প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব (ডিপিএস) হাসান জাহিদ তুষার শনিবার বিকালে এই সাক্ষাতের বিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অনেক প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে এবং চলমান কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার জন্যও কাজ করছে। এজন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশ করোনা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা যেভাবে বিভিন্ন জরুরি রোগী অথবা বিদেশ ফেরত লোকদের স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে সেবা প্রদান এবং মানবিক কাজ করেছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিন বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ শতকের ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে গত ১২ বছরে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আলোকে তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নে কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করছে সরকার।
১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার জন্য তিন বাহিনীর প্রধানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সময় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত সাক্ষাৎকালে নিজ নিজ বাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী।
Leave a Reply