১- যাদের থেকে শিখতে পারবেন, তাদেরকে অবশ্যই বন্ধু বানাবেন। (সুরা নাহাল ১৬/৪৩; বুখারী হা/৭৫৭;৮৯৩;১৩৮৫)
২- যাদেরকে শিখাতে পারবেন, তাদেরকে সাথে রাখাবেন। (সূরা যারিয়াত ৫১/৫৫)
কারণ, হাদীস অনুসারে ‘দুনিয়া অভিশপ্ত ও তাতে যা আছে তাও অভিশপ্ত, তবে যদি আল্লাহর স্মরণ ও তার সাথে সম্পৃক্ত অথবা আলেম বা তালেবে ইলম হয়। (সুনান ইবনু মাযাহ হা/৩৩৩৬)
৩- যাদের সাথে থাকলে ঈমান বাড়বে। (সুরা তাওবা : ৯/১২৪-১২৫, সুরা আহযাব : ৩৩/২২; সুরা কাহফ :১৮/ ১৩)
৪- যাদের সাথে থাকলে আখেরাতে আপনার কাজে লাগবে বলে আপনার বিশ্বাস হবে।
(সুরা মায়েদা ৫/৫৫; সুরা ফাতাহ ৪৮/২৯; সুরা হাসর ৫৯/১০)
কাদেরকে সাথে না রাখা দরকার?
১- যারা নিজেরা আলেম নয় অথচ আলেমদের পিছনে লেগে থাকে। (সুরা বাকারাহ ২/১১-১২)
২- যারা আপনার চেয়ে অজ্ঞ, অথচ আপনাকে শিখাতে চায়। (বুখারী ১০০, মুসলিম ২৬৭৩; মিসকাত হা/২০৬)
৩- যারা আপনার সাধারণ দোষ ত্রুটিকে বড় করে দেখাতে পছন্দ করে। (সুরা হুমাযাহ ১)
৪- যারা আপনার সাথে ফিকহী বিষয় অথবা মত পার্থক্যের স্থানে আপনার জন্য ওযর দেখে না। (সুরা নাহাল ১৬/১০৬)
৫- যারা বিদ‘আতের দিকে আহ্বানকারী; অর্থাৎ আকীদার মৌলিক বিষয়ে আপনার কথা শুনার মত কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না। (মিশকাত হা/১৪৭)
৬- যারা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করতে দ্বিধা করে না।। (সুরা হুজুরাত ৪৯/৬)
৭- যারা কোনো শাইখের ভালোবাসায় অন্ধ। (সুনানুল কুবরা বায়হাকী হা/২১৩৬)
৮- যারা দলের অনুসরণে অন্ধ। (সুরা রুম ৩০/৩০-৩১)
৯- যারা আপনার কাছে অন্য আলেমের গীবত করে বেড়ায়। (সুরা হুজুরাত ৪৯/১২)
১০- যারা ক্রস-ফতোয়া তালাশ করে বেড়ায়। (সুরা কাসাস ২৮/৫০ সুরা ফুরকান ২৫/৪৩)
সংযুক্ত :
১১- যারা অনার্থক ইসলামের সমালোচনা করে। নাস্তিক এবং খ্রীষ্টান মিশনারি (সূরা আনআম ৬/৬৮ ; সুরা নিসা ১৪০)
১২- সাধারণ মুসলিমদের জন্য ভ্রান্ত ফিরকার অনুসারিদের যেমন শিয়া, মুতাজিলা, খারেজি, কাদিয়ানী, হিজবুত তাওহিদ, আহলে কুরআন এদের কে বন্ধু না বানানো। (সুরা আনাম ৬/১৫৩; ১৫৯; সুরা নিসা ৪/৫৯-৬৩)
১৩- পুরুষদের জন্য অপ্রয়োজনীয় নারী বন্ধু বানানো। এবং নারীদের জন্য অপ্রয়োজনীয় পুরুষ বন্ধু বানানো থেকে দুরে থাকতে হবে। (সুরা বাণীইসাঈল ১৭/৩২; সুরা নুর ২৪/১৯; সুনান তিরমিজি হা/১১৭১; মিশকাত হা/১৩১৮)
Leave a Reply