1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাবা – – – – – জেবুন্নেসা কাকলী “সাজাবো” – – – – ডাঃ ফিরোজ খান বশেমুরকৃবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এ প্রফেসর ড. মোঃ আবু আশরাফ খান সভাপতি ও প্রফেসর ড. মোঃ মসিউল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত এই (বাড়ি ও জমি এবং জমিসহ বাড়ি) গুলো বিক্রয় হবে গল্প – – সোনালী বিকেল – – – – সুবর্ণা রায় গণতন্ত্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো আলোচনা – – – – ফাতেমা বেগম শীতের গীত – – – – আলেয়া আরমিন আলো নতুন প্রজন্মের আস্থার প্রতিক আব্দুল লতিফ ………………………………………………… টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন-বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা ৩০ ডিসেম্বর–২০২৪, স্বাধীন আজম,  টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি  ওয়াটসঅন অ্যাওয়ার্ডস ও আইটি সার্টিফিকেশন ২০২৫ ………………………………………

“একখান পান চাইলাম পান দিলে না তোমার সনে কিসের পিরীতি এগো, তোমার সনে কিসের পিরীতি…” – – – শাম্মি মারজিয়া

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩৩৬ বার
গুনগুন করে এই গান গাই, কোন লাভ হয় না। পান খেতে চাইলেই বরের উত্তর, না। আমি তো সবসময় পান খাই না। শখে, মাঝেসাঝে। ভালোমন্দ মানে পোলাও, বিরিয়ানি খাবার পরে খাই আর শীতকালে। ছেলেবেলা থেকেই জানি-
“পান, পানি, পিঠা,
এই তিন শীতে মিঠা।”
শীতকালে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে রোদে পিঠ দিয়ে বসে পান চিবুনোর স্বাদ অন্য কিছুতেই মিলে না। মুখটা যেমন মিষ্টি হয়ে যায় মনটাও তেমন ফুরফুরে। আসলে ছেলেবেলা থেকে খেয়ে এসেছি মহেশখালীর মিষ্টি পান, টেকনাফের সুপারি, ঝিনুকের চুন, নরম খয়ের, চমনবাহার, মিষ্টি জর্দা সাথে বহুপদের বাহারি মসলা দিয়ে বানানো পান। তাই পানের জন্য টান আমার ছাড়ে না।
ঢাকায় এসে পড়েছিলাম মহা কষ্টে। এখানে সেই মিষ্টি পানের দেখা আজো মিলে নাই। ঢাকার পান দেখলেই সেই প্রবাদ মনে পড়ে।
” ভাদরের পান রাবণেও না খায়।”
তবু তাতেও আমার চলতো। কিন্তু বরের পান পছন্দই না। সে খায় না। কিনেও না। আমার দাদী বেঁচে থাকলে ঠিকই পান খাওয়া লাল ঠোটে মুচকি হেসে ছড়া কাটতেন-
“পান খায়ো রসিক জামাই কথা কয়ো ঠারে,
পানের জন্ম হইলো কোন অবতারে?…”
দাদী তবক দেওয়া পান মুখে পুরে, রাঙা ঠোটে হাসি ছড়িয়ে বলতেন-
“পান, পান্তা ভক্ষণ,
ঐ তো পুরুষের লক্ষণ,
আমি অভাগী তপ্ত খাই
কোনদিন বা মরে যাই।”
মিষ্টি কন্ঠে গানও করতেন-
“যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম,
মহেশখাইল্যা পানের খিলি তারে বানাই খাবাইতাম…”
শীত বিকেলে আমাদের গলিপথে পানের হকার ডেকে ডেকে যায়। তা দেখে খাবার এমন ঝোঁক উঠলো, না খেয়ে আর উপায় কি! যদিও এখানকার পান মনের মতো নয়। আর আমার অবস্থাও এখন-
“নাইরে আমার সেদিন,
একখিলি পান দুদিন।”
পানওয়ালাকে একটা স্পেশাল পানের অর্ডার দিয়ে দিলাম। মসলাদার সেই পান মুখে দিতেই-
আহা্, স্বর্গীয় তৃপ্তিতে মুখটা ভরে গেল। মনে মনে দাদীর মুখে শোনা কবিতা আওড়াই-
“সুকেশিনীর শির শোভা কেশের ছেদনে
সুরসিকের মুখ শোভা তাম্বুল ভক্ষনে।”
May be an image of 1 person, drink and indoor

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..