আর আসেনা মিষ্টি মায়ের চিঠি,
বলেনা কেহ গ্রামটি ঘুরে আসি।
গ্রামে যাবি শাপলা শালুক খোঁজে,
মা’নেই তা মনটা নাহি বোঝে।
বন বাদারে বৃষ্টি নামে ধীরে,
ঝুম ভিজেছি ফিরবিনারে নীড়ে?
মা’ পিটোবে বুঝবি কেমন মজা,
“ভাত খাবোনা”দিবেনা তাই সাজা।
আম বাগানে আমগুলো সব পেকে,
আয় পেরে খাই বলে না কেউ ডেকে।
বিল ডাঙাতে মাছেরা কয় হেসে,
আয় নিয়ে যা আমরা আছি ভেসে।
ডিঙিতে কে যাচ্ছে গান গেয়ে,
পুকুর ঘাটে ডুবদিলো কোন মেয়ে।
ছাতা মাথায় হাটে গেলেন দাদা,
ফিরছে রাতে হাতে পায়ে কাঁদা।
ধানের ঢেউয়ে মাঠটা হয়ে সবুজ,
তাইনা দেখে হয়ে ছিলাম অবুঝ।
চুলা যখন জলের তলে ডুবে,
ভাতের ক্ষুদায় পেটটা কেঁদে উঠে।
নদীর ধারে দাড়টানা সব লোকে,
ভাটিয়ালি সুর ধরেছে হেকে।
মাঠেঘাটে সবখানেতে কাদা,
দৌড় দিলে তুই হয়ে যাবি সাদা।
সকালবেলা মাথায় ডাকি নিয়ে,
কিনবে সদায় হাট বাদারে গিয়ে।
নদীর মাঝে ঢেউয়ের তালে তালে,
ছৈয়া নৌকা চলছে হেসে খেলে।
কৃষ্ণচুড়া রঙ বিলিয়ে তটে,
আঁচল ভেবে ভুলকরেছি বটে।
বিল বাওরে শাপলা ফুলের হানা,
তুলছি যখন দুহাতভরে করেনিতো মানা।
মা’ যদি দেন ডাক, এখনও আমি পাড় হতে চাই পদ্মা নদীর বাঁক।।
Leave a Reply