প্রহল্লাদ সাহার ছোট ছেলে তারক সাহা মারা যাওয়ার পরে বিউটি বোর্ডিং অঙ্গনে এখন আর কোন সাহিত্য সভা হয়না ।
১৯৯৮ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে
কবি সংসদ বাংলাদেশ কবি তৌহিদুল ইসলাম কনকের পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। কবি শামসুর রহমানের ৭২ তম জন্ম উৎসবের মধ্য দিয়ে
কবি সংসদ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে সম্মতি প্রদান করেন। এরপর থেকে তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন কবি সংসদ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।
কবি সংসদ বাংলাদেশ একটানা নিয়মিত মাসিক সাহিত্য সভা করে আসছিল ২০ বছর।
এখানে কবি সংসদ বাংলাদেশের আয়োজনে এসেছেন
আহমেদ ছফা,রফিকুল হক দাদুভাই, ত্রিদিব দস্তিদার, কবি সমুদ্র গুপ্ত, কবি মহাদেব সাহা, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি অসীম সাহা,
কবি ইমরুল চৌধুরী, কবি শিহাব সরকার, ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ, কবি প্রদীপ মিত্র, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, সাংবাদিক মোঃ আলতাফ হোসেন, কবি নুরুল করিম নাসিম, খুরশিদ আনোয়ার জসীমউদ্দীন,
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, কবি রাজু আলীম,
আরো অনেক বিখ্যাত কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক নিয়মিত মাসিক সাহিত্যসভায় অংশগ্রহণ করেছেন।
আমাদের উৎসাহিত করেছেন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন ।
এখানে বাংলা সাহিত্য সম্মেলন হয়েছে।
জাতীয় কবি সম্মেলন হয়েছে। অথচ এখন এখানে আর
কোন সাহিত্য সভা হয় না। তারক সাহার বড় ভাই
তিনি এখানে চান না। তিনি যদি চাইতেন তাহলে
এই বছর ১৭ ই মার্চ ২০২১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কবি
সংসদ বাংলাদেশ আয়োজিত ২২ তম বঙ্গবন্ধু জাতীয় কবিতা উৎসবের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতেন না সমর সাহা। আমরা লেখালেখি করে বলেই তাকে কিছুই বলিনি। ১৯৪৮ সালে ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা অফিস ছিল ।
তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মাধ্যমে হেরিটেজ করে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকদের আড্ডার জায়গাটি সংরক্ষণ রাখতে। জমিদার সুদীর বাবুর ঐতিহ্যবাহী এই জমিদার বাড়িটি পুরাতন ঢাকার নান্দনিক সৌন্দর্য পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দিত করতে পারে।
এখানে হোটেল ব্যবসার নামে অতিরিক্ত খাবার-দাবার
মূল্য থাকায় অনেকেরই খাওয়ার পরে বিপদে পড়তে হয় । এছাড়াও কোন কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক লেখকদের ক্ষেত্রে কোন সম্মানজনক মূল্য নেই।
অথচ কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক দের নামের তালিকা টা নিয়ে গর্ব বোধ করলেও সেটা শুধু ব্যবসার জন্য। এসব নানা কারণে কবি সংসদ বাংলাদেশ সাহিত্য সভা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
বর্তমানে ছেলে মেয়েদের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা করে
ঐতিহ্যবাহী ধ্বংসের মুখে চলছে। আগের মত বিউটিশিয়ান অথবা প্রকাশকদের আড্ডা হয় না।
সত্যিকার অর্থে সেই প্রিয় মুখটি তারক সাহা মারা যাওয়ার পরে সমর সাহার আজ থেকে
সাহিত্য সংস্কৃতির আন্তরিক সহযোগীতা মূলক কোন ব্যবহার না থাকায় বিউটি বোর্ডিং সুদি সংঘ ট্রাস্ট
তাদের কার্যক্রম ও দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে আছে।
আমরা যারা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করি আমরা চাই আবার ফিরে আসুক চর্চা করার সেই সুদিন টি।
Leave a Reply