শুধু মাতাল ডিজেল নয়, আমার মধ্যে ছড়া চেতনা এবং ছন্দ দ্যোতনা সৃষ্টিতে ‘মিলাদ মাহফিল’-এর ভূমিকাটিও এখানে স্মর্তব্য। ছেলেবেলায় খুব আগ্রহ নিয়ে মিলাদে অংশ নিতাম। তবে এর নেপথ্যে খুব জোড়ালো কোনো ধর্মীয় চেতনা বা অনুভূতি কাজ করতো না। সুযোগ পেলেই মিলাদে আমার অংশ গ্রহণের পেছনে ছিলো দু’টি কারণ। কারণ না বলে বলা ভালো ‘দু’টি আকর্ষণ’ ছিলো মিলাদের ব্যাপারে।
এক—মিলাদের পরে কাগজের ঠোঙায় কিংবা শুকনো পাতার ঠোঙায় জিলিপি বিতরণ করা হতো তবারক হিশেবে। বিশেষ সেই ঠোঙাই ছিলো আমার মূল আকর্ষণ বা টার্গেট। মিলাদের জিলিপির মতো সুস্বাদু মিষ্টি মনে হতো পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।
দুই— মিলাদ পড়াতেন যে মৌলভী তিনি সুর করে চমৎকার একটা ছড়া আবৃত্তি করতেন। মৌলভী সাহেবের পাঠ করা সেই ছড়াটা আমাকে খুব টানতো।
সহজ সরল ভাষায় লেখা চমৎকার ছড়াটা ছিলো এরকম—‘ইয়া নবী সালামালাইকা/ইয়া রাসূল সালামালাইকা/ইয়া হাবিব সালামালাইকা/সালাওয়া তুল্লা আলাইকা।’ প্রথম এই স্তবকটি কেউ আমাকে বুঝিয়ে না দিলেও আমার শিশুমন এইটুকু বুঝতো যে আরবী ভাষার এই ছড়াটায় নবীর উদ্দেশে সালাম নিবেদিত হচ্ছে। এই ছড়ার দ্বিতীয় স্তবক থেকেই দুর্বোধ্য আরবী ভাষার জায়গায় ছড়াটা আমার চেনাজানা বাংলা ভাষায় আবির্ভূত হতো—‘তুমি যে নূরেরো রবি/নিখিলের ধ্যানেরো ছবি/তুমি না এলে দুনিয়ায়/আঁধারে ডুবিতো সবি/ইয়া নবী সালামালাইকা…।’
মৌলভী সাহেবের সঙ্গে কোরাস আবৃত্তিতে অংশ নিতেন মিলাদে উপস্থিত প্রত্যেকেই। আমিও। আমার খুবই মজা লাগতো। এই ছড়াটা আবৃত্তির সময় মৌলভী সাহেব বসা থেকে উঠে দাঁড়াতেন এবং তাঁকে অনুসরণ করে উপস্থিত সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত পেটের ওপর আড়াআড়ি করে চেপে রাখতেন এবং কোরাসে সুর মেলাতেন। আমিও কষে আবৃত্তিতে অংশ নিতাম। ছড়াটা আমাকে এতোটাই মুগ্ধ করেছিলো যে মিলাদ ছাড়াও অবচেতনে আমি প্রায়শঃই আওড়াতাম—তুমি যে নূরেরো রবি/নিখিলের ধ্যনেরো ছবি….।
সেই খুদে বয়েসেই আমি এই ছড়াটার রচয়িতার খোঁজে নেমে পড়লাম।
মিলাদ পড়ানেওয়ালা হুজুরকে জিজ্ঞেস করি–হুজুর এই সুরাটা কি কোরানে আছে?
হুজুর বেকায়দায় পড়ে যান–আছে তো। নিচ্চয় আছে।
আমি বলি–কিন্তু এই ভাষাটা তো আমাদের ভাষা। এই ভাষায় সুরা রচনা হইলো ক্যাম্নে! সুরা তো সব লেখা হইছে আরবী ভাষায়!
আমার কথায় আর যুক্তিতে পেরেশান হুজুর নাস্তানাবুদ পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন–সবই তাঁর ইচ্ছা। তিনি চাইছেন এইটা বাংলায় হবে তাই বাংলায় হইছে। বাংলায় না হইলে তোমার আমার মতোন নাদানেরা বুঝবো না। বুঝছো?
