আমি অনেক বই পড়েছি এমন না।তবে হাতের কাছে যত বই পেয়েছি সব পড়েছি।এমনকি আমার পাঠ্যবই সব এ টু জেড আমার পড়া।পড়তে পছন্দ করি তাই পড়েছি।তবে অনেস্টলি,পাঠ্য বইয়ে আমি কোনো মজা খুঁজে পাইনি।কারণ সেখানে কাহিনীগুলো বানোয়াট ছিলো না।বাস্তব ছিলো সব।
গল্পের বই পড়তে যেমন আনন্দ লাগে তেমন পাঠ্যবইয়ে লাগেনা।আমার কাহিনী সাজাতে ভালো লাগে।ক্লাস সেভেনে প্রথমবার আমি গল্প লিখি।গল্পটা ছিলো এরকম
“ইমা নামের এক মেয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড রাতুল।যে কিনা ইমাকে পছন্দ করে।কিন্তু ইমাকে বলার সাহস পায়না।এদিকে ইমার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।তারপর ইমা কোনো এক মাধ্যমে জানতে পারে রাতুল তাকে পছন্দ করে।কিন্তু তাও তার বৌভাতের দিন।তারপর ইমা অনুভব করে,সেও রাতুলকে পছন্দ করে।কিন্তু তাদের পরিণয় হয়না।”
এটা লেখার পর আমি নিজেই বারবার পড়তাম।প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে একবার আমার গল্পটা আমি পড়তাম।তখন আমি গল্পটা লেখার উৎসাহ পেয়েছি কিভাবে তা বলি।আজ হিমুর বিয়ে উপন্যাসটা উপহার পাই।বইটা পড়ার পর আমি ইমা আর রাতুলের গল্পটা লিখি।লজ্জায় কাউকে পড়তে দিই নি।
তারপরের গল্পটা ক্লাস এইটে লিখি।এবং তা দুটো ছুটা কাগজে।ব্যাগ থেকে কিভাবে জানি বেরিয়ে যায় কাগজগুলো।পড়ে নিলু ম্যামের হাতে।তিনি পুরো ক্লাসের সামনে পড়ে শোনান।আর আমি লজ্জায় কুটিকুটি হয়ে পড়ি।গল্পটা ছিলো নিউ ইয়র্কে জন্মানো জুয়েলিকা নামের এক মেয়ের।যার বাবা মা তাকে মোটেই সময় দিতে পারেনা।
তখন সে হলুদ খামে চিঠি লিখে ব্রিজের কাছে রেখে আসতো।আর সে ভাবতো,তার চিঠি কেউ পড়ছে।সে একা বোধ করতো না আর।
তারপর অনেক গল্প লিখি,সব খাতায়।একবার বড় উপন্যাস লেখার চেষ্টা করি।তখন নাইনে পড়ি।দুটো লিখি অর্ধেক অর্ধেক।একটা গল্প প্রায় ৬৩ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লিখে আর লেখা হয়নি।আরেকটা ২৭ পৃষ্ঠা। ওইগুলা কোথায় এখন জানিনা।তবে খুঁজলে পাবো।
ফেসবুকে গল্প লেখার শুরু তিন বছর আগে।একটা গল্প লিখে লিখালিখি গ্রুপে দিই।তখন এই আইডি ছিলো না।আমি লেখার হাত পাকা না।একদমই নূব আমি।ফেসবুকে সবার গল্প পড়ি আমি,যতটা সামনে আসে।তার মধ্যে কিছু লেখকের নাম মেনশন না করলেই না।
আতিয়া আদিবা আপু,ইলমা বেহরোজ পিচ্চি মেয়েটা,সোহাইল রহমান,মৌরি মরিয়ম,আবুল বাশার পিয়াস,সাজ্জাদুল আরেফিন,মেহেদী হাসান জিহাদ, কাব্য গাজি,সাকিব হাসান রুয়েল,সাজি আফরোজ,খালিদ হাসান,তানিয়া তাসনিম রিতু,সাদিয়া খান মুন,তুর্জয় শাকিল সহ আরও কয়জন আছে যাদের লেখা নিয়মিত পড়ি আমি।
আমি ইন্সপায়ারড হই।আমার ৩০০+ লাইকের একটা পেইজ আছে।বিশাল সংখ্যক না,কিছু সংখ্যক মানুষ আমার হিজিবিজি গল্পগুলো পড়ে।মন্তব্য করে।আমার ভালো লাগে।লিখালিখি আমার শখের কাজ।ভালো লিখি না,তবে খুব শখ করে লিখি।তেমন কেউ পড়েনা,নিজের গল্প নিজেই পড়ি বেশ কয়েকবার।
আমি লিখছি এখন,কারণ আমার বলতে ইচ্ছে করছে যে আমি লিখি শখ করে।বিক্রি করতে না।আমাকে অজ্ঞাত একজন মেসেজ করে বলেছেন-কত পান,লিখেন যে?
যত লেখক আছেন,বড় বা ছোট সবাই শখের বশে লিখেন।অনেকে সেই শখটাকে এক সময় পুঁজি করেন।কিন্তু তা দোষের কিছু না।শখকে মানুষ প্রফেশন হিসেবে নিতেই পারে।কিন্তু এরকম প্রশ্ন করা কেমন না?
আমি লিখে যাবো।কেউ পড়ুক না পড়ুক।ইচ্ছে হলে পড়বেন,নয়তো না।কিন্তু এরকম প্রশ্ন করবেন না।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply