1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের কথা কেমনে পৌঁছাইতাম, বন্ধুুরে, তোর লাগি, পরবাসী হইলাম… শাম্মি মারজিয়া

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ৪৪২ বার
এই গান আমার মায়েদের তারুণ্যের সময়ের। গ্রামে তো অত সুযোগ ছিল না। বিয়ের পর শহরে এলো। ঘরে ল্যান্ড ফোন। নানি, দাদী চিঠিও পাঠাতো, তাই পিয়নের সাথেও দেখা। টেলিগ্রামও করতো বাড়ি থেকে কেউ, খুব জরুরী প্রয়োজনে।
সে যুগ চলে গেল।
এরপরে আমাদের ছেলেবেলায়ও অবশ্য মোবাইল ফোন ছিল না। বাসায় টিএন্ডটি ফোন। চিঠির চল কিছুটা থাকলেও, ওই মুরব্বিদের মাঝেই। প্রয়োজনীয় কথাবার্তা ল্যান্ড ফোনেই সেরে নিতো সকলে। সারাদিন রাত অকারণে কথা বলার মনমানসিকতাও ছিলনা আমাদের। স্কুলের পড়া, গল্পের বই আদানপ্রদান এসব নিয়েই কথা। তাও দীর্ঘ ছুটির দিনগুলোতে।
অবশ্য, সবাই তো একরকম নয়। রং নাম্বারেও প্রচুর ফোন আসতো। বাবা, মা ধরলেই কেটে দিতো। আমরা কেউ রিসিভ করলেই ব্যাস, প্যানপ্যান শুরু।
এটা কোন যায়গা? আমি কার সাথে কথা বলছি?
নামটা বলা যাবে প্লিজ? কি মধুর আপনার কন্ঠ!
মহা বিরক্তিকর!
দিতাম লাইনটা কেটে।
পরমুহূর্তেই আবারো তার ফোন।
এরপর মাকে দিয়ে ফোন রিসিভ করালে ঠিক কেটে দিতো। তারপরে কৌশল করে ফোন করতো মাগরিব, এশার আজানের পরে। মুরব্বিরা নামাজ এ চলে যায়। বাড়ির ছোটরাই তো তখন ফোন ধরে।
সেই সময়ে তুমুল জনপ্রিয় ছিল আদনান বাবুর একটা গান। সকলের মুখেমুখে ফিরতো।
রং নাম্বার টেলিফোনে,
নাম না জানা কে বললো ‘হ্যালো’
মন দেওয়া নেওয়া শত কথার মাঝে
লাইনটা হঠাৎ কেটে গেল,
হ্যাল্লো, হ্যাল্লো, হ্যাল্লো,
লাইনটা কেটে গেল…
আমাদের ছেলেবেলায় পাড়ায় পাড়ায় ক্লাব ছিল। বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। ব্যান্ডের গানের পাগল ছিলাম আমরা। আমাদের পাড়াতেও ছিল একটা ব্যান্ড গোষ্ঠী। গায়ে হলুদ, বিয়ে, সুন্নতে খৎনা, নাককান ফোঁড়ানোর অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানালে গান করতো। গায়ে হলুদে এমন মজা হতো, রাত বারোটা থেকে শুরু করে ফজরের আজানের আগ অবধি গান চলতো। সাউন্ডবক্স এর ঝমঝম আওয়াজ, পছন্দের ব্যান্ড এর গান। নাচগানে সবাই কি যে আনন্দ করতাম।
আমরা ভিসিআর এ নতুন নতুন সিনেমা দেখতাম। ফিতা জড়ানো ক্যাসেট কিনতাম। ডেকসেটের দুড়ুমদুড়ুম আওয়াজে গান শুনতাম। ডাকটিকিট সংগ্রহ করতাম। বিদেশী কয়েন, ভিউকার্ড জমাতাম। দেশী বিদেশী সাহিত্যিকদের বই, সাথে প্রচুর ক্ল্যাসিক বই পড়তাম।
বলছিলাম টেলিফোন এর কথা। বাংলাদেশ এর ব্যান্ড গায়কদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় মাকসুদুল হক (তখন ফিডব্যাক এর ভোকাল ছিলেন)। সেই ছেলেবেলায় প্রথম যেদিন তাঁর গান শুনি, তখন থেকেই অন্ধভক্ত। তাঁর টেলিফোন নিয়ে একটা গান ছিল, সেখানে দুটো লাইন হলো –
টেলিফোনে যখন ফিসফিস করে কথা হয় দুজনায়,
মন্দ লোকে যদি আড়ি পেতে শুনে ফেলে
বলো কি উপায়…
সারাদিন গেয়ে বেড়াতাম।
কতদিন পর মনে পড়লো পুরনো সব স্মৃতি। আগে সত্যিই সুন্দর, সহজ সরল দিন কাটতো আমাদের। এরপর তো মোবাইল এলো। সকলের হাতে হাতে। তাতে কাজের বেগ বেড়েছে বটে, কেন যেন মনে হয় আগের ল্যান্ড ফোন এর সময়কার সেই আবেগ কেড়ে নিয়েছে চিরতরে।
সময়ের সাথে তাল মেলানোই তো জীবন। চলতেই হয়। তবু হারানো দিনের ল্যান্ড ফোনের স্মৃতি আমায় পিছু ডেকে যায়।
May be an image of 1 person

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..