আমিও বুঝেছি ভান করে মাথা নাড়াই। কিন্তু বুঝি না।
সদ্য কৈশোরে পা রাখা আমি আমার মতোন করে তল্লাশী চালিয়ে যাই। অবশেষে একদিন জানতে পারলাম মিলাদের চমৎকার এই সুরাটার লেখকের নাম গোলাম মোস্তফা। আমি তখন অবাক হয়ে ভেবেছিলাম—বাংলা এবং আরবী ভাষায় পারদর্শী কবি গোলাম মোস্তফা বোধ হয় আরব দেশে বাস করেন! নইলে কোরানের আয়াতের ঢঙে এইরকম ছড়ার মতো একটা সুরা তিনি রচনা করলেন কি ভাবে?
কিন্তু খুব দ্রুতই দূর হয়েছিলো সেই ভ্রান্তি। মুগ্ধ বিস্ময়ে আমি আবিস্কার করেছিলাম–আরে! গোলাম মোস্তফা নামের এই কবির বেশ কিছু কবিতা তো আমার মুখস্ত!
আমার প্রিয় কবিতা ‘আমরা নতুন আমরা কুঁড়ি নিখিল বন নন্দনে/ ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা জীবন জাগে স্পন্দনে/ সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবো মোরা ফুটবো গো/অরুণ রবির সোনার আলো দু’হাত দিয়ে লুটবো গো/ নিত্য নবীন গৌরবে/ছড়িয়ে দেবো সৌরভে/ আকাশপানে তুলবো মাথা সকল বাঁধন টুটবো গো’…র লেখক গোলাম মোস্তফাই মিলাদের এই ছড়াটা লিখেছেন! আহা কী দারুণ!
কবি গোলাম মোস্তফার ছন্দপ্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বালক বয়েসে আমিও একবার পরিকল্পনা করেছিলাম—মিলাদে আবৃত্তি করার মতো দীর্ঘ একটা ছড়া আমাকে লিখতেই হবে!
০২
ছেলেবেলায় কচি-কাঁচার মেলা নামের একটি শিশু সংগঠনে ভর্তি হয়েছিলাম। ওখানে ছবি আঁকা শিখতাম। আর শিখতাম গান। আমার গানের টিচার সুখেন্দু চক্রবর্তীর কাছে শিখেছিলাম হারমোনিয়ম বাজানো। ওস্তাদ মোশাদ আলীর কাছে শিখেছিলাম সারগাম। হারমোনিয়মের রিড ধরে ধরে তিনি শেখাতেন। সারেগামাপাধানিসা সানিধাপামাগারেসা-কে নানান রিদম আর আঙ্গিকে, নানান মাত্রা এবং পর্বে বিভক্ত করে শেখাতেন তিনি–আরোহন অবরোহন। আরোহন হচ্ছে নিচ থেকে ওপর দিকে যাওয়া আর অবরোহন হচ্ছে ওপর থেকে নিচ দিকে ফিরে আসা। একই তাল লয় সুর আর ফর্ম্যাটে কাজটা করতে হতো নিপুণ ভাবে।
এক মাত্রা থেকে দুই মাত্রা, দুই মাত্রা থেকে তিন মাত্রা এভাবে চার পাঁচ ছয় সাত—ষোল মাত্রা পর্যন্ত উঠে যাওয়া এবং নেমে আসাটা শিখিয়েছিলেন তিনি। যেমন, ৩ (তিন) মাত্রা–সারেগা/ রেগামা/ গামাপা/ মাপাধা/ পাধানি/ ধানিসা……/ সানিধা/ নিধাপা/ ধাপামা/ পামাগা/ মাগারে/ গারেসা।/…সারেগামাপাধানিসা। সানিধাপামাগারেসা।
১৬(ষোল) মাত্রা–সারেগা সারেগা সারেসাগারেগা সারেগামা…/ রেগামা রেগামা রেগারেমাগামা রেগামাপা…/গামাপা গামাপা গামাগাপামাপা গামাপাধা…/মাপাধা মাপাধা মাপামাধাপাধা মাপাধানি…/পাধানি পাধানি পাধাপানিধানি পাধানিসা…।
সানিধা সানিধা সানিসাধানিধা সানিধাপা/নিধাপা নিধাপা নিধানিপাধাপা নিধামাপা/ধাপামা ধাপামা ধাপাধামাপামা ধাপামাগা/পামাগা পামাগা পামাপাগামা পামাগারে/মাগারে মাগারে মাগামারেগারে মাগারেসা…সারেগামাপাধানিসা। সানিধাপামাগারেসা।
এই ওঠানামার খেলাটা পরবর্তী জীবনে ছড়া নির্মাণে ব্যাপক সাহায্য করেছে আমাকে। ‘ধিতাং ধিতাং’ নামে একটা ছড়ার বইতে আমি এই সারগামের কিছুটা ব্যবহার করেছি।
তবলাও শিখেছিলাম কিছুদিন। তবলা শিখতে গুরুর কাছে নাড়া বাঁধতে হয়। নাড়াও বেঁধেছিলাম। তবলায় আমার প্রথম শেখা বুলিটা ছিলো–‘তানা তেটে তেট্ তেট্ ধিং ত্রানে’। তবলার বোলও আমাকে উদবুদ্ধ করেছিলো ছড়া রচনায়।
