আল্লাহ তা’আলা বলেন, কোনো বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হলে তা আল্লাহ ও রাসূলের নিকট উপস্থাপিত করো।( সূরা নিসাঃ৫৯)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত মুয়াজ( রাযিঃ) কে ইয়েমেনের শাসনকর্তারূপে প্রেরণকালে জিজ্ঞাসা করলেন,
মুয়াজ! কোন বিষয়ে যখন ফায়সালা করতে হবে, তখন কিসের ভিত্তিতে ফায়সালা করবে? হযরত মুয়াজ( রাযিঃ) উত্তরে বললেন, ‘কিতাবুল্লাহর ভিত্তিতে ফয়সালা করবো।’ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, যদি কিতাবুল্লাহতে সমাধান না পাও? হযরত মুয়াজ( রাঃ) বললেন, ‘সুন্নাতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দ্বারা ফায়সালা করব।’
নবীজি( সাঃ) বললেন, যদি সুন্নাতে রাসূলে না পাও? তখন মুয়ায (রাঃ)বললেন, তাহলে চিন্তা ভাবনা করে ইজতিহাদের ভিত্তিতে ফায়সালা করব ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উত্তর ও উত্তরের ধারাবাহিকতায় খুশি হয়ে তার বুকে চাপড় দিলেন এবং বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে এমন বিষয়ের তাওফীক দিয়েছেন, যাতে তার রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সন্তুুষ্ট রয়েছেন।
(সুনানে আবু দাউদঃ২/৫০৫, জামে তিরমিজিঃ১/১৫০)
ইবনুল কাইয়িম( রহঃ) বলেছেনঃ
সর্বপ্রথম সাহাবায়ে কেরাম কিয়াস ও ইজতিহাদ করেছেন ।তাঁরা সমশ্রেণীর বিষয়গুলোর বিধান অনুরূপ বিষয় থেকে আহরণ করে আলেমদের জন্য ইসতিহাদের দ্বার উন্মুক্ত করেছেন। তাদের কর্মপদ্ধতি থেকে কিয়াসের নিয়ম পদ্ধতি নির্ধারিত হয়েছে।
( ইবনুল কাইয়িম ইলামুল মুয়াক্কিয়ীন,মাতাবিউল ইসলাম, মিশর,খন্ড ১, পৃঃ২১৭)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার আমল করার তৌফিক দান করেন।
Leave a Reply