জনরা- ভৌতিক রহস্য প্রচ্ছদ শিল্পী – সামিহা হোসেন শৈলী । নামলিপি শিল্পী- সাহাদাত হোসেন। প্রকাশনী- অনন্যা প্রকাশনী, প্রকাশক- Monirul Haque মুদ্রিত মুল্য- ২০০ টাকা প্রি- অর্ডার মূল্য- ১৭২ টাকা। শকুন্তলা বোর্ডিং এর মালিক ছিল এক হিন্দু ব্যবসায়ী। তার মায়ের নামে এই বোর্ডিং । কিন্তু হঠাৎ করে এই পূর্ব বঙ্গ ছেড়ে তারা পাড়ি জমায় কলকাতায়। চলে যাওয়ার সময় আজমল তালুকদারের কাছে সে এই বোর্ডিং বিক্রি করে যাচ্ছিল তখন তার শুধু একটাই শর্ত ছিলো, বোর্ডিং এর নাম যেন পরিবর্তন করা না হয়। সেই থেকে আজমল সাহেব এই বোর্ডিং চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৩৭ সালের শেষের দিকের সময় এখন। সবে ভোরের দিকে শীত অনুভব শুরু হয়েছে। এই সময়টায় জমিদারির কাজ একটু ঝিমিয়ে আসে। সেই সুযোগে তাপস কলকাতায় তার অধীনস্থদের সব কিছু দেখতে বলে এই বোর্ডিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই বোর্ডিং এর কেউই জানে না তাপস একজন জমিদার। নিজের পরিচয় লুকিয়েই সে এই বোর্ডিং এ আসা যাওয়া করছে প্রায় দুই বছর ধরে। কিন্তু কেন? নুরি, আজমল তালুকদার এবং মনোয়ারা বেগম এর একমাত্র কন্যা। বয়স পনের কি ষোল। কি দারুণ মিষ্টি চেহারার শ্যামবর্ণের মেয়ে নুরি। কিন্তু নুরির উপর এমন কার অভিশাপ পড়েছে যা তাকে বাঁচতে দিতে চায় না! শকুন্তলা বোর্ডিং এর ছাদের এক কোণে দক্ষিণমুখী হয়ে কেউ একজন বীণা হাতে বসে রাগ ভৈরব গাইছে। যার হাতে বীণা তার পিছন দিকটা দেখা যাচ্ছে। পিঠ জুড়ে ঘন কালো টেউ খেলানো কোঁকড়ানো চুল। আর পরনে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি। কে এই নারী? যাকে তাপস ছাড়া আর কেও দেখতে পায় না! এমন আরও অজানা এবং ভৌতিক রহস্য নিয়ে এই উপন্যাসের গল্প, বিভিন্ন সম্পর্কের সূক্ষ কিন্তু মজবুত বুননে তৈরি গল্প… যে গল্প কখনো আপনাকে হাসাবে, কাঁদাবে, কখনো আনবে টানটান উত্তেজনা, কখনো চরম ভয়ে আপনার হাত পা অবশ হয়ে যাবে, মনে হবে শকুন্তলা বোর্ডিং এর সেই ভৌতিক পরিবেশে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন, আবার কখনো বুক চিড়ে বেরিয়ে আসবে করুন দীর্ঘশ্বাস… সব কিছু মিলে শকুন্তলা বোর্ডিং এ সৃষ্টি হয়েছে রোমাঞ্চকর পরিবেশ। বই হাতে নিয়ে আজ থেকে প্রায় ৮০ – ৯০ বছর আগের সময়টাতে ঘুরে আসতে হলে এবং শকুন্তলা বোর্ডিং এর ভৌতিক রহস্য উৎঘাটন করতে চাইলে পড়ুন এই গল্পটি। উপন্যাস পড়া আপনার শেষ হয়ে যাবে কিন্তু এর রেশ রয়ে যাবে আরো কিছুদিন … মনে হবে, ইশ আরো যদি পড়া যেত…! শুভ হোক শুকুন্তলা বোর্ডিং এ আপনার আগমন। রকমারি তে প্রি অর্ডার করা যাচ্ছে।
Leave a Reply