ইন্না-লিল্লাহ হে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
আমার আপন চাচা মোঃ শহীদুল ইসলাম (প্রাক্তন সচিব, মৎস অধিদপ্তর)। করোনার সাথে যুদ্ধ করে ২২ দিনের মাথায় আজ না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বাবা মারা যাবার পর এই ১৭ বছরে কোন দিন মনে হয়নি বাবা নেই। ফোন ধরলেই বলে উঠতেন, ” কেমন আছ আব্বা”। আর এই ডাক কোনদিন শুনব না। অসাধারণ মিষ্টিভাষী আর খোলা মনের মানুষ ছিলেন। আমাদের সাথে সারাক্ষণ অনেক দুষ্টামি করতেন। এতটা ভালোবাসতেন যে, এইচ এস সি পরীক্ষার পর বিমানে চড়ার অনেক শখ ছিল, চাচা সেই শখ পূরণ করেছিলেন। ঢাকা থেকে খুলনাতে প্লেনে করে চাচার সাথে গিয়েছিলাম। প্রথম প্লেনে উঠা, খুব ভয় পেয়েছিলাম, পুরো পথটা আমাকে হাসাতে হাসাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। অসম্ভব সাহসী ছিলেন। বহুবার গাড়ি accident করেও অদম্য মনোবলের জন্য তেমন কিছু হয়নি কোন দিন। যেমন ছিলেন মেধাবী তেমনি ছিলেন সাদা মনের মানুষ। খুব সহজেই সবাইকে খুব আপন করে নিতেন। কোন বিপদে পড়লেই আমরা খুব ভয় পেয়ে যেতাম, আর চাচা আমাদের সাহস দিতেন। এইচ এস সির ফলাফল ভালো করাতে খুলনা থেকেই পোস্টে আমার জন্য special gift চলে এসেছিল। এরকম অসংখ্য ঘটনা আছে, যা লিখে শেষ করা যাবে না। আমাদের পরিবারের সব ধরনের বিপদে চাচা আমাদের পাশে ছিলেন, সাহস জুগিয়েছেন। আজ সেই ভালোবাসার জায়গাটা হারিয়ে গেল চিরতরে। কেও থাকবে না, আর এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু কিছু কিছু শূন্যতা কোন দিন পূরণ হয় না।
চাচা আমাদের সবার মনে সব সময় ভালোবাসার মানুষ হয়েই বেঁচে থাকবেন। ওনার আত্বার শান্তি কামনা করছি। আল্লাহ যেন চাচাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।
Leave a Reply