ব্রতচারী আর লাঠিখেলা শিখেছিলাম কিছুদিন। ব্রতচারী নৃত্যে ঢোলের অনবদ্য ব্যবহার থাকে। থাকে অসাধারণ ছন্দ আর সুরের মাধুর্য। গুরুসদয় দত্তের ব্রতচারীর গানের কথাগুলোও দুর্দান্ত ছিলো। যেমন–‘চল্ কোদাল চালাই/ভুলে মানের বালাই/ঝেরে অলস মেজাজ/হবে শরীর ঝালাই/যতো ব্যাধীর বালাই/বলবে পালাই পালাই/পেটের ক্ষুধার জ্বালায়/খাবো ক্ষির আর মালাই’…। কিংবা–‘মায়ের জাতের মুক্তি দে রে/যাত্রাপথের বিজয় রথে চক্র তোদের ঠেলবে কে রে?/……মায়ের জাতের মুক্ত প্রভাব/গড়বে তোদের বীরের স্বভাব/বিশ্বসভার উচ্চাসনে চড়বে না কেউ তোদের ছেড়ে/মায়ের জাতের মুক্তি দে রে’…।
ব্রতচারীও আমাকে প্রাণিত করেছে তার অপরূপ ছড়ার দ্যোতনায়।
ছন্দ-সুর বা রিদম সব সময়ই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। স্কুল জীবনে টিফিন পিরিয়ডে স্কাউটের ছেলেদের দেখতাম ব্যান্ড বাজাচ্ছে। স্কাউট স্যার ওদের শেখাচ্ছেন। ওদের সেই বাজনার তালে তালে পুরো স্কুলটা যেনো নেচে উঠতো, দুলে উঠতো। আমিও দুলতাম। দোতলার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থেকে ওদের বাদ্য বাজনা দেখতাম। পায়ে পায়ে একদিন চলে গিয়েছিলাম ওদের সামনে। ব্যান্ডের স্টিক ধরার কায়দাটা আমার জানা ছিলো না কিন্তু ওদের রিদমগুলো নিয়মিত শুনতে শুনতে আমার মুখস্ত ছিলো। আমার আগ্রহ দেখে লিডার ছেলেটা স্টিক ধরার কায়দাটা শিখিয়ে দিয়েছিলো। পুরো ব্যান্ডদলকে অবাক করে দিয়ে ওদের সব ক’টা রিদম আমি বাজিয়ে দেখালাম। ‘ফুরুরু রাম্পা লাগেকে ঝাম্পা/ফুরুরু রাম্পা লাগেকে ঝাম্পা/পাকুরু রাকুরু তাকুরু রাম্পা’ টাইপের বোলগুলো মুখে আওড়াতে আওড়াতে বাজাচ্ছিলাম ওদের মতো করেই। পরবর্তীতে ঢাকার সরকারি স্কুলগুলোর স্কাউট ক্যাম্পে (আর্মানিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে) ওরা আমাকে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলো। যদিও আমি সদস্য ছিলাম না স্কাউট দলের। কিন্তু আমি প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম আমার বিদ্যাপিঠ নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের। আমি ছিলাম স্কুলের স্কাউট দলের হায়ার করা খেলোয়াড়। ব্যান্ডের কুচকাওয়াজের দুর্দান্ত রিদমের কাছেও আমার অনেক ঋণ আছে।
যেমন অনেক ঋণ আছে দুর্গা পূজার ঢাকের বাদ্যির কাছেও।
আমার শৈশব কেটেছে পুরোন ঢাকার ওয়ারিতে। আমাদের বাড়িটাই ছিলো হেয়ার স্ট্রিটের শেষ বাড়ি। আমাদের বাড়ির পরের বাড়ি থেকেই হিন্দু বাড়ি শুরু। উত্তর মৈশুন্ডি আর দক্ষিণ মৈশুন্ডি ছিলো বলতে গেলে হিন্দু পাড়া। হিন্দুরা বনগ্রামেও ছিলো কিছু।
প্রচুর হিন্দু বন্ধু ছিলো আমার। সমবয়েসী সেই বন্ধুদের সঙ্গে কৈশোরে কতো আনন্দ করেছি পুজোর সময়। বিশেষ করে দুর্গা পুজোর সময়টায়। সন্ধ্যায়, উত্তর মৈশুন্ডির মন্দিরের সামনের রাস্তায় দুর্দান্ত ঢাকের অপূর্ব ছন্দের দুর্ধর্ষ রিদমের জাদুতে পাগলপারা অবস্থা হতো আমার। আমার হিন্দু বন্ধুরা আমার হাতেও তুলে দিতো ধুপের ধোঁয়া ওঠা মাটির পাত্র, যেখানে থাকতো নারকেলের ছোবড়ার মধ্যে সুগন্ধি আগুন। শুরু হতো আরতী নৃত্য। (ধুঞ্চি নাচ বলে এটাকেই?) আমার বন্ধুরা, বন্ধুদের সমবয়েসী বোনেরাও শামিল হতো আমার সঙ্গে। শামিল হতেন ওদের তরুণ বয়েসী দিদি মাসি আর পিসিরাও। এই দিদি-মাসি আর পিসিরা যেনো বা অপেক্ষায় থাকতেন–কখন আসবে রিটন, মহল্লার ছন্দপাগল ছেলেটা!
আমাকে দেখেই ‘ তুমি আইছো রিটন?’ বলে মিষ্টি হাসিতে উদ্ভাসিত ওঁরা কোমরে শাড়ির আঁচলটা গুঁজে নিয়ে নেমে পড়তেন সেই আলোর প্লাবনে, আরতী নৃত্যের অপরূপ জলসায় আমার সংগে।
মিউনিসিপ্যালিটির লাইটপোস্টের আলোর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মন্দিরের আলোকসজ্জা এবং সবকটা হিন্দুবাড়ির বাড়তি আলোর সম্মিলনে রাস্তাটা ভাসতো আলোর বন্যায়। সেই ঝলমলে আলোর মধ্যে ধুপের রহস্যময় ধোঁয়ার কুন্ডলির ভেতর কতো যে নেচেছি আমি ঢাকিদের ঢাকের প্রবল উস্কানিতে!
দুর্গা পূজোর সময় আকাশবাণী থেকে প্রচারিত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অনন্যসাধারণ শ্রী শ্রী চণ্ডিপাঠের বিমুগ্ধ শ্রোতা ছিলাম কৈশোরে। ঢেউয়ের দোলায় দোলায়িত ছন্দে কবিতা বা ছড়ার মতো তিনি আবৃত্তি করতেন—‘যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।/নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।…/ যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা/নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।…। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ এবং তাঁর স্তোত্র বা চণ্ডিপাঠও অপরূ ছন্দ দ্যোতনার সৃষ্টি করেছিলো কিশোর আমার মনোজগতে।
ঢাকের বাজনায় এখনো চাঞ্চল্য অনুভব করি শরীরে ও মনে। আমার মধ্যে ছন্দ দ্যোতনার সুরলহরী তৈরিতে দুর্গা পূজার ঢাকের অবদান রেলগাড়ির চাইতে কোনো অংশেই কম নয়। চলন্ত রেলগাড়ির কাছ থেকে আমি কতো যে শিখেছি ছন্দ! কতো তার রঙ কতো তার ঢঙ! রেলগাড়ির চলার ছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে মুখে মুখে কতো ছড়াই না বানিয়েছি শৈশবে! আমি যা বলতাম রেলগাড়িও তা-ই বলতো আমার সঙ্গে। যদি আমি বলতাম–সোনামিয়া কই? সোনামিয়া কই? রেলগাড়িটাও বলতো–সোনামিয়া কই? সোনামিয়া কই?
মুচিপাড়ার মাতাল ডিজেল থেকে শুরু করে আমার যাপিত জীবনের চারপাশের ছন্দময় নানান অনুষঙ্গই আমাকে ছড়াকার বানিয়েছে। মাতাল ডিজেল থেকে মিলাদের হুজুর, গানের টিচার সুখেন্দু-মোশাদ আলী থেকে
ব্রতচারীর গুরুসদয় দত্ত, স্কাউট দলের ব্যান্ডের বাজনা থেকে রবি ঠাকুরের মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কেযে নাচে তাতা থৈ থৈ, দুর্গা পূজার ঢাকের বাদ্যি থেকে আকাশবাণীর মহালয়ায় চণ্ডিপাঠক বীরেন্দ্রকিশোর ভদ্রের ‘যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।/নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ…..কিংবা রেলগাড়ি, সকলের কাছেই আমার অনেক ঋণ আছে। সেই ঋণ অপরিসীম!
অপরিশোধ্য সেই ঋণ।
আমার বিস্তর ছড়ালেখালেখি সেই ঋণ পরিশোধের সামান্য চেষ্টা মাত্র। (চলবে)
[ক্যাপশন/ মন্ট্রিয়ল বইমেলায় লুৎফর রহমান রিটন। ছবিঃ তোতন আহমেদ।]
Leave a Reply