১. বাসায় যে ছুটা বুয়া কাজ করে তার মাসিক আয় ১৩,০০০ টাকা। তার স্বামী রিক্সা চালিয়ে আয় করে মাসে প্রায় ১৮,০০০-২০,০০০ টাকা। তাদের ১২ বছরের একটা ছেলে টেম্পুতে হেলপারি করে পায় ৬০০০ টাকা। ঐ পরিবারের মাসিক আয় প্রায় ৩৯,০০০ টাকা। মা ও ছেলের ২ বেলা খাবার ফ্রি। এরা যে বাসায় থাকে তার ভাড়া ৭,০০০ টাকা। সব খরচ মিটিয়ে প্রতিমাসে সমিতিতে জমা করে ৮,০০০ টাকা। জমার পরেও গত কয়েক বছরে গ্রামের বাড়িতে জায়গা কিনেছে ১০ শতাংশ।
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছর দশেক আগে মাস্টার্স করা ছেলে রফিকুল ইসলাম, বিবাহিত, ৬ বছরের একটা ছেলে আছে। একটা বায়িং হাউসে চাকুরি করত। করোনার কারনে চাকুরি চলে যায়, দীর্ঘদিন বেকার থেকে বহু চেষ্টা তদবির করে আরেকটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়। বেতন সর্বসাকুল্যে ২৮,৫০০ টাকা। ০৩ দিন অফিস যেতে দেরি হলে ০১ দিনের বেতন কাটা। ০১ রুমের বাসা নিয়ে ঢাকায় থাকে, বাসা ভাড়া সমস্ত বিল সহ ১৪,০০০ টাকা। বাকি ১৪,৫০০ টাকা দিয়ে খাওয়া, যাতায়াত, কাপড়চোপড়, চিকিৎসা, বাচ্চার লেখাপড়া সব। ২০ দিন যেতে না যেতেই টাকা শেষ। এরপর ধার দেনা করে চলতে হয়।
পাদটিকা: দেশে ১ কোটি দরিদ্র পরিবারকে টিসিবি কার্ড দেওয়া হচ্ছে কম দামে পণ্য কেনার জন্য। এই কার্ড কে পাওয়ার যোগ্য—- কাজের বুয়া নাকি রফিকুল ইসলাম। কোন কোন বিবেচনায় দারিদ্র্যতা সজ্ঞায়িত হয় বাংলাদেশে, আয় দিয়ে নাকি সামাজিক অবস্থান দিয়ে?
আর এই রফিকুল ইসলামদের জন্য কি করা উচিত?
আর রফিকুল ইসলামদের বউদের জন্যই বা কি পেশার সুযোগ থাকা উচিত?
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply