বুধবার সকালে জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ইন্সপাইরিং ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২১ (INSPIRING TRANSGENDER AND HIJRA VOLUNTEER AWARD 2021) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম (সিনিয়র সচিব) বলেন, ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া কর্মী নিয়োগ দিলে কর (ট্যাক্স) মওকুফের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে তরুণ ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া স্বেচ্ছাসেবকদের করোনা মহামারিতে স্বেচ্ছাসেবার স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)। করোনা মহামারীতে মৃতদেহ সৎকারে যুক্ত থাকায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ট্রান্সওমেন আশিকুল ইসলাম সজীব (সঞ্জিবনী), করোনাকানীন সময়ে কমিউনিটিদের মাঝে ত্রানের ব্যবস্থা করার জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আনিসুর রহমান তনু এবং কমিউনিটিদের মাঝে ত্রানের ব্যবস্থা করা ও কোভিড-১৯ টীকা গ্রহনে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন পাখি হিজড়া।
অনুষ্ঠানে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া সন্তান আয় করলে বাবা-মাকে ছেড়ে যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া কর্মী নিয়োগের সরাসরি তদারক করছেন তিনি। এই জনগোষ্ঠীর জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম পরিবর্তনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে সম্মনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। তিনি বলেন, অধিকার কেউ দিবে না, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে নিজেদের অধিকারের জন্য, রাষ্ট্র সব সময় তাদের পক্ষে আছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বন্ধু’র চেয়ারপারসন ও বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরু।
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) দেশের নেতৃত্ব স্থানীয় সংগঠন, যারা দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সেবাসমূহ নিশ্চিতে কাজ করছে। কোভিড-১৯’র মহামারিতে বিভিন্ন দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মোট ১৩ হাজার ৩২১জন ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সদস্যর হাতে ত্রাণ, আর্থিক প্রণোদনাসহ জরুরী সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বন্ধু। আর বন্ধু’র পরোক্ষ সহযোগিতায় ত্রাণ ও জরুরী সামগ্রী পেয়েছে আরো ১০ হাজার ২৭৫জন কমিউনিটি সদস্য।
ইন্সপাইরিং ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২১:
প্রথম পুরস্কার : ২০,০০০ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ
দ্বিতীয় পুরস্কার : ১০,০০০ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ
তৃতীয় পুরস্কার : ৫,০০০ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ
Leave a Reply