টাঙ্গাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা করা সবাই দায়িত্ব, এ দায়িত্ব কারো একার নয়। ক্ষতিকর প্লাষ্টিক বর্জনের পাশাপাশি প্লাস্ট্রিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া নতুন করে কেউ যেন প্লাস্টিক তৈরি ব্যবস্থাপনায় না যেতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লাস্ট্রিকের জীবাশ্ম পুড়িয়ে রোধ করতে হবে। নয়ত একশত বছরের পলিথিন হারাবে না।
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার আস্তরের পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের সবার উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা। এদিকে, ইটভাটার মাটি কোথা থেকে আসে তার সঠিক তথ্য জানানো ও পোড়ানো ইট নতুন করে পোড়ানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে অনিয়মকারীদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরে ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রাকৃতিক বনে কিসের সামাজিক বনায়ন, প্রাকৃতিক বনে বনই থাকবে। আপনি যদি সামাজিক বনায়ন করেন, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মধ্যে পয়সা বিতরণ করে দেন। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব পয়সা বিতরণ করা না। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। প্রাকৃতিক বনায়নে আর কোনও সামাজিক বনায়ন হবে না।
বিদ্যুৎ অপচয় রোধে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলায় সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কীভাবে হয় তা জানতে হবে। আমরা কেনো দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব। প্রাকৃতিক আলো থাকার পরেও কেনো দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব।
ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর অপারেশনস ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ফারমিনা হোসেনের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড.শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক সহিদ মাহমুদ প্রমুখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীন আজম
০১৭১৫৫৮০৭২৭
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply