1. banglamailnews72@gmail.com : banglamailnews : Zakir Khan
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
# আহারে # খোরশেদ ।। সমাজে নতুন অপরাধী চক্র তৈরী হচ্ছে কিন্তু ভবিষ‍্যতে এদের রক্ষা করবে কে??।। – – – আশিক ফারুকী “অতঃপর” __ সালমা আক্তার বীরাঙ্গনা নই আমি মুক্তিযোদ্ধা – – – শাহনাজ পারভীন মিতা জলপাই রঙের স্বাধীনতা – – – আরিফুল হাসান প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান – – – স্বাধীন আজম –   টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি, স্বপ্নমায়া – – – – মাহজাবীন আহমেদ বুড়ি মরে গেল – – – মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম প্রযুক্তির দুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন উন্নত জীবন গড়ার দারুণ সময়:– ————–টিপু সুলতান লেখক ও সমাজ চিন্তক ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও রোগের চিকিৎসা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা – – – ডা: সাদিয়া আফরিন 

কাস্মীর ভ্রমণ (সংক্ষিপ্ত )পার্ট -১, শ্রী নগর ,সোনামার্গ ভ্যালি, জিরো পয়েন্ট ,সিন্ড নদী,পার্ট- ২ ( সংক্ষিপ্ত ) Gulmarg ,পার্ট -৩( সংক্ষিপ্ত) আপেল বাগান – – – সামসাদ ফেরদৌসী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৮৭ বার
২৪ সে সেপ্টেম্বর Ladies Fly Far এর সাথে গিয়েছিলাম কাশ্মীর ভ্রমণে।আমার সফর সংগী ছিল আরো ১৭ জন নারী। ফিরেছি পহেলা অক্টোবর।ভ্রমণ আমার নেশা তাই যখন যেমন ভাবে সুযোগ পাই যাওয়ার চেষ্টা করি।
এই ভ্রমণের প্রথম দিন ২৫ সে সেপ্টেম্বর আমরা গিয়েছিলাম Sonamarg valley তে যা সমতল থেকে ৯ হাজার ফুট উপরে। শীতকালে এই ভ্যালি পুরাটাই বরফে ঢাকা থাকে। অনেকেই এখানে স্কেটিং করতে আসে।যাওয়ার পথে পাথরের উপরে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা পাহাড়ি সরু sind নদীর পাশ ঘেষে আমরা সেখানে যাই। যাওয়ার পথে নদীর পাড়ে থামার সুযোগ হয়নি তবে ফেরার পথে সেই নদীর তীরে আমরা কিছুটা সময় থাকি।
Sanamarg Valley পর আমরা কাস্মীর এবং লাদাক সীমান্তে zero point যাই যা সমতল থেকে ১৫ হাজার ফুট উপরে। সেদিন সেখানে ঝুম বৃষ্টি ছিল।ঝুম বৃষ্টি আমার খুবই প্রিয় তার উপরে পাহাড়ের বৃষ্টি। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে ভাসমান মেঘ,প্রচন্ড ঠান্ডায় কুয়াশা মিলিয়ে এক নৈসর্গিক দৃশ্য অবতারণা হয়েছিল । সেখানে কিছু চায়ের টং ঘর ছাড়া আর কিছু ছিল না। চা খাওয়ার পর আমরা ফিরে আসি। পাহাড়ে উঠার পথে তেমন খেয়াল না করলেও ফেরার পথে দেখলাম পাহাড় কেটে খুব সরু রাস্তা করা হয়েছে যা খুবই রিস্কি একটু এদিক ওদিক হলে আর ফেরা সম্ভব না।তার মধ্যে বৃষ্টির কারনে ছোট পাথর গাড়ি উপরে পড়ছিল।ভয় আর আনন্দ মিলিয়ে এক ধরনের উত্তেজনা আমাদের মধ্যে কাজ করেছিল।
ফেরার পথে আমরা sind নদীতে কিছুটা সময় থাকি। রাতে কোলাহল মুক্ত শ্রীনগরের হোটেলে অবস্থান করি। পরের দিন Gulmarg যাওয়ার জন্য ডিনার শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরি।চলবে —-
