অসাবধানতাবশত বিভিন্ন আঘাতে দাঁত ভেঙে যেতে পারে। এ ছাড়া ফেটে কিংবা দাঁতের রং কালো হয়েও যায়। তখন দাঁতে ডেন্টাল ক্রাউন বা ক্যাপ লাগানো জরুরি হয়ে পড়ে। দাঁতে শুধু ক্যাপ লাগালেই হবে না। ক্যাপ পরানোর পর যত্নের ও প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া ক্যাপের সঙ্গে দাঁতের রঙের মিল থাকতে হবে। না হলে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তবে ক্যাপ লাগানো প্রক্রিয়া খুব সহজ নয়। অনেক সময় ক্যাপ লাগানোর পর নানা জটিলতা দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে রুট ক্যানেল সঠিকভাবে না হওয়াই মূলত দায়ী।
অনেক সময় দাঁত আকার অনুযায়ী কাটার সময় অসচেতন থাকলে মাড়িতে আঘাত লাগে। এ জন্য দাঁতে শিরশির অনুভূত হতে পারে। এর থেকে ডেন্টাল ক্যারিজ বা প্রদাহজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় অসতর্কতায় ক্যাপের মেকানিক্যাল লক নষ্ট হয়ে যায়। এতে ক্যাপ লাগানোর ব্যবহৃত উপাদানের মৌলিক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ক্যাপটি দাঁত থেকে খুলেও যায়।
ডেন্টাল ক্রাউন বা ক্যাপ ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি। ফলে পাশের দাঁতে খাবার জমে থাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। পরে দাঁত ও মাড়িতে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্যাপ পরানো দাঁতের পাশের মাড়ি ধীরে ধীরে সরে যায়। এতে দাঁতের গোড়ার শক্তি কমে যায়। একসময় দাঁত পড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। আধুনিক ক্যাপের উপরিভাগ পরচিলিন দিয়ে তৈরি করা হয়। ফলে তা দাঁতের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে করা হয়। যদি কোনো কারণে ত্রুটপূর্ণ হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ক্যাপের উপরিভাগে ফাটল ধরে। একসময় ফাটা অংশটি ধারালো হওয়ার কারণে জিহ্বা বা মুখের ভেতরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নানা প্রদাহ রোগ দেখা দিতে পারে।
দাঁতে ক্যাপ লাগানোর পর থেকে বিশেষ যত্ন অপরিহার্য। দুই দাঁতের মধ্যখানে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি ম্যাসাজ করুন। এতে মাড়ি ভালো থাকবে, দাঁতের গোড়া মজবুত হবে। ফলে দাঁতের মধ্যে খাবার জমার ভয় থাকবে না। ডেন্টাল ক্যারিজ বা মাড়ির প্রদাহজনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। প্রতিদিন একবার লবণ গরম পানি দিয়ে কুলি করুন। এতে খাবারের অবশিষ্ট কণা বের হওয়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানাবিধ সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন। কখনো অসতর্কতায় ক্যাপ খুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান।
ধন্যবাদ
ডাঃসুলতানা তানিয়া জাহান
তানিয়া ডেন্টাল কেয়ার
০১৭১৭৬৬২৩৬৭
Leave a Reply