2, অর্থাৎ তিনি ভিজিট ভিসায় আমেরিকা এসেছেন। ভিজিট ভিসা কনসার্টের জন্য কোনভাবেই অ্যালাউড নয়। কনসার্ট বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য মার্কিন সরকার কর্তৃক P3 ভিসার অনুমোদন দেয়া আছে। P3 ভিসায় এলে নির্বিঘ্নে নাচগান করা যায়। তবে তার জন্য মার্কিন সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে কনসার্ট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যা কিনা ইমিগ্রেশন ল’ ভায়োলেশনের পর্যায়ে পড়ে। আর এই বেআইনি কাজটি করিয়ে নেয়া হচ্ছে কোকিলকণ্ঠী সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে। ইমিগ্রেশন ল’ ভায়োলেশনের শাস্তি খুব কঠিন হতে পারে। উক্ত ব্যক্তি ৫/৬ বছরের জন্য ব্যানড হয়ে যেতে পারেন।
বর্তমানে সাবিনা ইয়াসমিন জর্জিয়ায় গেছেন শো করতে। আমার প্রশ্ন, শিল্পীর সতীর্থরা শুভাকাঙ্ক্ষীরা কেন শিল্পীকে সতর্ক করছেন না? ব্যক্তিজীবনে সাবিনা ভীষণ দুঃখী একজন মানুষ। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। একজন আয়োজক আমাকে বললেন, প্রতি শো থেকে সাবিনা ইয়াসমিন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার ডলার পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। এটা তাঁর ন্যায্য পারিশ্রমিক। কিন্তু এদেশের আইন মেনে গান করুন। বয়সের এই পর্যায়ে তিনি যদি বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন সে দায়ভার নেবে কারা? অনুষ্ঠানের আয়োজকরা? নিশ্চয়ই না। বিপদ এলে এরাই তখন গা ঢাকা দেবে। আমরা চাইনা সাবিনা ইয়াসমিন বেআইনি কাজের জন্য একিউজড হন। তাঁকে যেন অপমানিত হতে না হয়। যারা শিল্পীকে লোভ দেখাচ্ছেন, এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে।
Leave a Reply