(বিস্তারিত বর্নণা কোনো এক সময় ভ্রমণ কাহিনী তে লিখবো)।
কাস্মীর ভ্রমণ,পার্ট- ২ ( সংক্ষিপ্ত )
Gulmarg ,২৬/০৯/২২
———————
কাস্মীর ভ্রমণের প্রথম দিন ২৫ তারিখ জিরো পয়েন্ট আর সোনামার্গ ভ্যালি দেখার পর ২৬ তারিখ গিয়েছিলাম গুলমার্গ। গুলমার্গ সমতল থেকে সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উপরে।ছবির মতন যায়গা। অনেক উঁচু তে হলেও দেখতে অনেকটা চারণভূমির মতন।সারা গুলমার্গ জুড়ে ঘোড়া আর ভেড়াদের পালের দেখা মিলেছে।সারি সারি পাইন গাছ গুলমার্গের সৌন্দর্য বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
গুলমার্গে প্রথমে আমরা গুলমার্গ গোন্ডোলা রাইডে উঠি। আমরা ফাস্ট ধাপে উঠলেও সেকেন্ড ধাপে নানা কারনে আর উঠা হয়নি।আমাদের মধ্যে একমাত্র ফারজানা আপা সেকেন্ড ধাপে উঠেন পরে উনার বিবারণ শুনে আমাদের সবার খুব খারাপ লেগেছিল সেকেন্ড ধাপ মিস করার জন্য।কারন সেকেন্ড ধাপে মেঘের অনেক উপরে নিয়ে যায়।রাইডে চড়া শেষ করে আমরা হোটেলে আসি। হোটেলটি প্রকৃতির মধ্যে অবস্থিত।দিনে তাপমাত্রা সেখানে সাভাবিক থাকলেও রাতে ছিল হাড় কাঁপুনি শীত।
দুপুরে আমরা হোটেলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু দূরে পাশে ছোট লোকাল মার্কেটে সবাই মিলে যাই। মার্কেটিং করে আমাদের সাথে কয়েকজন হোটেলে ফিরে গেলেও আমরা কয়েকজন সেখানে থেকে যাই। গাড়ি থেকে দুই একজন নেমে গিয়ে আমাদের সাথে যোগ দেয়।বিকালের মায়াবী আলোতে দূরের পাহাড়,সাদা মেঘ, চারণ ভুমিতে ভেড়া,ঘোড়াদের বিচরণ দেখে চা খাওয়ার মজাই আলাদা ছিল। সাথে পর দেশের মানুষ গুলোর সাথে ইন্টারেকশন এক ধরনের নতুন অনুভুতি তৈরী করেছিল। রাতে হোটেলে ফিরে এসে খাবার খেয়ে পরের দিন আপেল বাগানে যাবার জন্য তাড়াতাড়ি আমরা ঘুমিয়ে পরি।চলবে—
কাস্মীর ভ্রমণ পার্ট -৩( সংক্ষিপ্ত)
আপেল বাগান ,২৭/০৯/২০২২
————————————-
কাস্মীরে ২৫ এবং ২৬ শে সেপ্টেম্বর আমরা শ্রী নগরের সোনামার্গ,জিরো পয়েন্ট,গুলমার্গ দেখার পর আমরা যাই পাহেলগাম গ্রামে। যাওয়ার পথে আমরা আপেল বাগান আর সাফরান(জাফরান ) ক্ষেতে কিছুটা সময় অতিবাহিত করার জন্য নেমে পরি।থোকায় থোকায় লাল আপেল বাগানে গাছ থেকে আপেল পেরে খাওয়ার অনুমতি ছিল। দামে বেশ সস্তা হওয়ায় অনেকেই গাছ থেকে পেরে আপেল কিনেছে দেশে নিয়ে আসার জন্য।আপেল আমার তেমন পছন্দ নয় আর দেশে এই ভারী ফল আনার কষ্টের জন্য আমি আর কিনিনি।
আপেল বাগান থেকে আমরা জাফরান ক্ষেতে যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখনো জাগরান ফুল না আসাতে আর মিলিটারীর কড়া পাহাড়ার কারনে আমরা সেখান থেকে ফিরে আসি। জাফরান বাগানের কাছে একটা দোকান থেকে আমরা জাফরান ,বাদাম ,বিভিন্ন শুকনা ফল কিনি। দোকানে আমাদের সবাইকে কাস্মীরী চা খাওয়ায়। যেই চা কে ওরা Kahwa tea বলে যা বাদাম, জাফরান আর গ্রীন টি দিয়ে বানানো হয়।স্বাদ খারাপ না।তবে আমার দুধ চা ই পছন্দ।
কেনাকাটার পর আমরা পাহেলগাম গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ( চলবে)

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..