ছবিটি কিসের, বুঝতে পারছেন?
হ্যাঁ, শিশুদের খেলাধুলার একটি সাধারণ ছবি! যেন আপনার-আমার ছেলেবেলার জীবন্ত ছবি! তাই না?
কিন্তু আপনি কি লালচিণ্হিত জায়গাটির প্রতি লক্ষ করেছেন? দুটি ছেলে-মেয়ের দু’ হাতের মাঝে একটি কাঠি রাখা আছে! তারা সরাসরি একে অপরের হাতধরাধরি করেনি। বরং মাঝখানে একটি কাঠি রেখে দুইজনে দুই অংশ ধরেছে। এরপর তারা নিজেদের খেলাধুলা শেষ করেছে!
এর রহস্য কি জানেন?
হাঁ, একসময় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও এত লজ্জাশীল ছিল যে, তারা একে অপরের হাত ধরতে চরম লজ্জাবোধ করতো! খেলাচ্ছলে হাত ধরার প্রয়োজন হলে তারা এ পন্থা অবলম্বন করতো, যা ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
শ্রেণীকক্ষেও ওই ছেলে কান্নাকাটি করতো, যাকে শিক্ষক কোনো মেয়ের পাশে বসিয়েছে। ওই মেয়ে কান্নাকাটি করতো, যাকে কোনো ছেলের সাথে বসানো হতো। শিক্ষক হয়তো শাস্তিস্বরূপ কখনো কখনো এমন করতেন।
এই ছিল সেযুগে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্বভাবজাত লজ্জানুভূতি। সৃষ্টিগত লজ্জাবোধ।
এই ছিল ইসলামী হায়াবোধ, যাকে ঈমানের অংশ বলা হয়েছে।
হায়, আমরা সেই পবিত্র আত্মাগুলো হারিয়ে ফেলেছি।
আমাদের নির্লজ্জতা দেখে লজ্জাও মুখ লুকায়!ছোটরা তো ছোট! তাদের কথা থাক।
কিন্তু বড়দের কী অবস্থা?…
যুবক-যুবতীদের কী অবস্থা?…
বুড়োবুড়িদের কী দশা?…
প্রকাশ্যে পথেঘাটে হাতধরাধরি…
গাড়িতে সিট খালি পেলেই হলো, পর-নারী বা পরপুরুষের সাথে বসে পড়া…
ক্লাসে মেয়েদের পাশে বসার অসুস্থ প্রতিযোগিতা…..
অথচ সর্বযুগে সকল নবীর প্রথম বাণী ও প্রথম উপদেশ ছিল : “তুমি যদি নির্লজ্জ হয়ে থাক, তা হলে তুমি যা ইচ্ছে তা ই করতে পারো!”
কবি বলেছেন :
يعيش المَرْءُ ما استحيا بخَيرٍ
ويبقى العودُ ما بقيَ اللحاء
فلا والله ما في العيش خيرٌ
ولا الدنيا إذا ذَهبَ الحياءُ.
“মানুষ ততক্ষণ বেঁচে থাকে, যতক্ষণ সে লজ্জা করে,
গাছ ততক্ষণ টিকে থাকে, যতক্ষণ তার বাকল থাকে!
কসম খোদার, এ জীবন ও জগতে কোনো কল্যাণ নেই,
যদি তাতে লজ্জা না থাকে!”
ইয়া আসাফা…
ইয়া আল্লাহ, আমাদের ক্ষমা করো!
বিদেশী স্ট্যাটাস অবলম্বনে রচিত ও অনূদিত-
محمد سیف الدین الغازی.
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply